শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর জিগাতলার বিজিবি সম্ভারের ব্যাংকোয়েট হলে অনুষ্ঠিত ‘অংকনে একুশ ২০২০’ শিরোনামের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় এমন দৃশ্যকল্পই চিত্রিত ছিল শিশুদের তুলিতে।
নতুন প্রজন্মের মাঝে বাংলাদেশের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস ও একুশের চেতনা সঞ্চারের উদ্দেশে বাদার্স ফার্নিচার লিমিটেডের আয়োজনে এই চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
সকাল ৯টায় প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে শেষ হয় দুপুর দেড়টায়। এরপর বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা ও পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাদার্স ফার্নিচার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইলিয়াস সরকার, পরিচালক শরিফুজ্জামান সরকার, প্রতিযোগিতা পরিচালনা প্রধান ও বাংলাদেশ আর্টিস ক্লাবের সভাপতি শিল্পী সঞ্জীব দাস অপু প্রমুখ।
প্রথম, দ্বিতীয় কিংবা তৃতীয়-এমন কোন প্রকার মানদণ্ড না রেখে এ প্রতিযোগিতা থেকে শিল্পী সঞ্জীব দাস অপুর নেতৃত্বে ১৩জন বিচারক প্রতিটি বিভাগে তিনজন করে মোট ১২জনকে সেরা আঁকিয়ে নির্বাচন করেন।
এর মধ্যে ক-বিভাগে সেরা তিনজন হলেন-আফরা নাওয়ারা সিরাজী, অনুভা হালদার ও প্রকৃতি। খ-বিভাগে সেরা তিনের পুরস্কার জিতেছেন-তাইয়্যিবা রহমান, মিসরাত মাহদিয় ও খন্দকার তাহাজিবা। গ-বিভাগের সেরা তিন অর্জন করেছেন-স্বস্তি চৌধুরী, অধরা চক্রবর্তী ও আনিশা সান্তনি। ঘ-বিভাগে সেরা বিজয়ীরা হলেন-পিদিম রায়, আবির রায় চৌধুরী ও মাশহুন জাহান চৌধুরী। এছাড়া অংশগ্রহণকারী সকল শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণ করা হয় সনদপত্র।
পুরস্কার প্রাপ্তদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার বলেন, এখন দেশে বিভিন্ন সংগঠন ছবি আঁকার প্রতিযোগিতা করে, সেখানে অনেকে অংশ নেয়। আজকের এ আয়োজনটা খুব ভালো হয়েছে। এমন আনন্দঘন আয়োজনে যারা ভিড়ের মধ্যে ছবি এঁকে পুরস্কার পেয়েছো কিংবা যারা পাওনি-সকলকে অভিবাদন।
এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমি তোমাদের ছবি আঁকার একটা নিয়ম শেখাতে চাই। ভালো ছবি আঁকার সবচেয়ে ভালো নিয়ম হলো- ছবি আঁকার কোন নিয়ম নেই।
আয়োজনের প্রধান সমন্বয়ক জাহিরুল হাসান জুয়েল জানান, এ ‘অংকনে একুশ’ চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় দেড় হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছিল। এর মধ্যে ক-বিভাগে শিশু শ্রেণী থেকে প্রথম শ্রেণীর শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে প্রায় ৪৭৫জন, খ-বিভাগে দ্বিতীয় শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণীর প্রায় ২৩০জন, গ-বিভাগে ৪র্থ থেকে ৫ম শ্রেণীর প্রায় ২০০ জন এবং ঘ-বিভাগে ৬ষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর একশ’রও বেশি শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করে।
বাংলাদেশ সময়: ০৭৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২০
এইচএমএস/জেআইএম