ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বাংলা একাডেমিতে জাতীয় শোকদিবসের সেমিনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০১৯
বাংলা একাডেমিতে জাতীয় শোকদিবসের সেমিনার বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোকদিবস উপলক্ষে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক হাবীবুল্লাহ সিরাজী।

‘বঙ্গবন্ধুর বাঙালি সত্তা’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতা দেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ।

প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতিত্ব করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।

স্বাগত বক্তব্যে হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, বাংলা একাডেমি ইতিহাসের মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর আসন্ন জন্মশতবর্ষকে সামনে রেখে গ্রহণ করেছে বছরব্যাপী কর্মসূচি। স্বল্পতম সময়ে আমরা বঙ্গবন্ধুর চীন ভ্রমণের আলেখ্য পুস্তক আকারে প্রকাশের বিষয়ে আশাবাদী। এছাড়া পর্যায়ক্রমে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের বিশ্লেষণমূলক ১০০টি বই প্রণয়ন ও প্রকাশের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।

‘বঙ্গবন্ধুর বাঙালি সত্তা’ শীর্ষক বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. হারুন-অর রশিদ বলেন, বঙ্গবন্ধু এবং বাঙালি সত্তা এক ও অভিন্ন। তিনি ছিলেন বাঙালি সত্তার প্রকৃত প্রতিনিধি। বাঙালি জনগোষ্ঠীর আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হয়েছে তার সারাজীবনে ও কর্মে। বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি এবং বাঙালি জাতীয়তাবোধ তার কর্মপ্রেরণার মর্মমূলে কাজ করেছে সবসময়।

‘রাজনীতি-জীবনের শুরু থেকেই শেখ মুজিব বাঙালির উৎপত্তি, বিকাশধারা এবং পূর্বাপর বিষয়ে সচেতন ছিলেন। বাঙালিকে রাষ্ট্রক্ষমতার স্বাদ দিতে তিনি যেমন প্রয়াসী ছিলেন তেমনি একটি ভাষাভিত্তিক বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই ছিল তার লক্ষ্য। এ লক্ষ্যে পৌঁছুতে তিনি ভাষা আন্দোলন, ছাত্র আন্দোলন, ছয় দফা আন্দোলন, গণঅভ্যুত্থান এবং মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে তার নিরন্তন সংগ্রাম জারি রেখেছেন। বাঙালি জনগণও তার ইস্পাতদৃঢ় নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠা করেছে বাংলাদেশ নামক স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। ’

প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী কেবল শোকের নয়, সংকল্পেরও। কারণ তিনি আমাদের স্বাধীনতামুখী সংকল্পে উদ্বুদ্ধ করেছেন, মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছেন, পৃথিবীর বুকে উপহার দিয়েছেন একটি সংবিধান, একটি পতাকা, একটি মানচিত্র। আজকের দিনে বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবন থেকে শিক্ষা নিয়ে তারই আদর্শে ক্ষুধা-দারিদ্র্য-বৈষম্য এবং সাম্প্রদায়িকতামুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংকল্পই হবে আমাদের প্রধান কর্তব্য।

সভাপতির বক্তব্যে ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, বাঙালি সত্তার মৌল কেন্দ্রে যে অসাম্প্রদায়িক মূল্যবোধ, বৈষম্যহীন আর্থসামাজিক ধারণা এবং উদার-প্রগতিমুখী অভিযাত্রার চেতনা নিহিত আছে; বঙ্গবন্ধু তার গোটা জীবনে তা ধারণ করে গেছেন। ঔপনিবেশিক আধিপত্যের শৃঙ্খল ভেঙে স্বাধীনতার সোনালি ঊষার পানে তিনি নিয়ে গেছেন বাঙালি জাতিকে। বঙ্গবন্ধু তার জীবন দিয়ে বাঙালি সত্তার প্রতি তার অবিচল ভালোবাসা প্রকাশ করে গেছেন, তারই পথরেখায় আমরা এগিয়ে চলেছি সমৃদ্ধ-আধুনিক বাংলাদেশের দিকে।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৯, ২০১৯
এইচএমএস/এইচএডি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।