সে ধারাবাহিকতায় রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ‘শেখ হাসিনা বাংলাদেশের স্বপ্নসারথি’ শীর্ষক আলোচনা সভা। এতে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে অংশগ্রহণ করেন সংস্কৃতি সচিব ড. মো. আবু হেনা মোস্তফা কামাল এনডিসি ও কালের কণ্ঠ সম্পাদক কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন।
শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশের উন্নয়নের রূপকার উল্লেখ করে ইমদাদুল হক মিলন বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বপ্নের বাংলাদেশ দিয়ে গেছেন। তার স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে চলেছেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশে যে বিস্ময়কর উন্নয়ন হচ্ছে, দেশ ও জাতি এগিয়ে যাচ্ছে, সারাবিশ্বে বাংলাদেশের সুনাম বৃদ্ধি পাচ্ছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণেই তা সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, কিশোরদের উপযোগী বঙ্গবন্ধুর জীবনী লিখছি। সেটা লিখতে গিয়ে শুধু বঙ্গবন্ধুর বই নয়, খুটিয়ে খুটিয়ে পড়েছি শেখ হাসিনার সব বইও। তার লেখা যেমন অসাধারণ, তেমনই গুণে ও মানে অনন্য। তিনি শুধু সফল রাষ্ট্রনায়ক নন, তিনি সফল লেখকও।
সংস্কৃতি সচিব আবু হেনা মোস্তফা কামাল বলেন, বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেটা ধরেই এগিয়ে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। ২০২১ সালের ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্ন নির্দিষ্ট সময় আসার আগেই বাস্তবায়নের পথে। সেদিক থেকে ২০৪১ সালের রূপকল্পও এখন বাংলার মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতীক। বৈশ্বিক সেমিনারগুলোতে বিদেশিরা এখন বাংলাদেশকে উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করে। ছোট্ট দেশ হয়েও, নিজেদের প্রাকৃতিক সম্পদ অধিক পরিমাণে না থাকলেও বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল। এখান থেকেই বোঝা যায় দেশের উন্নয়নে নেতৃত্বটা দৃঢ়।
সভাপতির বক্তব্যে শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বলেন, শেখ হাসিনা জাগ্রত থাকেন বলেই বাংলার ১৭ কোটি মানুষ নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে। তিনি একইসঙ্গে যেমন দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটান, তেমনি নিজের পরিবারকে হারিয়েও সাধারণ মানুষের মতো প্রতিশোধপরায়ণ নন। শিল্প-সমালোচক ও শিল্পবোধেও তিনি জাগ্রত। মঞ্চনাটক, নৃত্য, সঙ্গীতে দৃষ্টি অনন্য। নেত্রী সবসময়ই বিশ্বাস করেন, সাংস্কৃতিক আন্দোলন ছাড়া রাজনৈতিক আন্দোলন সম্ভব নয়। তাই, দেশের এগিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি শিল্পের উন্নয়নেও তার অবদান অনন্য।
জাতীয় চিত্রশালা ভবনের এক ও ছয় নম্বর গ্যালারিতে প্রদর্শনী ২৮ সেপ্টেম্বর শুরু হয়ে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত চলার কথা থাকলেও দর্শনার্থীদের চাহিদার প্রেক্ষিতে সময় আগামী ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এইচএমএস/একে