ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী শেষ হচ্ছে ১১ অক্টোবর

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৫৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৮, ২০২১
বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী শেষ হচ্ছে ১১ অক্টোবর

ঢাকা: বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনী’ জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয় ২৬ সেপ্টেম্বর। এই প্রদর্শনীটি ১১ অক্টোবর শেষ হবে।

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় ভারতীয় হাইকমিশন এ প্রদর্শনীর আয়োজন করে।  

২০২১ সালের মার্চে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশ সফরকালে ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত বিশেষ প্রদর্শনীটি পরিদর্শন করেন এবং এর ভূয়সী প্রশংসা করেন। মহাত্মা গান্ধী ডিজিটাল জাদুঘরের কিউরেটর বিরাদ ইয়াগনিকের বিশেষভাবে পরিচালিত এই অনন্য ডিজিটাল প্রদর্শনী ২০২০ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত নয়াদিল্লির বিজ্ঞান ভবনে প্রদর্শিত হয়েছিল, যেখানে এটি বেশ প্রশংসিত হয়।

বর্তমানে ১১ অক্টোবরের পর, চট্টগ্রাম, সিলেট, রাজশাহী, খুলনা এবং কলকাতায়ও বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীটি প্রদর্শিত হবে।

প্রদর্শনী সম্পর্কে এর পরিচালক শ্রী বিরাদ ইয়াগনিক বলেন, বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীটি ২২টি তথ্যদেয়াল এবং শতাধিক ডিজিটাল মুহূর্তের সমন্বয়ে তৈরি। প্রদর্শনী শুরু হয় পরিচিতি প্রাচীর দিয়ে যা প্রদর্শনীর বিষয়বস্তুকে তুলে ধরে এবং প্রশংসাপত্রের মাধ্যমে বিশ্বের চোখে এই দুই মহান নেতার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করে।

তিনি বলেন, পরবর্তী দুইটি দেয়াল দুই নেতার জীবনের একটি বিস্তৃত পটভূমি প্রদর্শন করে। ১৯৪৭ সালের আগস্টে দুই নেতার সাক্ষাতের দিনটির ওপর ভিত্তি করে নির্মিত মিটিং ওয়ালে প্রদর্শিত ছবিটি সম্ভবত বিশ্বের একমাত্র ছবি যেখানে বঙ্গবন্ধু এবং বাপু উভয়ই এক ফ্রেমে রয়েছেন। একটি হলো গ্রাফিক টাইম মেশিন এটি ঐতিহাসিক ছবিগুলিকে একটি সময়রেখার সঙ্গে সাজানো হয়েছে যা দর্শনার্থীদের সময় এবং জীবনকাল বোঝার জন্য একটি অনন্য ইন্টারফেস প্রদান করে। পরবর্তী অংশটি তাদের তারুণ্যের ঘটনাগুলো বর্ণনা করে যে সময়ে তাদের নৈতিক চরিত্র গঠন হয়েছিল।

তিনি জানান, পরবর্তী দেয়ালটি তাদের জীবনের তিনটি বিখ্যাত আন্দোলনকে প্রদর্শন করেছে। একটি হল লবণ সত্যাগ্রহ, যেটিকে টাইম ম্যাগাজিন আধুনিক ইতিহাসের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ আন্দোলনের মধ্যে বিবেচনা করে এবং অন্যটি ৭ই মার্চের ভাষণ। যেটি ইউনেস্কোর মেমোরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে, বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ প্রামাণ্য ঐতিহ্যের একটি তালিকা।

মানুষের দুর্দশা, যন্ত্রণা এবং অবিচারের দৃশ্য জালিয়ানওয়ালাবাগ এবং গণহত্যা সুড়ঙ্গে উপস্থাপন করা হয়েছে। দর্শনার্থীদের জন্য ১৯৭১ সালের প্রাচীরে সেই বছরের ঘটনাগুলো পর্যায়ক্রমে সাজানো হয়েছে। শক্তি ব্যবহারের ন্যায্যতা এবং মুক্তিবাহিনী কর্তৃক প্রাপ্ত সাহায্য মানবতার নৈতিকভিত্তির দু’টি শেষ প্রান্ত।

ব্যস্ততার ত্রিভুজটি দুর্দশা এবং যন্ত্রণা থেকে চোখকে অতি প্রয়োজনীয় স্বস্তি প্রদান করে, যেখানে ৩৬০ ডিগ্রী অবস্থানগুলো অনুভব করা যায়। একটি রোবোটিক স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে এবং দুই নেতার প্রিয় সঙ্গীতও রাখা  হয়েছে।

পরিচালক জানান, বঙ্গমাতাকে উদযাপনকারী প্রাচীরটি এমন দু’জন নারীকে দেখায় যারা তাদের সঙ্গীদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন এবং সঠিক সময়ে তাদের কার্যকর পরামর্শ দিয়েছিলেন। উভয়েই শ্রদ্ধেয় ছিলেন এবং সর্বদা তাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে ছিলেন। এছাড়া দুই মহান নেতা তাদের দেশ ও জনগণের জন্য যে স্বপ্ন দেখেছিলেন তা পরবর্তী অংশে প্রদর্শিত হয়েছে।

প্রদর্শনীটির শেষ অংশে চলমান মহামারি বিষয়ে একটি সামাজিক বার্তা প্রদান করে, দর্শনার্থীদের একটি ইন্টারেক্টিভ দেয়ালে তারা যে তথ্য শিখেছে তা সংযুক্ত করতে দেয়। বিদায়ী অংশে দর্শনার্থী দুই নেতার সঙ্গে একটি ছবি তুলতে পারেন এবং একটি ভিডিও প্রশংসাপত্র রেখে প্রদর্শনীতে অংশ নিতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৫৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৮, ২০২১
এইচএমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।