ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান লাভে ছায়ানটের বিশেষ আয়োজন

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮৩৬ ঘণ্টা, মার্চ ২, ২০১৯
ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মান লাভে ছায়ানটের বিশেষ আয়োজন ছায়ানটের অনুষ্ঠান, ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: সম্প্রতি ছায়ানট অর্জন করেছে ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড ফর কালচারাল হারমোনি’। সে অর্জনের গ্রহণের ইতিবৃত্তান্ত সবাইকে অবহিত করে ছায়ানটে অনুষ্ঠিত হলো বিশেষ অনুষ্ঠান।

শুক্রবার (১ মার্চ) ছায়ানট মিলনায়তনের এ আয়োজনে সম্মাননার পটভূমি বর্ণনা করে সবাইকে স্বাগত জানান ছায়ানটের নির্বাহী সভাপতি ডা. সারওয়ার আলী।

বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান ভারত সরকারের সম্মাননা অর্জনে দেশটির পক্ষ থেকে তাদের অনুভূতি ব্যক্ত করেন ঢাকাস্থ ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পরিচালক ড. নীপা চৌধুরী।

আয়োজনে নয়া দিল্লিতে আয়োজিত ভারতের রাষ্ট্রীয় সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে যোগদানের অনুভূতির কথা জানান ছায়ানটের সহ-সভাপতি আবুল হাসনাত। এছাড়া দিল্লি-অভিজ্ঞতার বর্ণনা দিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুন।

এসময় তিনি বলেন, ছায়ানটকে পুরস্কৃত করার মাধ্যমে ভারত এ সাংস্কৃতিক সংগঠনকে কৃতজ্ঞতার ঋণে আবদ্ধ করলো। এ সম্মাননা ছায়ানটকে তার প্রগতিশীল কার্যক্রমে আরও অনুপ্রাণিত করবে। এছাড়া জুরির সিদ্ধান্ত সার্বজনীন মানবতাবাদের উদার প্রগতিশীল ঐতিহ্যকে সমুন্নত রাখা জন্য এবং সাংস্কৃতিক সম্প্রীতির প্রচারে সংগঠনের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ এবং ভারত, বিশেষত পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় ও অনুধাবনের ক্ষেত্রে একটি ঘনিষ্ঠ সেতুবন্ধনের কাজ করেছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে ছায়ানট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। স্বাধীনতা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে ছায়ানটের নাম। যে প্লাটফর্মের মধ্যদিয়ে বাঙালির পরিচয় এবং সাংস্কৃতিক অভিব্যক্তির প্রকাশ ঘটেছে।

ছায়ানটের সান্ধ্য এ আয়োজন যথারীতি শুরু ও শেষ হয় সঙ্গীতের মধ্যদিয়ে। হাম্বীরে রাগালাপের পর প্রথম পরিবেশনা ছিল রবীন্দ্রনাথের ‘আনন্দ-ধ্বনি জাগাও গগনে’ গানের সঙ্গে নৃত্য। রবীন্দ্রনাথের দু’টি গান গেয়েছেন লাইসা আহমদ লিসা। বাংলা সঙ্গীত সংস্কৃতির অন্যতম ভিত নজরুলসঙ্গীত ও লোকসঙ্গীত শুনিয়েছেন খায়রুল আনাম শাকিল ও চন্দনা মজুমদার। রবীন্দ্রনাথের আরেক অপূর্ব সৃষ্টি ‘চলো যাই চলো, যাই চলো, যাই’ গানের সঙ্গে সম্মেলক নৃত্যগীত পরিবেশনের পর জাতীয় সঙ্গীত গেয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়।

এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির প্রবাসী ভারতীয় কেন্দ্রে ভারতের রাষ্ট্রপতি রাম নাথ কোবিন্দ ছায়ানটের সভাপতি সন্জীদা খাতুনের হাতে ‘টেগোর অ্যাওয়ার্ড ফর কালচারাল হারমোনি’ সম্মাননা তুলে দেন। ২০১১ খ্রিষ্টাব্দে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের সার্ধশততম জন্মবার্ষিকের পর ২০১২ সালে এ পুরস্কার প্রবর্তন করে ভারত সরকার। প্রথম দু’বছর সম্মানিত করা হয় পণ্ডিত রবি শঙ্কর এবং সঙ্গীতজ্ঞ জুবিন মেহতাকে। এরপর সংস্কৃতি অঙ্গনে অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৫ সালের আন্তর্জাতিক সম্মাননার জন্য নির্বাচিত হয় ছায়ানট।

বাংলাদেশ সময়: ০৩৩০ ঘণ্টা, মার্চ ০২, ২০১৯
এইচএমএস/ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।