শুক্রবার (১০ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস ও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন ভিক্টর দানিয়েলের ছেলে ভিক্টর দানিয়েল রাজু।
তিনি বলেন, বার্ধক্যজনিত নানা জটিলতায় ভুগছিলেন বাবা। এরমধ্যে দু’দিন আগে তিনি স্ট্রোক করেন। তখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ডাক্তার চিকিৎসা চালিয়ে নিতে বলেন। পরে আজ সকালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
শেষকার্য শেষে পারিবারিকভাবে ভিক্টর দানিয়েলকে খুলনায় সমাহিত করা হবে বলেও এসময় জানান তিনি। একইসঙ্গে তিনি সবার কাছে দোয়া কামনা করেছেন ভিক্টর দানিয়েলের জন্য।
যাত্রাশিল্পী ও নির্দেশক ভিক্টর দানিয়েলের মৃত্যু বাংলাদেশের যাত্রাশিল্পের জন্য বড় ক্ষতি উল্লেখ করেছেন দেশের বিশিষ্ট যাত্রাব্যক্তিত্ব মিলন কান্তি দে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমরা একসঙ্গে অনেক কাজ করেছি। অভিনয় করেছি, নির্দেশনা দিয়েছি। আমাদের অনেক মধুর স্মৃতি আছে। আমি যখন ওর মৃত্যু সংবাদটা শুনি, তখন খুবই আহত হই। আমাদের যাত্রাশিল্প এমনিতেই ভঙ্গুর, এর ওপর ভিক্টর দানিয়েলকে হারিয়ে আমাদের এই শিল্পের আরও বড় ক্ষতি হয়ে গেল।
পরিবারের দেওয়া তথ্যমতে, ভিক্টর দানিয়েল ১৯৫০ সালের ১৫ জানুয়ারি সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার বড়দল গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা পল দেনদ্রোনাথ নাগ এবং মা কামিনী বালা নাগ।
বাংলাদেশের যাত্রাশিল্পের উন্নয়নে এই শিল্পী ও নির্দেশকের অবদান অনন্য। বিশেষ করে তার নির্দেশনায় উদিচীর যাত্রাপালা ‘বিয়াল্লিশের বিপ্লব’ দেশের দর্শকদের কাছে প্রচুর জনপ্রিয়তা লাভ করে।
এদিকে, এই যাত্রাব্যক্তিত্ব হারিয়ে শোক প্রকশ করেছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একেডেমি। তার আত্মার শান্তি কামনা করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২০
এইচএমএস/ডিএন/টিএ