ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে কবিদের বিপক্ষে জয়ী কথাসাহিত্যিকরা

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৭ ঘণ্টা, জুন ২২, ২০১৯
প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে কবিদের বিপক্ষে জয়ী কথাসাহিত্যিকরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচে কবিদের বিপক্ষে জয় লাভ করেছেন কথাসাহিত্যিকরা।

শুক্রবার (২১জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের মাঠে কবি ও কথাসাহিত্যিকদের মধ্যকার এ প্রীতি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়।  

ম্যাচে কবিরা ‘গীতাঞ্জলি’ ও কথাসাহিত্যিকরা ‘খোয়াবনামা’ নামে দু’দলে বিভক্ত হয়ে অংশ নেন।

গীতাঞ্জলি দলের অধিনায়কত্ব করেন কবি মোহাম্মদ সাদিক। অন্যদিকে খোয়াবনামা দলের অধিনায়কত্ব করেন কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।

ম্যাচের উদ্বোধন করেন কবি কামাল চৌধুরী। উদ্বোধনকালে তিনি বলেন, আমি কবিতা লিখি, এজন্য আমার হৃদয় কবিদের দিকে থাকে। কিন্তু আমি মস্তিষ্ক দিয়ে চলি। এজন্য যারা ভালো খেলবে আমি তাদের পক্ষে।

বৃষ্টির কারণে নির্ধারিত সময়ে টস অনুষ্ঠিত হয়নি। পরবর্তীতে বিকেল তিনটার পর মাঠ খেলার উপযুক্ত হলে টস অনুষ্ঠিত হয়। এতে জয়ী হয়ে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন গীতাঞ্জলির অধিনায়ক কবি মোহাম্মদ সাদিক।  

নির্ধারিত ১৫ ওভারের ব্যাট করতে নেমে গীতাঞ্জলি একাদশ সব কয়টি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে জমা করে ৮০ রান। যার মধ্যে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন কবি দীপংকর মারডুক। অন্যদিকে বোলিংয়ে হ্যাট্রিকসহ ৫ উইকেট নেন খোয়বনামা দলের বোলার সাজ্জাক হোসেন শিহাব।  

জবাবে ৮১ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে খোয়াবনামার শুরুটা একটু ধীরগতিতেই হয়। পরবর্তীতে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় ভালোভাবেই লক্ষ্য তাড়া করতে থাকে দলটি। কিন্তু গীতাঞ্জলি দলের বোলার মিছিল খন্দকার ও মোসাব্বির আহে আলীর দারুণ বোলিং আবারও আটকে দেয় তাদের। তবে এই অবস্থা বেশিক্ষণ বিরাজ করতে দেননি খোয়াবনামার লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা। সিঙ্গেল-বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ১৩ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে চ্যাম্পিয়ন হয় খোয়াবনামা একাদশ।

ম্যাচ শেষে এদিন বিকেলেই প্রধান অতিথি হিসেবে বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার ট্রফি তুলে দেন বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী। এ সময় তিনি সেরা ব্যাটসম্যান হিসেবে গীতাঞ্জলির দীপংকর মারডুক, ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হিসেবে খোয়বনামার বোলার সাজ্জাক হোসেন শিহাব আর সেরা বোলার হিসেবে মিছিল খন্দকারের নাম ঘোষণা করেন। পরে সেরা ব্যাটসম্যান দীপংকর মারডুককের হাতে জীবনানন্দ রচনাবলী (৬ খণ্ড), ম্যান অব দ্য ম্যাচ সাজ্জাকের হাতে বিভূতিভূষণ রচনাবলী (১০ খণ্ড) আর সেরা বোলার মিছিল খন্দকারের হাতে জীবনানন্দ রচনাবলী (৬ খণ্ড) তুলে দেন তিনি।  

বাংলা অ্যাকাডেমির মহাপরিচালক বলেন, এটি একটি বিরল অভিজ্ঞতা। এ ধরনের অভিজ্ঞতার ভেতর দিয়ে আমরা আগামী দিনেও যাবো। আগামীতে কবি-লেখক-প্রাবন্ধিক-গল্পকারদের আরও টুর্নামেন্ট হবে। এভাবে আমরা আমাদের সম্মিলনটাকে আরও দীর্ঘায়িত করব।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক মিহির লাল সাহা ও কথা সাহিত্যিক মোহিত কামাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন প্রীতি ম্যাচ আয়োজন কমিটির আহ্বায়ক অনিকেত শামীম।

আয়োজিত এ প্রীতে ম্যাচে দু’দলের খেলোয়াড়রা হলেন-

গীতাঞ্জলি একাদশ:
মোহাম্মদ সাদিক (অধিনায়ক), শামীম রেজা (সহ-অধিনায়ক), জাকির জাফরান, জুয়েল মুস্তাফিজ, রোকন জহুর, মামুন খান, শিমুল সালাহউদ্দিন, মিছিল খন্দকার, অরবিন্দ চক্রবর্তী, সানাউল্লাহ সাগর, সাইয়েদ জামিল, নাঈম ফিরোজ ও মোসাব্বির আহে আলী।

খোয়াবনামা একাদশ:
ইমদাদুল হক মিলন (অধিনায়ক), জাকির তালুকদার (সহ-অধিনায়ক), আশরাফ জুয়েল, তানিম কবির, অরণ্য প্রভা, মেহেদী উল্লাহ, ফারুক সুমন, মোজাফফর হোসেন, রাসেল রায়হান, আসান উজ জামান, হাসান জামিল, মহসীন চৌধুরী জয়, সাজ্জাক হোসেন শিহাব, মেহেদী ধ্রুব রিশাদ ও আল ইমরান।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৭ ঘণ্টা, জুন ২১, ২০১৯
এসকেবি/এসএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।