ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

জীবনানন্দ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শনিবার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৬, ২০১৯
জীবনানন্দ পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান শনিবার

বরিশাল: বাংলা সাহিত্যে বিশেষ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ‘জীবনানন্দ পুরস্কার-২০১৯’ দেওয়া হবে শনিবার (২৬ অক্টোবর)। এবার কথাসাহিত্যে আবদুল মান্নান সরকার ও কবিতায় জুয়েল মাজহার এ পুরস্কার পাচ্ছেন।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় বরিশাল নগরের রায় রোডে খেয়ালী থিয়েটারের কর্মবীর আবদুল খালেক খান গণপাঠাগারে এক অনুষ্ঠানে দু’জনের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে।

অনুষ্ঠানে একইসঙ্গে উন্মোচন করা হবে পুরস্কারপ্রাপ্ত দু’জনসহ চার মহীরুহ সাহিত্যিকের সৃষ্টকর্মের ওপর বীক্ষণাত্মক প্রবন্ধমালা দিয়ে সাজানো ছোটকাগজ ‘ধানসিড়ি’র অষ্টম সংখ্যার মোড়ক।

আবদুল মান্নান সরকার ও জুয়েল মাজহার ছাড়া বাকি যে দুই সাহিত্যিক এতে স্থান পেয়েছে, সে দু’জন হলেন ক্লাসিক সাহিত্যিক হিসেবে কবি আহসান হাবীব ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের কথাসাহিত্যিক গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজ।

আড্ডা-ধানসিড়ির আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন পুরস্কারের চূড়ান্ত মনোনয়ন বোর্ডের অন্যতম সদস্য ও রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গের উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. নিখিলেশ রায়।

কথাসাহিত্যিক আব্দুল মান্নান সরকারের জন্ম ১৯৫২ সালে পাবনার বেড়া উপজেলায়। পেশা অধ্যাপনা। তার প্রকাশিত উপন্যাস- ‘পাথার’, ‘যাত্রাকাল’, ‘কৃষ্ণপক্ষ’, ‘নয়াবসত’, ‘পিতিপুরুষ’, ‘আরশিনগর’ ও ‘জনক’ এবং গল্পগ্রন্থ- ‘নিরাকের কাল’, ‘দুই দিগন্তের যাত্রী’ ও ‘নীল পাথরের বিষ’।

কবি জুয়েল মাজহার ১৯৬২ সালে নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমানে অনলাইন নিউজপোর্টাল বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সম্পাদক। তার প্রকাশিত কাব্য- দর্জি ঘরে একরাত, মেগাস্থিনিসের হাসি, দিওয়ানা জিকির এবং অনুবাদ বই- ‘কবিতার ট্রান্সট্রোমার’ ও ‘দূরের হাওয়া’।

পুরস্কারের জন্য গত ১৮ ফেব্রুয়ারি এই দুইজনের নাম ঘোষণা করে জুরি বোর্ড। বিষয়টি বাংলানিউজকে জানান জীবনানন্দ পুরস্কার-২০১৯ কমিটির আহ্বায়ক মুহম্মদ মুহসিন।

মুহম্মদ মুহসিন বলেন, এই পুরস্কারের রীতি হচ্ছে- ধানসিড়ি ও ‘দূর্বা’র প্রযোজনায় পাঁচজন কবি ও পাঁচজন কথাসাহিত্যিকের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা দেশের বিশিষ্ট ১০ সাহিত্যিক বা সাহিত্য-সমঝদারের কাছে পাঠানো হয়। ওই ১০ জনের নির্বাচনের বা ভোটের ভিত্তিতে একজন কথাসাহিত্যিক ও একজন কবিকে জীবনানন্দ পুরস্কার দেওয়ার জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করা হয়।

২০০৭ সালে দ্বিবার্ষিক এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। এর আগে এ পুরস্কার পেয়েছেন- ২০১৬ সালে কবি মাসুদ খান এবং কবি ও কথাসাহিত্যিক মহীবুল আজিজ, ২০১৪ সালে কবি খালেদ হোসাইন ও কথাসাহিত্যিক ইমতিয়ার শামীম, ২০১৩ সালে কবি খোন্দকার আশরাফ হোসেন ও প্রাবন্ধিক শান্তনু কায়সার, ২০০৮ সালে কবি কামাল চৌধুরী ও কথাসাহিত্যিক সুশান্ত মজুমদার এবং ২০০৭ সালে কবি আসাদ মান্নান ও কথাসাহিত্যিক সালমা বাণী।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৫, ২০১৯
এমএস/এসএ/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।