ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

মেলার শেষ ভাগেও কবিতার বই বেশি

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০১৮
মেলার শেষ ভাগেও কবিতার বই বেশি মেলার শেষ ভাগেও কবিতার বই বেশি

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: বরাবরের মতো মেলার শেষ ভাগেও কবিতার বইয়ের প্রকাশ বেশি। 

বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপ-বিভাগের তথ্যমতে সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) মেলায় নতুন বই এসেছে ১১৭টি। এর মধ্যে কবিতার বই ৫৩টি।

এছাড়া, অনান্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে গল্প ১৩টি, উপন্যাস ১৪টি, প্রবন্ধ ৫টি, গবেষণা ১টি, ছড়া ৩টি, শিশুসাহিত্য ১টি, জীবনী ১টি, মুক্তিযুদ্ধ ৬টি, নাটক ১টি, বিজ্ঞান ১টি, ভ্রমণ ৫টি, ইতিহাস ১টি, স্বাস্থ্য ১টি, অনুবাদ ৫টি, সায়েন্সফিকশন ২টি ও অন্যান্য ৪টি।

এদিন প্রকাশিত উল্লেখযোগ্য বইগুলো হলো- ঐতিহ্য থেকে আব্দুল হাইয়ের অনুবাদ গ্রন্থ ‘দি অটোয়াগ্রাফি অব বার্টান্ড রাসেল’, অনিন্দ্য থেকে পিয়াস মজিদের সম্পাদিত প্রবন্ধগ্রন্থ ‘অগ্রন্থিত আব্দুল মান্নান সৈয়দ (২য় খণ্ড)’, নন্দিতা এনেছে আবু জাফর ওবায়দুল্লাহর কাব্যগ্রন্থ ‘প্রত্যহ ফিরে যাই স্মৃতির কাছে’, কথাপ্রকাশ এনেছে চন্দন আনোয়ারের গল্পগ্রন্থ ‘ইচ্ছামৃত্যুর ইশতেহার’ র‌্যামন পাবলিশার্স এনেছে সাজ্জাদ আলম খানের ‘অর্থশাস্ত্র নয় সামাজিক অর্থনীতি’ ইত্যাদি।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৬তম দিন মেলা চলে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। তবে বৃষ্টির কারণে রাত সাড়ে ৮টার দিকেই মেলা প্রাঙ্গন থেকে বিদায় নেন বই প্রেমীরা।

বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে ছিল ‘বিজয় সরকার’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শাহিদা খাতুন। আলোচনায় অংশ নেন- মো. শাহিনুর রহমান, স্বরোচিষ সরকার এবং আকরাম শাহীদ চুন্নু। সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী।

প্রাবন্ধিক বলেন, কবিয়াল বিজয় সরকার শৈশব-কৈশোর থেকেই সংস্কৃতি অনুরাগী ছিলেন। গ্রাম-গঞ্জের পথে-মাঠে-ঘাটে আনমনে গান গেয়ে বেড়াতেন তিনি। বিজয় সরকার কবিগানের নিজস্ব একটি কাঠামো সৃষ্টি করেন, আবার কবিয়াল হয়েও বাংলা গান ও কবিতার ভুবনে স্বতন্ত্র জায়গা তৈরি করেছেন।  

তিনি বলেন, বিভিন্ন ধর্ম ও বিভিন্ন জাতির মধ্যে সমন্বয়, সম্প্রীতি, সহাবস্থান, সহমর্মিতা বিজয় সরকারের গানে উচ্চারিত হয়েছে। ভিন্ন ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকা, সহানুভূতিশীল হওয়া, সম্মান প্রদর্শন করা, সর্বোপরি সব ধর্মের মর্মবাণী উপলব্ধি করা- সংগীতের মাধ্যমে এসব তিনি মানুষের কাছে তুলে ধরেছেন। এজন্য তিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও মানবিক মূল্যবোধের একজন উচ্চমানের সংগীতশিল্পী।

প্রাবন্ধিক বলেন, কালজয়ী প্রতিভা বিজয় সরকারের রচনাবলি সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও তার গানের সুরের স্বরলিপি করতে হবে। যাতে করে ভবিষ্যত প্রজন্ম এই মহান শিল্পীর জীবনকথা জানতে পারে এবং তার সৃষ্ট সংগীতসম্ভার নিয়ে নানামাত্রিক গবেষণা করতে পারে।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক আবুল আহসান চৌধুরী বলেন, বিজয় সরকারের কবিগান সাহিত্য গুণমানসম্পন্ন। তার গান সার্বজনীন। একদিকে, মরমী, অন্যদিকে দ্রোহের আগুন জ্বলমান। জাত-ধর্মের বালাইহীন উদার জমিনে সকল ধর্মের সুসমন্বয় করতে চেয়েছিলেন বিজয় সরকার। হাছন-লালনের ধারায় বিজয় সরকার বাংলা গানের ভুবনে এক অনন্য নক্ষত্রের নাম।

একই মঞ্চে সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ছিল স্বপন গুহের পরিচালনায় সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘রূপান্তর’-এর পরিবেশনা।
 
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলার ২৭তম দিন। এদিন মেলা চলবে বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত। বিকেল ৪টায় গ্রন্থমেলার মূল মঞ্চে রয়েছে বাংলা একাডেমির অমর একুশে গ্রন্থমেলা এবং বাংলাদেশের প্রকাশনার মান উন্নয়নের সমস্যা শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান।  

এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন খান মাহবুব। আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন বদিউদ্দিন নাজির, রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং মোস্তফা সেলিম। সভাপতিত্ব করবেন ফজলে রাব্বি। সন্ধ্যায় রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।  

বাংলাদেশ সময়: ০৩৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এইচএমএস/এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।