ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

ছোটকাগজ ঐহিক বাংলাদেশ’র প্রারম্ভ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০০ ঘণ্টা, মে ৫, ২০১৯
ছোটকাগজ ঐহিক বাংলাদেশ’র প্রারম্ভ সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন

যদিও প্রাকৃতিক দুর্যোগ, ঘূর্ণিঝড় ফণীর আশঙ্কা সারাদেশজুড়ে তবু প্রতীক্ষাও তো অনেক দিনের। আর সেসবের অবসান ঘটিয়ে এল ইপ্সিত সেই দিন, যাকে ছুঁতে চেয়েছে ঐহিক বাংলাদেশ। ৪ মে ২০১৯, দীপনপুরে সম্পন্ন হল ঐহিক বাংলাদেশের প্রারম্ভিক সংখ্যা অণু থেকে উত্তরণের মোড়ক উন্মোচন এবং ছোট পত্রিকা ও গল্প বিষয়ক আলোচনা, সাথে গল্পপাঠ। একুশকে মনে রেখে ঐহিক বাংলাদেশ এই সংখ্যাটি অনধিক দুইশত শব্দে মূর্ত ও মুহূর্ত-গল্প নিয়ে প্রকাশ পেয়েছে।

ঐহিক বাংলাদেশের এই সংখ্যাটির মোড়ক উন্মোচন করলেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি জুয়েল মাজহার, কথাসাহিত্যিক পারভেজ হোসেন,  কথাসাহিত্যিক-অনুবাদক মুম রহমান, কবি সুমী সিকান্দার, কবি ওবায়েদ আকাশ ও কথাসাহিত্যিক মোজাফফর হোসেন।

আবহাওয়াজনিত সকল রকম দুর্যোগ ও দুর্ভোগ উপেক্ষা করেই গুণীজনদের সমাগম ঘটে এই উদ্যোগে।

কলকাতায় ঐহিক যাত্রা শুরু করেছিল ত্রিশ বছর আগে। মূল ঐহিকের সাথে যুক্ত অথচ স্বাধীন প্লাটফর্মে ‘ঐহিক বাংলাদেশ’ কাজ শুরু করে পাঁচ বছর আগে। শুরু থেকেই তারা সচেষ্ট ছিল দুই বাংলাভাষী অঞ্চলের মধ্যে সেতুবন্ধ তৈরিতে। সীমানাহীন সাহিত্যের এই উদ্যোগে সম্মাননা প্রদান, বই প্রকাশ, সাহিত্যআড্ডা ও অন্যান্য ছোট-বড় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কাজ করছিল। এবারই প্রথম ঐহিক বাংলাদেশ আত্মপ্রকাশ করল প্রিন্ট ভার্সনে। ৪ মে শনিবার দীপনপুরে ছিল তেমনই এক নিবিড় করে নেওয়া সাহিত্যসন্ধ্যা।  

ঐহিক বাংলাদেশের পক্ষে স্বাগত বক্তব্য ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানান পত্রিকাটির সহ-সম্পাদক কবি সুমী সিকানদার। সঞ্চালনায় ছিলেন নুরেন দূর্দানী।  

লিটল ম্যাগাজিন এক স্পর্ধার নাম, এ বিষয়কে কেন্দ্র করেই অনুষ্ঠানের শুরু। এ বিষয়ে মূল্যবান বক্তব্য রাখেন কবি-অনুবাদক জুয়েল মাজহার। বর্তমানের এই ওয়েব-দুনিয়ায় লিটল ম্যাগাজিন কি হুমকির মুখে? এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন ‘শালুক’ সম্পাদক  কবি ওবায়েদ আকাশ। বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি জুয়েল মাজহারসহ অতিথিরাঅণুগল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন কথাসাহিত্যিক পারভেজ হোসেন। এর পরপরই এ অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বরেণ্য কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক তার সংক্ষিপ্ত শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। সেই সঙ্গে কবি জুয়েল মাজহার, কথাসাহিত্যিক পারভেজ হোসেন, হাবিব আনিসুর রহমান, নাসিমা আনিস, ঝর্না রহমান, মুম রহমান, কবি ওবায়েদ আকাশ, কথাসাহিত্যিক মোজাফফর হোসেনের উপস্থিতিতে ‘অণু থেকে উত্তরণ’-এর মোড়ক উন্মোচন করেন বিশেষ অতিথি আনোয়ারা সৈয়দ হক।

সাহিত্য অঙ্গনে অজস্র লিটল ম্যাগের ছড়াছড়ি। নির্ভেজাল সাহিত্যচর্চা সে অর্থে কতোটা হচ্ছে এবং আরও নতুন নতুন পত্রিকার প্রয়োজনীয়তাই বা কতটুকু এ বিষয়ে বক্তব্য রাখেন কবি ও কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমান।

ফ্ল্যাশ ফিকশন, অণুগল্প, ড্রিবল, ড্রাবল, সাডেন ফিকশন কোনটা কী, সে বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন এ সময়ের গল্পকার, ক্রিটিক মুম রহমান। গল্পকার, আনুবাদক মোজাফফর হোসেন তার প্রাঞ্জল বক্তব্য দিলেন ছোটগল্প, ছোটকাগজ বিষয়ে। পরের অংশে ছিলো পত্রিকায় প্রকাশিত অনুগল্প থেকে পাঠ। পাঠ করেন গল্পকার মুম রহমান, কথাসাহিত্যিক ঝর্না রহমান, নাসিমা আনিস, অঞ্জন আচার্য, মনিকা চক্রবর্তী, ফারহানা রহমান, কাজী লাবণ্য, ম্যারিনা নাসরীন, সাইফ বরকত উল্লাহ ও  মাহরীন ফেরদৌস।

ঐহিক বাংলাদেশের সম্পাদক মেঘ অদিতি জানান, প্রারম্ভিক সংখ্যা অণু থেকে উত্তরণের মোড়ক উন্মোচনের মাধ্যমে পত্রিকাটি তার সাহিত্যভিত্তিক কার্যক্রম চালিয়ে যাবে। একই সাথে সীমানাহীন সাহিত্যের সমস্ত রকম উদ্যোগ ও উদ্যম অব্যাহত থাকবে। সাহিত্যকে যেমন কোনো কাঁটাতারে আটকে রাখা যায় না, তেমনই কথা নয়, কাজই হোক আমাদের পরিচয়। এগিয়ে যাক ঐহিক বাংলাদেশ। ভৌগোলিক ও রাজনৈতিক বিভাজন অগ্রাহ্য করে বাংলাভাষা এক ও অখণ্ড সত্তায় এগিয়ে চলুক ও অন্য ভোরের সন্ধানে।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৯ ঘণ্টা, মে ০৫, ২০১৯
জেএম/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।