শনিবার (১৪ মার্চ) জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে আয়োজন করা হয় সুরসপ্তকের দুই দশক পূর্তির আয়োজন। সেখানে আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় ফেরদৌসী রহমানকে।
এছাড়াও শ্রদ্ধাঞ্জলি স্মারক সম্মাননা দেওয়া হয় ফিরোজা বেগম, সোহরাব হোসেন, সুধীন দাস, আবদুশ শাকুর এবং নীলুফার ইয়াসমিনকে।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন নজরুল গবেষক জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সুরসপ্তকের প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক ফেরদৌস আরা।
অনুষ্ঠানে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের অনেক গুণী শিল্পী ছিলেন। কিন্তু তারা কেউই নজরুল সঙ্গীত শিখিয়ে যাননি। এদিক থেকে ফেরদৌস আরা ব্যতিক্রম। সে বিশ বছর ধরে তার প্রতিষ্ঠিত সুরসপ্তকের মাধ্যমে নজরুল সঙ্গীত শিখিয়ে যাচ্ছেন। সবার মাঝে ছড়িয়ে যাক নজরুল সঙ্গীত।
মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, সুরসপ্তক বিশ বছর উদযাপন করছে। বিশ বছর ধরে তারা নজরুলের গান নিয়ে কাজ করছে। অর্থনৈতিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দেশকে সুসংগঠিত করা যায় না। সে জন্য সংস্কৃতি চর্চা বাড়াতে হবে।
ডা. মুরাদ হাসান বলেন, সুরসপ্তকের বিশ বছর পূর্তির এ আয়োজন ইতিহাস হোক। এই পথচলা অব্যাহত রাখতে হবে। আগামী দিনের বাংলাদেশের সামনে নজরুলকে তুলে ধরুক- এটাই আমার প্রত্যাশা।
ফেরদৌস আরা বলেন, দেখতে দেখতে সুরসপ্তক আজ বিশ বছর পূর্ণ করেছে। আজ বাবা বেঁচে থাকলে হয়তো সবচেয়ে বেশি খুশি হতেন। সংগঠনটির পথচলার প্রতিটি পদক্ষেপে, সংগ্রামে বাবাকে অনুপ্রেরণা হিসেবে নিয়েই এগিয়ে চলেছি। আর পেয়েছি কিছু মানুষের সহযোগিতা। যে কারণে সুরসপ্তক আজ এই পর্যায়ে আসতে পেরেছে।
এর আগে শুরুতেই সুরসপ্তকের শিল্পীদের পরিবেশনায় ছিলো উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত ‘পিউ পিউ বিরহী পাপিয়া’। এর পর শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল গেয়ে শোনান ‘তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়’।
অনুষ্ঠানে সুরসপ্তকের শিল্পীদের কণ্ঠে গীত হয় নজরুলের বিভিন্ন পর্যায়ের গান।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৪ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২০
ডিএন/এইচএডি/