বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বাংলানিউজের শিল্প-সাহিত্য পাতায় প্রকাশ করা হবে এ নাটক। এর ভূমিকা, টীকা ও অনুবাদ করেছেন সাহিত্যিক ও অনুবাদক মুম রহমান।
এডওয়ার্ড এলবি মূলত অ্যাবসার্ড ঘরানার নাট্যকার। বালুর বাক্স নাটকটিও এই রীতিতে লিখিত। নাটকের শুরুতে রৌদ্রস্নাত উজ্জ্বল দিনে এক তরুণকে সমুদ্র সৈকতে শরীরচর্চা করতে দেখা যায়। তার পাশেই এক বালির বাক্স। একপর্যায়ে সেখানে হাজির হন এক বয়সী দম্পতি। মনে হয় যেন, তারা ওই তরুণের বাবা-মা। এরপর ঘটনাচক্রে নারীটির বৃদ্ধা মাও সেখানে উপস্থিত হন। সেই বৃদ্ধা খোশগল্পে মেতে ওঠেন তরুণটির সঙ্গে। নানা রকম উদ্ভটত্ব আর অপ্রত্যাশিত মোচড়ে গল্প এগোতে থাকে। দিন শেষে নেমে আসে নিকষ কালো রাত। তরুণটি এবারে বৃদ্ধার দিকে এগিয়ে যায়, আর নিজের আসল পরিচয় প্রকাশ করে। জানা যায়, সে আসলে মৃত্যুর দেবতা...
এডওয়ার্ড আলবির জন্ম ১৯২৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে। জন্মের দু’সপ্তাহ পরই এডওয়ার্ড এলবিকে পালক নেন রিড এলবি। রিডের দ্বিতীয় স্ত্রী তাকে পুত্র হিসাবে কোলে তুলে নেয়। কিন্তু এই মা’র সঙ্গে কোনদিনই বনিবনা হয়নি এলবি’র। এলবির আসল বাবা এডওয়ার্ড ফ্রাঙ্কলিন এলবি ছিলেন একাধিক ভদ্যুভাইলের মালিক। ভদ্যুভাইল হলে মঞ্চের বিচিত্র অনুষ্ঠান। নাটক, নাগ, কৌতুক সব কিছুই হতো এখানে। বাবার জিনের সূত্র ধরেই হয়তোবা পরবর্তীতে এডওয়ার্ড এলবি হয়ে উঠেন আধুনিক আমেরিকান থিয়েটারের অন্যতম স্থপতি। সৎ মা বারবার চেয়েছেন ছেলেকে নাটক, থিয়েটার থেকে দূরে রাখতে, অভিজাত পরিবারের লক্ষী সন্তান বানাতে। কিন্তু এলবি ছোটবেলা থেকে স্কুল পালাতেন। স্কুল থেকে বরখাস্ত হয়েছেন, এমনকি আর্মি একাডেমি থেকেও তাকে বিদায় দেয়া হয়েছে। যাহোক কোনভাবে গ্র্যাজুয়েশন করেছেন তিনি। আর নিয়ম-বন্ধন না-মানা এলবি প্রথম যেখানে স্থির হলেন সেটি হলো মঞ্চ নাটক।
১৯৫৮ সালে প্রথম মঞ্চ নাটক ‘দ্য জু স্টোরি’ দিয়েই তিনি শুধু আমেরিকা না, সারা বিশ্বের নাট্যপ্রেমীদের মন জয় করে নিলেন। তারপর একে একে ‘দ্য স্যান্ডবক্স (১৯৫৯), ‘হু’জ এফ্রেইড অব ভার্জিনিয়া উলফ (১৯৬২), আ ডেলিকেট ব্যালেন্স (১৯৬৬), ‘থ্রি টল ওম্যান’ (১৯৯৪)-এর মতো কিংবদন্তী সব নাটক রচনা করেছেন। নাট্য রচনার জন্যে তিনবার পুলিৎজার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। আর আমেরিকার নাটকের সবচেয়ে বড় পুরস্কার টনি এওয়ার্ড পেয়েছেন আরো দুইবার।
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, মার্চ ১১, ২০২০
এইচজে