ঢাকা, রবিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

আমি ভয় করবো না ভয় করবো না...

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৩ ঘণ্টা, মে ৮, ২০২০
আমি ভয় করবো না ভয় করবো না... .

ঢাকা: আনন্দ, বেদনা, দ্রোহ, দাহ, স্বপ্ন ও যুদ্ধে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর অফুরন্ত প্রেরণার উৎস। মড়ক, খরা, বন্যা, ঝড়, জলোচ্ছ্বাস আর দুর্ভিক্ষে রবীন্দ্রনাথ আমাদের শোনায় অভয় বাণী। করোনা ভাইরাস নামক অদৃশ্য দুর্বিপাকে থাকা নগরবাসী ঘরে বসেই স্মরণ করলেন কবিগুরুকে। তার জয়ন্তীতে প্রেরণা নিলেন তার গান, কবিতা থেকে।

শুক্রবার (০৮ মে) সকালে রবীন্দ্রজয়ন্তী উপলক্ষে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘আমি ভয় করবো না ভয় করবো না’ শীর্ষক রবীন্দ্র জয়ন্তীর এ অনুষ্ঠানে যৌথভাবে আয়োজন করে শিল্পকলা একাডেমি ও বাংলাদেশ টেলিভিশন।

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জাতীয়ভাবে উন্মুক্তস্থানে কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়নি।

তারই বিকল্প হিসেবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যা বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন সরাসরি সম্প্রচার করে।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদল কণ্ঠে তুলে নেন নিজের জন্মদিনে কবিগুরুর আত্মউপলব্ধির গান- ‘হে নূতন,/ দেখা দিক আর-বার জন্মের প্রথম শুভক্ষণ’।

বাচিকশিল্পী মাহিদুল ইসলাম আবৃত্তি করেন ‘দুঃসময়’ কবিতাটি। বাচিকশিল্পী ডালিয়া আহমেদ পাঠ করেন ‘ঝুলন’ ও ‘নির্ঝরের স্বপ্নভঙ্গ’। আরও পাঠে অংশ নেন কৃষ্টি হেফাজ।

একক কণ্ঠে আজিজুর রহমান তুহিন গেয়ে শোনান ‘যেতে যেতে একলা পথে’ গানটি। অনুষ্ঠানে আরও পরিবেশিত হয় ‘নাই নাই ভয়, হবে হবে জয়, খুলে যাবে এই দ্বার’, ‘আমি ভয় করব না ভয় করব না’।

এ আয়োজনে লোক নাট্যদলের প্রযোজনা ‘রথযাত্রা’ ও প্রাঙ্গণেমোরের ‘আমি ও রবীন্দ্রনাথ’ নাটক থেকে উল্লেখযোগ্য অংশ প্রচারিত হয়। অনেকগুলো কণ্ঠ এক হয়ে গেয়ে উঠলো ‘বিপদে মোরে রক্ষা করো’ ও ‘প্রাণ ভরিয়ে তৃষা হরিয়ে’।

সর্বশেষে সম্মেলক কণ্ঠে ‘আকাশভরা সূর্য তারা’ গানটি পরিবেশনের মধ্য দিয়ে শেষ হয় এ আয়োজন।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৫ ঘণ্টা, মে ০৮, ২০২০
ডিএন/আরআইএস/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।