ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

দ্য গ্র্যান্ড ডটার প্রজেক্ট: ব্রিটিশ-ভারতীয় লেখক শাহীন চিশতীর প্রথম উপন্যাস

শিল্প-সাহিত্য ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২১
দ্য গ্র্যান্ড ডটার প্রজেক্ট: ব্রিটিশ-ভারতীয় লেখক শাহীন চিশতীর প্রথম উপন্যাস

শাহীন চিশতি, বিখ্যাত সুফিসাধক খাজা মইনুদ্দিন চিশতীর এই বংশধর লন্ডনে বসবাসরত একজন লেখক। তিনি বরাবরই নারীর ক্ষমতায়ন বিষয়ক একজন সাহসী প্রবক্তা।

বিশ্ব-সমাদৃত এই ব্যক্তিত্ব কিছুদিন আগে তার প্রথম উপন্যাস ‘দ্য গ্র্যান্ড ডটার প্রজেক্ট’ প্রকাশ করেছেন। যা লিঙ্গ বৈষম্য, জাতিগত নিপীড়ন, যুদ্ধকালীন দুর্দশা ও নারী মুক্তির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ের ওপর লেখা।

লেখকের ভাষ্যমতে, যাদের জীবন মেয়ে, নাতনি অথবা যে কোনো নারীর সঙ্গে সম্পৃক্ত, এ বইটি তাদের জন্য। দ্য গ্র্যান্ড ডটার প্রজেক্ট-এ তিনটি ভিন্ন প্রেক্ষাপটের তিনজন নারীর বাস্তব ঘটনার আলোকে লেখা অভিজ্ঞতার কথা বলা হয়েছে। যেখানে তারা নারীদের সামাজিক মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় সংগ্রাম করেন, কারণ তারা নিজেদের নাতনিদের জন্য একটি সুন্দর ভবিষ্যত গড়তে চান। এ বইতে আছে হেলগার কথা, যিনি হলোকাস্ট থেকে বেঁচে ফেরা একজন নারী। আছেন কমলা, যার জন্ম বাংলার ১৯৪৩ সনের দুর্ভিক্ষে, আর আছেন ল্যানেট, যার জন্ম উইন্ডরাশ প্রজন্মে। এই নারীরা প্রথমবারের মতো নাতনিদের তাদের ফেলে আসা জীবনের ঘটনা শোনান; তাদের সাহস জোগাতে, স্বপ্নের কাছে নির্ভয়ে এগিয়ে যাওয়ার আশা দিতে।

দ্য গ্র্যান্ড ডটার প্রজেক্ট-এর লেখক শাহীন চিশতী বলেন, প্রথম বই প্রকাশ করতে পেরে আমি খুবই আনন্দিত। দ্য গ্র্যান্ড ডটার প্রজেক্ট আমার ভালোবাসার কাজ। আশা রাখছি আমার এই কাজ নারী ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গ বৈষম্য নিয়ে সবাইকে সচেতন করবে। সৌভাগ্যবশত আমি এমন কিছু নারীর মধ্যে বেড়ে উঠেছি, যারা আজকের আমাকে গড়ে তুলেছেন। আমি এই বইটা তাদের এবং পৃথিবীর সব নারীকে উৎসর্গ করেছি। দুঃখের কথা হচ্ছে আজকের দিনে এসেও অসংখ্য নারী তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত, যা অতিদ্রুত পরিবর্তন হওয়া উচিত। আশা করছি আমার এই বই এ পরিবর্তনে অবদান রাখতে পারবে। আমি এমন একটা বই লিখতে চেয়েছি যা জাতি-বর্ণ-ধর্মের উর্ধ্বে গিয়ে সবাইকে এক করতে পারবে। হেলগা, কমলা, ল্যানেট-এর জন্ম হয়তো পৃথিবীর আলাদা আলাদা স্থানে, কিন্তু তাদের অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে প্রতিদিন পৃথিবীর অসংখ্য নারীকে যেতে হচ্ছে। আমি বিশ্বাস করি, একদিন এ অবস্থার পরিবর্তন হবে। সব পরিচয়ের ঊর্ধ্বে মানুষ ‘মানুষ’ হিসেবেই পরিচিতি পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৮০৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৮, ২০২১
এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।