ঢাকা, বুধবার, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সন্ধ্যায় পর্দা উঠবে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবের

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৩৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
সন্ধ্যায় পর্দা উঠবে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবের বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবের ফাইল ছবি

ঢাকা: পৌষের শুরু থেকেই উৎসবের আমেজে উষ্ণ হয়ে আছে নগরবাসী। পৌষ বরণ, পৌষ মেলা, রবীন্দ্র সংগীত উৎসব, নাট্য উৎসবসহ আরো কত কি! আর সে উৎসবে আরো রঙ লাগাতে ও নগরবাসীর উৎসবের আমেজকে আরো উষ্ণ করতে পর্দা উঠছে বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সংগীত উৎসবের।

ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়ে গেছে মঞ্চ। প্রস্তুত সংগীতপ্রেমীরাও।

সন্ধ্যা নামলেই আলো জ্বলে উঠবে ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে।

মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ড. এল সুব্রহ্মণ্যন ও আসতানা সিম্ফনি ফিলহারমোনিকের অর্কেস্ট্রা পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে উদ্বোধনী রাতের আসর। এরপর সরোদ বাজাবেন রাজরূপা চৌধুরী, ফিরোজ খান ও পূর্বায়ন চ্যাটার্জি।

খেয়াল পরিবেশন করবেন বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকর, সুপ্রিয়া দাস ও বেঙ্গল পরম্পরা সংগীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। বাঁশিতে সুর তুলবেন রাকেশ চৌধুরী।

এবারের উৎসবে অংশ নিচ্ছেন ভারতের পদ্মবিভূষণ পণ্ডিত যশরাজ, গ্র্যামি বিজয়ী পণ্ডিত বিশ্বমোহন ভাট, বিদুষী কালা রামনাথ, গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড জয়ী পদ্মভূষণ বিদ্বান ভিক্কু বিনায়করাম, বিশিষ্ট ওডিশি নৃত্যশিল্পী সুজাতা মহাপাত্র, সেতার বাদক পণ্ডিত বুধাদিত্য মুখার্জি, সাসকিয়া রাও, বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকর, পণ্ডিত রনু মজুমদার, পণ্ডিত শিবকুমার শর্মা, হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া, পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী, ওস্তাদ রশিদ খান, ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খানসহ বিশ্ব বিখ্যাত বহু শিল্পী। বিদেশি শিল্পীদের পাশাপাশি থাকছে বাংলাদেশি শিল্পীদের পরিবেশনাও।

সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন সংস্কৃতি মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, সংসদ সদস্য ফজলে নূর তাপস, বেক্সিমকো গ্রুপের কর্ণধার ও আবাহনী লিমিটেডের সভাপতি সালমান এফ রহমান, স্কয়ার গ্রুপের সভাপতি অঞ্জন চৌধুরী ও ব্র্যাকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হোসেন।

উৎসব আয়োজন সম্পর্কে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের দেশের সংগীতের ভিত্তি হচ্ছে উচ্চাঙ্গ সংগীত। আমাদের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সংস্কৃতিকর্মী ও বুদ্ধিজীবীরা এ উৎসবটিকে যেভাবে গ্রহণ করেছেন, তাতে ভরসা বেড়ে গেছে। তা না হলে ১১ ঘণ্টা করে প্রায় ৫৫ ঘণ্টা তরুণেরা গান শুনতে পারবে এটা কেউ ভাবেননি। এ থেকেই বোঝা যায় মানুষ ভালো জিনিস সানন্দে গ্রহণ করে। এটাই সব থেকে বড় প্রাপ্তি।

৩০ ডিসেম্বর অবধি উৎসব চলবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত। প্রতিদিন রাত ১২টায় গেট বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর বের হওয়া গেলেও আর প্রবেশ করা যাবে না। আবাহনী মাঠের পাশে আবাসিক এলাকা হওয়ায় বিশেষ সফটওয়্যার ব্যবহার করে শব্দ ছড়ানো নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এছাড়া রয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

এবারে ষষ্ঠ আয়োজনের এ উৎসব উৎসর্গ করা হয়েছে বিশিষ্ট চিন্তাবিদ ও গবেষক ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামানকে। এর মধ্য দিয়ে জীবদ্দশায় গুণীজনকে সম্মান জানানোর নজির সৃষ্টি করলো বেঙ্গল ফাউন্ডেশন।

বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৭
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।