রোববার (২৬ জানুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে বইটি নিয়ে আলোচনা হয়।
ফোকলোর ফিল্ডওয়ার্ক রিসার্চ সেন্টারের আয়োজনে এ আলোচনা সভায় জাতীয় জাদুঘরের ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি শামসুজ্জামান খানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যাত্রাশিল্পী মিলন কান্তি দে।
শামসুজ্জামান খান বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের আগে এরকম একটি গ্রন্থ প্রকাশ করায় আমিনুর রহমান সুলতানকে ধন্যবাদ জানাই। খুব সতর্কতার সঙ্গে এ রকম কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
অনুভূতি প্রকাশে গ্রন্থটির রচয়িতা আমিনুর রহমান সুলতান বলেন, লোক দেখানোর জন্য নয়, প্রয়োজন মনে করেই গ্রন্থটি প্রকাশ করেছি। আজকের আলোচকদের কথায় কাজ করার জন্য আরও দায়বদ্ধ হলাম।
মূল প্রবন্ধে সাইমন জাকারিয়া বলেন, বইটি মিশ্ররীতির। এতে একই সঙ্গে সংকলনধর্মী এবং গবেষণামূলক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর সংকলনধর্মী বৈশিষ্ট্য ফুটে উঠেছে মূলত বাউলগান, ভাওয়াইয়া গান, যাত্রাপালায় বিবেকের গান, গম্ভীরাগান, জারিগান ও ভাটকবিতা তথা পুঁথিগানের সংকলনের মধ্য দিয়ে। এর গবেষণামূলক বৈশিষ্ট্য প্রকাশ পেয়েছে প্রসঙ্গ কথা এবং প্রতি গানের সংকলনপর্বের পূর্বে গ্রন্থিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমরা ঐতিহ্যবাহী সঙ্গীত সংস্কৃতিতে প্রতিফলিত বঙ্গবন্ধুর জীবন ইতিহাস ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জনসাংস্কৃতিক স্বরূপ বিশ্লেষণে নিয়োজিত রয়েছি। এ বিশ্লেষণের ভেতর দিয়ে বাংলাদেশের সাধক কবিদের সামাজিক, রাজনৈতিক সচেতনতার প্রকাশ যেভাবে হবে, সেভাবে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক মনস্তত্ত্বের পুনর্জাগরণে সাধক কবিদের দেখানো পথ অনুসরণের ইঙ্গিতপূর্ণ নির্দেশনা লাভ করা যেতে পারে।
আমিনুর রহমান সুলতানের ‘লোকগানে জনকের মুখ’ বইটিতে সাতটি অধ্যায় রয়েছে। সেগুলো হলো: ‘বাউলগানের বঙ্গবন্ধু’, ‘ভাওয়াইয়াগানে বঙ্গবন্ধু’, ‘পুঁথিগানে বঙ্গবন্ধু’, ‘যাত্রাপালায় বিবেকের গানে বঙ্গবন্ধু’, ‘গম্ভীরা গানে বঙ্গবন্ধু’, ‘ভাটকবিতায় বঙ্গবন্ধু’ এবং ‘জারিগানে বঙ্গবন্ধু’। ১২৫ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ২০০ টাকা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৬, ২০২০
ডিএন/এফএম