বৃহস্পতিবার (১ মার্চ) সন্ধ্যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে গ্রন্থটির মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। প্রধান বক্তা ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান, গ্রন্থের লেখক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. হারুন অর রশিদ, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান।
অনুষ্ঠানে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার ইতিহাস অতি তাৎপর্যময়। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা সংগ্রাম পর্যন্ত সকল আন্দোলন সংগ্রামে জড়িয়ে আছে এই বাঙালি জাতির জীবন। ছয় দফা, আগরতলা মামলা, ঊনসত্তরের গণঅভ্যুত্থান, সত্তরের নির্বাচন এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘটনা একে অপরের সাথে জড়িত। একটি না হলে আরেকটি হতো না। ইতিহাসের এসব স্মৃতি কথা সংরক্ষণ করা উচিত।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চের ভাষণকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ভাষণ উল্লেখ করে তোফায়েল বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই ভাষণ পৃথিবীর কোনো ভাষণের সাথে তুলনা হয় না। কেননা তার এই ভাষণ পৃথিবীর অন্যান্য ভাষণের চেয়ে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হয়েছে। তার ভাষণ বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হয়েছে। আব্রাহাম লিঙ্কন, মার্টিন লুথার কিং যে ভাষণ দিয়েছিলেন তা লিখিত ছিল। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ছিল অলিখিত। যা আজ বিশ্ব ঐতিহ্যের স্বীকৃতি পেয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। কেননা তার এই ভাষণকেই দেশের স্বাধীনতার ঘোষণা হিসেবে বাঙালি জাতি ধরে নেয়। আমাদের পূর্ব পুরুষদের চিন্তা-চেতনা ছিল তাদের নিজস্ব একটা ভাষা, সাংস্কৃতি থাকবে। বঙ্গবন্ধু এসে সেই সুযোগটা তৈরি করে দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, মার্চ ০১, ২০১৮
এসকেবি/এমজেএফ