সোমবার (২৮ অক্টোবর) জেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ সমঝোতা চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা দেবজিৎ সিংহ এবং ইনোভেটরের পক্ষে মুখ্য সঞ্চালক রেজওয়ান আহমদ ও নির্বাহী সঞ্চালক প্রণব কান্তি দেব।
‘জ্ঞানের আলোয় অবাক সূর্যোদয়/এসো পাঠ করি/বিকৃতির তমসা থেকে/আবিষ্কার করি স্বাধীনতার ইতিহাস’ এ স্লোগানে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস তরুণ প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে ২০০৬ সাল থেকে বই পড়া উৎসব অনুষ্ঠান করে আসছে জীবনমান উন্নয়ন প্রয়াসী সংস্থা ইনোভেটর।
সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালনে জেলা পরিষদের উদ্যোগ ও ইনোভেটরের কর্মতৎপরতা একই সুতোয় গাঁথা। মুক্তিযুদ্ধের স্বপ্ন কখনো বৃথা যেতে পারে না। তারুণ্য নির্ভর আগামীর নেতৃত্ব গড়তে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে পথচলা দেখাবে বই পড়া উৎসব।
ইনোভেটরের মুখ্য সঞ্চালক সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ বলেন, যারা মুক্তিযুদ্ধকে ভালোবাসেন, বই পড়তে ভালোবাসেন, তাদের জন্য বই পড়া উৎসব। আর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস জানার সবচেয়ে নির্ভরশীল মাধ্যম হিসেবে কাজ করছে ইনোভেটর।
তিনি বলেন, ভবিষ্যত বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেওয়া তরুণদের মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাসের কাছে নিয়ে যাওয়াই ইনোভেটরের মূল লক্ষ্য।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তাপস দাশ পুরকায়স্থ, সাংবাদিক ইকরামুল কবির, ইমজার সভাপতি বাপ্পাঘোষ চৌধুরী, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সানজিদা চৌধুরী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এনামুল মুনির প্রমুখ।
ইনোভেটর কর্তৃপক্ষের সূত্রে জানা যায়, ২০০৬ সালে মাত্র শ’খানেক তরুণ-তরুণীর হাতে শহীদ জননী জাহানারা ইমামের ‘একাত্তরের দিনগুলি’ বইটি তুলে দেওয়ার মাধ্যমে ইনোভেটর বই পড়া উৎসব শুরু করে। এরপর থেকে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভিত্তিক বিভিন্ন বই পড়ানো হয়ে আসছে। পাশাপাশি তার ওপর পরীক্ষা নিয়ে সেরাদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ করে আসছে ইনোভেটর।
বর্তমানে ইনোভেটরের বই পড়া উৎসবে ১২ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী অংশগ্রহণ করেন বলে জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ২২০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এনইউ/এবি/আরবি/