ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯
শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন শিল্পকলায় বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ও জাতীয় শিশু দিবস উদযাপন

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ৯৯তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ‘জাতির পতাকা হাতে স্পন্দিত বুকে মনে হয় আমরাই মুজিব’ শ্লোগানে দেশব্যাপী গবেষণা ভিত্তিক শিল্পযাত্রা ‘শিল্পের আলোয় বঙ্গবন্ধু’র জন্মশতবর্ষ শীর্ষক অনুষ্ঠানের উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ মার্চ) প্রায় ২০০ শিশুর অংশগ্রহণে সকাল ১১টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় শিশুদের চিত্রাংকন প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান শুরু হয়। এর আগে সকাল ৯টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে একাডেমির সচিব ড. কাজী আসাদু্জ্জামান এর নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানান একাডেমির সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ।

বিকেল তিনটায় একাডেমির গ্রন্থাগারে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রচিত গ্রন্থের সংগ্রহ নিয়ে বঙ্গবন্ধু কর্ণার-এর উদ্বোধন করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। বঙ্গবন্ধুর সাধারণ জীবনযাপনের কথা স্বরণ করে এসময় তিনি বলেন, যার কারনে পৃথিবীর ভৃখণ্ডে নিজস্ব ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি নিয়ে আমরা মাথা তুলে দাড়িয়েছি তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাকে নিয়ে প্রায় ১২০০ গ্রন্থ রচিত হয়েছে। সবগুলো সংগ্রহের কাজ চলছে। এরমধ্যে ৩০০ বই এর সংগ্রহ নিয়ে আমরা শুরু করলাম বঙ্গবন্ধু কর্ণার।

দিনব্যাপী আয়োজনে ছিল চলচ্চিত্র প্রদর্শনী। এতে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ও বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত ছয়টি চলচ্চিত্র প্রদর্শীত হয়। বিকাল ৪টায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে শুরু হয় প্রদর্শনী। শিশুতোষ চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে জামসেদুর রহমান সজীব এর ‘বাড়ি ফেরা’, রহমান লেলিন এর ‘মন ফড়িং’, তারেক আজিজ নিশক এর ‘সমান্তরাল যাত্রা’, মো. তাওকীর ইসলাম এর আয়না, লুসি তৃপ্তি গোমেজ এর ‘ডাকঘর’, এবং আবদুল্লাহ আল হারুন এর বঙ্গবন্ধুর উপর নির্মিত চলচ্চিত্র ‘আমাদের বঙ্গবন্ধু’ অন্যতম। প্রদর্শনী শেষ হয় সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়।

জাতীয় চিত্রশালা প্লাজায় বিকাল ৩টা থেকে শুরু হয় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। শিশুদের উদ্দেশ্যে উৎসাহমূলক বক্তব্য রাখেন মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। এরপর পিপলস লিটল থিয়েটারের নাটক ‘মুজিব মানে মুক্তি’ পরিবেশিত হয়। সম্মেলক গান পরিবেশন করে মাস্টার মাইন্ড স্কুল, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ এর রমনা শাখা, বীরশ্রেষ্ঠ নুর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, আদমজী ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল, উদয়ন উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, হলিক্রস কলেজ, ম্যপললীফ ইন্টা. স্কুল, বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফ পাবলিক কলেজ এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত দলের শিক্ষার্থীবৃন্দ।

নৃত্য পরিবেশন করে দীব্য নৃত্যকলা কেন্দ্র ও একাডেমির নৃত্যদল। একাডেমির শিশু অ্যাক্রোবেটিক দলের পরিবেশনায় অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। একক গান পরিবেশন করে শিশুশিল্পী সুরাইয়া আক্তার সুবর্ণা, রাইয়ান বিনতে হাবিব, ওয়াজিউর রহমান, সৃজনী সরকার জিতু ও গুনগুন।

বাংলাদেশ সময়: ০৬২৯ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০১৯

এইচএমএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।