শুক্রবার (২২ মে) বেলা ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে এ দাবি করা হয়।
চারণ সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের সংগঠক বিপুল কুমার দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক, বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বজলুর রশীদ ফিরোজ, বাসদ নগর কমিটির সদস্যসচিব জুলফিকার আলী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দীন প্রিন্স ও ছাত্রফ্রন্ট ঢাকা নগরের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ।
রণেশ ঠাকুরের গানের ঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনার তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে নেতারা বলেন, গত ১৭ মে রাতে দুর্বৃত্তরা বাউল সম্রাট শাহ আব্দুল করিমের অন্যতম শিষ্য সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার উজানধল গ্রামের বাউল শিল্পী রণেশ ঠাকুরের গানের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এতে ঘরসহ তার প্রিয় দোতারা, অন্য বাদ্যযন্ত্র, প্রায় ৪০ বছর ধরে সংগৃহীত মূল্যবান গানের খাতাসহ অন্যান্য সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে যায়, যা বাংলা সংস্কৃতির জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।
তারা আরও বলেন, বাউল দর্শন বাংলার জনপদের নিজস্ব সংস্কৃতির অংশ। আনুমানিক সপ্তদশ শতক থেকে উদার ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার ও লোকাচার হিসেবে যার চর্চা বাংলার মাটিতে হয়ে আসছে। ২০০৫ সালে ইউনেস্কো বিশ্বের মৌখিক এবং দৃশ্যমান ঐতিহ্যগুলোর মধ্যে বাউল গানকে অন্যতম শ্রেষ্ঠ সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বাউলেরা ধর্মীয় ভেদাভেদের বাইরে বৃহত্তর মানবতার গান গায় সেজন্যই উগ্র সাম্প্রদায়িক শক্তি বারবার বাউলদের উপর হামলা চালায়।
বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে বলা হয়, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে অসাম্প্রদায়িকতার চর্চা যেমন বাড়াতে হবে, জনগণের মধ্যে সে মননজগৎ তৈরি করতে হবে, বাউল সম্প্রদায়সহ অসাম্প্রদায়িক সাংস্কৃতির চর্চা ও জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। যারা শিল্পী রণেশ ঠাকুরের গানের ঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে তাদের দ্রুত গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২৬ ঘণ্টা, মে ২২, ২০২০
আরকেআর/এএ