ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

সিঙ্গাপুরের ডায়েরি | সরদার জার্জিস আলম

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭২০ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
সিঙ্গাপুরের ডায়েরি | সরদার জার্জিস আলম ...

সিঙ্গাপুরে টানা ৭ দিন ধরে চলছে চায়নিজ নববর্ষ উদযাপন। সব অফিস-আদালত বন্ধ। পুরো রাস্তা প্রায় ফাঁকা ঢাকার তুলনায়। গাড়ি কম, রাস্তার দুপাশে প্রচুর বয়েসী গাছ। শুনলাম এদের সরকার গাছ কাটার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। আরো একটা চমৎকার বিষয় দেখলাম, ড্রাগ ট্রাফিকিং এর শাস্তি মৃতুদণ্ড!

আমি অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের থিয়রি অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের মানুষ বুঝতে গেলাম মুস্তফা সেন্টারে। যাওয়ার পথে দেখলাম, মন্দির ও অ্যান্টিকশপ।

আমি কিন্তু সিঙ্গাপুরে এসে এদেশের আদি নিবাসীর দেখা এখনো পাই নাই। নাক বোঁচা, নাক খাড়া, সাদা-কালো, বেটে-লম্বা যাকে জিজ্ঞাসা করি সেই বলে বেড়াতে আসছে, মনে হয় এ যেন টুরিস্টদের শহর। যাত্রা পথে দেখলাম রোচর নেইবারহুড পুলিশ সেন্টার। আশ্চর্যের বিষয় পুলিশের কোমরে কোন পিস্তল নাই, পিস্তলের বদলে কোমরে গোঁজা পানির বোতল। যাই হোক, ৪/৫ কিলোমিটারের মধ্যে বড় কোন বইয়ের দোকান চোখে পড়লো না। তাই শুধু মুস্তফা সেন্টার দেখে অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের থিয়রি কাজে লাগাইলাম।

আমি সহ আমার তিন সহকর্মী সাইকেল নিয়ে সিঙ্গাপুর ঘুরে ঘুরে দেখলাম, অদ্ভুত রকমের পরিষ্কার ও গোছানো শহর। অদ্ভূত এক সন্ধ্যা কাটলো, মেরিনা বে স্যান্ডে, বড়বড় বিল্ডিংয়ে ঘেরা জল, জলের বুক ফুড়ে বেড়িয়ে এসেছে মিনারের মতো উচু এক কাচের পাথর, যেন জলের ভেতরে প্রথম প্রাণের সৃষ্টি। রাত ৮টা বাজার সাথে সাথে প্রচণ্ড শব্দে বেজে উঠলো ইন্ডাসট্রিয়াল মিউজিক, প্রবল শক্তিতে জলের বিচ্ছুরণ, জলের উপর খেলছে কত রং। আমি তো কোনভাবেই বুঝতে পারি না এ রঙের নাম কি। একবার মনে হয় বেগুনি, আসলে বেগুনি না, আবার সবুজ আসলে এমন সবুজ দেখিনি কোথাও; কমলা, কিন্তু কমলা না, লাল কিন্তু রক্তও হার মানবে। হঠাৎ জল-আলোর নাচের সাথে সাবকন্টিনেন্টাল সুর, বাঁশি আর বেহালা, বাঁশি-বেহালার খেলার সাথে সাথে আমি একটা ত্রিশুল দেখি, দেখি জলের রেখাগুলো আস্তে আস্তে অনেকগুলো হাত হয়ে যাচ্ছে। বিশাল মানুষ ধ্যানে বসে, ডান থেকে বামে বাম থেকে ডানে জলের রেখা সঙ্গীতের তালে উড়ে বেড়ায়, আর তখনি আমার চোখে ধরা পড়ে শুভ্র-সফেদ লম্বা দাড়ি, আমি কবিগুরু ভেবে ভুল করি। আমি একটা প্রকাণ্ড আসন দেখি, কেউ একজন বসে আছে, শুরু হয় হার্ডরক সাথে অপেরার করুণ সুর, জল আর রঙের খেলায় আমি অনেকগুলো মৃত আত্মাকে জীবিত হতে দেখি, এভাবেই কেটে যায় ১৫ মিনিট। আস্তে আস্তে সুরও থেমে যায় আত্মাগুলি আবারও চলে যায় জলের গভীরে। আমি একে কিভাবে ব্যাখ্যা করবো জানি না। এ শহর, এই দেশ আর কিছুই নয়, বহুজাতিক কোম্পানির টাকায় যেন হেভেন টাচ্।
...সিঙ্গাপুরের এদিক ওদিক ঘুরলাম কিন্তু এদের রাজার দেখা মিললো না এখনো। এ দেশের সরকারি অফিসারদের কাছ থেকে জেনেছি এদের রাজা খুব কম নিরাপত্তা নিয়ে চলাচল করেন। আসলে এখানকার সাধারণের জন্য যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে তা দক্ষিণ এশিয়ার যেকোন দেশের থেকে উন্নত। আর এ দেশে বহুজাতি বাস করলেও পাকিস্তানিদের সংখ্যা খুবই নগণ্য, এ কারনে এখানে ক্রাইম কম। তারপরও কিছু পাকিস্তানির মদদে বাংলাদেশি কয়েকজন পাকিস্তানপ্রেমী ১০ হাজার ডলার ফান্ড জোগার করে সিঙ্গাপুরে বসে বাংলাদেশের বর্তমান সরকার উচ্ছেদ করতে চেয়েছিলো। সিঙ্গাপুর আর বাংলাদেশের তৎপরতায় তারা এখন রেমিটেন্স পাঠানো দূরের কথা, প্রবাসী হাজতি। এদের বুদ্ধির তারিফ করা উচিত। এখানে সবচেয়ে ভালো আছে তামিলরা, সোনার ব্যবসা প্রায় পুরোটাই ওদের, অ্যাডভারটাইজিং ব্যাবসাতেও দখল ভালো। এই কদিন কিছু তামিলদের সাথে কথা বলে বুঝলাম ওরা মানুষ হিসেবে অসাধারণ। এখানে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যাবহারের ক্ষেত্রে নিরুৎসায়ী করা হয়, ট্যাক্সও অন্যান্য লাইসেন্সিং চার্য খুব বেশি, তাই পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এখানে খুব উন্নত। এছাড়া ট্যাক্সি বা ক্যাব, উবারের বহুল ব্যবহার আছে।  

এর মধ্যে কেটে গেলো কয়েক দিন, সিঙ্গাপুরের রাজার দেখা নাই, সে যেন রবীন্দ্রনাথের রাজা! কোথাও কোন রাজা নেই, এখানে কেউ রাজাকে দেখে না, সকলের ঘর আলোকিত করে, কোথাও এক অন্ধকার ঘরে লুকিয়ে আছে সে।

সিঙ্গাপুর এসে জানলাম আমাদের দেশের হাজার হাজার কোটি টাকা প্রতিরাতে মুহূর্তের ভেতর ক্যাসিনোতে হারিয়ে যায়। অনেক নামিদামি ব্যক্তিরা এখানে এসে ফূর্তি করে ফতুর হয়ে দেশে যায়। আমার ফূর্তি করার দুর্ভাগ্য না হলেও,  সৌভাগ্য হলো কারা কারা ফূর্তি করে তাদের চিনতে পেরেছি। সিটি ‘সামথিং’ নামে একটা বিশাল বিল্ডিংয়ের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। বাংলাদেশের একজন সামরিক শাসকসহ অনেক টাকাওয়ালাদের অ্যাপার্টমেন্ট এখানে আছে।

কাদের দেশ সিঙ্গাপুর? আমার কাছে মনে হয়েছে সিঙ্গাপুর কোন দেশ না। মাল্টিন্যাশনাল পুঁজি দিয়ে ব্যবসায়ীবান্ধব একটি শহর বা জোন! এদেশের কঠোর আইন-কানুন, সরকার, বিচার ব্যবস্থা সবকিছুই মূল লক্ষ্য হলো এই বহুজাতিক পুঁজির নিরাপদ ব্যবহার ও সর্বপরি এর নিরাপত্তা বিধান। পুঁজির নিরাপত্তা দেয়ার জন্য কঠোর আইন ও আইনের প্রয়োগ প্রয়োজন হয়। এক কথায় বলা যায়, এই আইন-কানুন কোনভাবেই সাধারণ মানুষের পক্ষে যায় না। তবে হ্যাঁ, এখানে একটা পর্যায় পর্যন্ত সকল মানুষই তার আইনি অধিকার পায় ও তাদের সামাজিক নিরাপত্তাও সুসংহত। তবুও এই সব সাধারণ মানুষকে আমার দাসের মতো লাগে। ৫ দিন কঠোর পরিশ্রমের পর ছুটির দিনে তাদের সমস্ত অর্থ ব্যয় হয় বার ও নাইট ক্লাবের পিছনে। স্থানীয় একজনের মতামত এমন, ‘আমাদের দেশটা একটা ভিউকার্ড, অদ্ভুত সুন্দর কিন্তু সাধারণ মানুষ একটা ছকে বাঁধা স্বাধীনতা ভোগ করতে পারে। জানা গেলো দিন দিন ট্যাক্সের চাপ বাড়ছে। আসলে পুঁজির ধর্মই এই। যে যাই কিছু বলুক না কেন, আমি বুঝতে পারি এই বহুজাতিক পুঁজিই নির্ধারণকারী এ দেশের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সমাজনীতির।

সিঙ্গাপুরে বিলাসবহুল হোটেলগুলোর ভেতর অন্যতম মেরিনা বে স্যান্ডস হোটেল। তিনটা সমান উচ্চতার বহুতল ভবনের (সম্ভবত ৫৭ তলা) মাথার উপর বসানো আছে একটা জাহাজ আকৃতির মস্তবড় ছাদ। সেই ছাদের উপরের বেশির ভাগ অংশজুড়ে আছে বাগান। নাম দিয়েছে স্কাই গার্ডেন। অন্য অংশে আছে মদের দোকান ও দর্শনার্থীদের বসার জায়গা। এত উপর থেকে প্রায় গোটা শহরটাই দেখা যায়। আর বাগানটা অদ্ভুত। এই শহরে বাগানের চারাগাছগুলো কফিল আহমেদের ডাকে রাস্তায় নামে না বরং আকাশে উঠে যায়। এই বিলাসবহুল হোটেলে পৃথিবীর প্রায় সবদেশের মানুষকেই পাওয়া যায়। এখানে মূলত খুব অর্থবিত্তের মালিক যারা তারা আসে, রাত কাটায়, পান করে, জুয়া খেলে, রাতের জীবন কাটায়। এখানে যেসব বিত্তবান ব্যবসায়ীরা আসে এমন না, জুয়ার নেশায় বিভিন্ন দেশের অনেক আমলা থেকে শুরু করে রাজনীতিকরাও আসে, খেলে- জিতে বা হারে। যেকোন খেলায় জেতাটা খুব আনন্দের, হারটা খুব কষ্টের। কষ্টটা এতই প্রকট হয় যে, কেউ কেউ সেই স্কাই গার্ডেন থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যাও করে। এমনই কিছু ঘটনা ঘটে গত কয়েক মাস আগে। ইন্দোনেশিয়ার এক সরকারি আমলা তার সরকারের পক্ষ থেকে একটা ব্যবসায়িক চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য আসে সিঙ্গাপুরে। তার সাথে তখন তার সরকারের একটা বড় অংকের অর্থ ছিলো। লোকটি সারাদিন জুয়া খেলে সব পকেটের টাকা খুইয়ে ফেলে। অবশেষে উপায় না পেয়ে ঝাঁপ দেয় স্কাই গার্ডেন থেকে। একই রকম ঘটনা ঘটে এক জাপানির ক্ষেত্রে। পার্থক্য এতটুকুই ইন্দোনেশিয়ানটার লাশ পড়ে সুইমিংপুলে আর জাপানীর লাশ একতলার লবিতে।

সিঙ্গাপুরে শেষদিন: গাছ লাগান, প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ হবে

সিঙ্গাপুরে বর্তমান যিনি প্রধানমন্ত্রী তার বাবা সিঙ্গাপুরের জাতির জনক। তার স্বপ্ন ছিলো সিঙ্গাপুরকে একটি বাগানের শহর বানাবেন। এ দেশের জাতির জনক জানতেন প্রকৃতিকে, বুঝতেন প্রকৃতিকে। আমরা প্রকৃতির মাঝে বেঁচে থাকলেও, ক’জন প্রকৃতিকে বুঝি! প্রকৃতির নিজস্ব ধর্ম আছে, শক্তি আছে। যেমন করে সে নিজে বেঁচে থাকে, তেমনভাবে সে অন্য জীবনকেও বাঁচিয়ে রাখে। একটা সহজ প্রাকৃতিক হিসাব- আমরা যে আমাদের কার্বনডাইঅক্সাইড বাতাসে ছাড়ি, গাছগুলো কিন্তু তা অকস্মাৎ গিলে ফেলে। আমার মনে হয় গাছ আমাদের মনের কালিমা, আমাদের ক্ষত বা আমাদের যত পাপও গিলে ফেলে। উন্নয়নের গতি ঠেকানো যাবে না হয়তো, উন্নয়ন হতে থাকলে প্রকৃতির উপরও চাপ আসবে স্বাভাবিক, কিন্তু উন্নয়নটা যদি হয় পরিবেশবান্ধব বা পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ তাহলে তো সমস্যা নেই। আমার ধারণা সিঙ্গাপুরের উন্নয়ন পরিকল্পনায় প্রকৃতিকে বিশেষ গুরুত্বের সাথে দেখা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের জনগণ আর তাদের জাতির পিতা সফল এখানে।

তুলনা করতে না চাইলেও নিজের দেশের কথা চলে আসে, আমাদের জাতির জনকের স্বপ্ন ছিলো সোনার বাংলার। আক্ষরিক অর্থে সোনার বাংলার মানে করা হবে এক কথায় মূর্খতা। এ দেশের প্রধান অর্থনৈতিক ফসল ছিলো সোনালি আঁশ, আমাদের তা ভালো করে জানা। এই সোনাশি আঁশ থেকে আয়ের টাকায় পাকিস্তান রাষ্ট্রের অনেক শহর গড়ে উঠেছিলো। স্বাধীনতা পরবর্তী আমাদের জাতির জনক চেয়েছিলেন এই সোনালি আঁশের সোনার বাংলা গড়তে। আমাদের এমনই দুর্ভাগ্য যে, আমরা আমাদের জাতির পিতাকে হত্যা করেছি। এরপরের ইতিহাস তো আমাদের চোখের সামনেই লেখা। পাটকে পরিকল্পিতভাবে নিশ্চিহ্ন করা হয়, অর্থনৈতিকভাবে হত্যা করা হলো হাজার হাজার শ্রমিক ও তাদের পরিবারকে, রেহায় পেলো না একজন ভালোমানুষ কমরেড তাজুল ইসলামও।

এখানে এসে মেরিন গার্ডেন নামে এক বিশাল বাগান দেখার সৌভাগ্য হলো। আমাজন দেখি নাই, আমাজন দেখার ভাগ্য আছে কিনা জানি না। কথিত আছে, আমাজনে যত প্রজাতির গাছ আছে সব প্রজাতির গাছই কমপক্ষে একটি করে এই বাগানে আছে। এই বাগানে আরো কিছু সুউচ্চ টাওয়ার আছে, এই টাওয়ারগুলোর একটা থেকে অন্যটাতে যাওয়ার জন্য ঝুলন্ত সাঁকো দেয়া হয়েছে। এই সাঁকো দিয়ে পার হওয়ার সময় পুরো বাগানটাকে পাখির চোখে দেখা যায়। সন্ধ্যা হতেই টাওয়ারগুলোর শরীরজুড়ে থাকে হরেকরকম আলো যা যেকোন পর্যটককে সহজেই আকৃষ্ট করে।

প্রতিদিনই কোন না কোন স্কুল তাদের বাচ্চাদের নিয়ে এই বাগানের ভেতরে ক্লাস নেয়। এতে বাচ্চাগুলো যে শুধু গাছের নামই জানে তা কিন্তু নয়। এখানে এসে তারা প্রকৃতি থেকে দীক্ষা পায়, উদার হতে শেখে, একই সাথে শান্ত ধীরস্থির হতে শেখে। জন্মের পর থেকেই যে অসুস্থ প্রতিযোগিতার ভেতর তারা পড়ে যায়, তা থেকে সহজেই নিজেকে বের করে আনতে পারে। কংক্রিটের দেয়াল আর ছাপানো অক্ষরের হিজিবিজি পড়া পড়ে ভালো মার্কস হয়তো পাওয়া যায়, মন গঠন হয় না। তাই আমাদের দেশের মা-বাবা-শিক্ষকসহ সবাই আমরা যারা প্রশ্ন ফাঁসকে একরকম উৎসাহ দিয়ে গোল্ডেন রেজাল্ট নিয়ে ঘরে ফিরছি, তারা হয়তো জানিই না প্রতিদিন কিভাবে আমাদের বাচ্চাদের হৃদয় থেকে সব আলো মুছে ফেলছি। তাই আপনার শিশুর জন্য গাছ লাগান, বাগান করেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্ন হাতে পেলেও সে তা দেখবে না, প্রাণ ভরে জুঁই আর হাসনাহেনার গন্ধ নিয়ে সে গণিতে ফাইভ পাবে। ওরাই এখন আমাদের সোনালি আঁশ, ওদেরকে বাঁচতে দিন, ওরাই একদিন সোনার বাংলা গড়বে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩১৬ ঘণ্টা, জুলাই ১৯, ২০১৮
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।