বুধবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম এবং সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু স্বাক্ষরিত এক শুভেচ্ছা পত্রে এই শুভেচ্ছা জানানো হয়।
৫০ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানু বাংলানিউজকে বলেন, দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে একটি নারী সংগঠনের ৫০ বছরে পা রাখা অনেক বড় ব্যাপার।
তিনি বলেন, বর্তমান সময়ে সমাজে নারীর যে মর্যাদাটুকু প্রতিষ্ঠা পেয়েছে, তার পেছনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের প্রচেষ্টা অনন্য। আমরা চেষ্টা করেছি এবং চেষ্টা করে যাচ্ছি এদেশের নারী-পুরুষের বৈষম্য দূর করে নারীর মানবিক মর্যাদা ও সমতা প্রতিষ্ঠার জন্য। তবে বৈষম্য দূর করতে হলে আমাদের আরো অনেকটা পথ যেতে হবে। এই আন্দোলেনে নতুন প্রজন্মের ভূমিকা অনেক। আর এই আন্দোলন শুধু নারীর একার নয়, নারী-পুরুষ সবাইকে মিলেই এই প্রচেষ্টাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।
নারী-পুরুষের সমতাভিত্তিক দেশ ও সমাজ প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামকে একসূত্রে গ্রথিত করে স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রস্তুতিলগ্নে ১৯৭০ সালের ৪ এপ্রিল প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। দেশপ্রেমের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে সে সময়ের প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনের ছাত্রী তরুণীদের এক অংশ এবং দেশ ও সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ সচেতন নারী সমাজের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমের অঙ্গীকার নিয়ে কবি সুফিয়া কামলের নেতৃত্বে অধিকারভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গী নিয়ে গঠিত হয় আন্দোলনমুখী জাতীয়ভিত্তিক, অরাজনৈতিক এই স্বেচ্ছাসেবী গণ নারী সংগঠনটি।
বাংলাদেশ সময়: ০৩১১ ঘণ্টা, এপ্রিল ০২, ২০২০
এইচএমএস/এএটি