ঢাকা: বাংলাসাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি শামসুর রাহমানের ৯৩তম জন্মদিন উদ্যাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমিতে একক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বক্তৃতা দিয়েছেন বিশিষ্ট গবেষক ও কবি অধ্যাপক খালেদ হোসাইন।
রোববার (২৪ অক্টোবর) একাডেমির কবি শামসুর রাহমান সেমিনার কক্ষে এ অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির সচিব এ এইচ এম লোকমান। সভাপতিত্ব করেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা। শামসুর রাহমানের কবিতা থেকে পাঠ করেন বাচিকশিল্পী ডালিয়া আহমেদ।
স্বাগত বক্তব্যে এ এইচ এম লোকমান বলেন, শামসুর রাহমান ছিলেন বর্ণাঢ্য কবিজীবনের অধিকারী। তিনি এবং তার প্রজন্ম আমাদের কবিতাকে আধুনিকতার গভীর ধারার সঙ্গে যুক্ত করেন।
একক বক্তা অধ্যাপক খালেদ হোসাইন বলেন, শামসুর রাহমান তার কাব্যিক ঊন্মেষলগ্ন থেকেই সমসাময়িকদের মধ্যে ছিলেন স্বতন্ত্র। হৃদয়ের আকুতির সঙ্গে পরিপার্শ্বের কোলাহল তার কবিতায় অপরূপ ব্যঞ্জনা লাভ করেছে। একান্ত পাঠ-উপযোগিতার পাশাপাশি তার কবিতা হয়ে উঠেছে সর্বত্রগামী।
তিনি বলেন, জীবন ও জনতা শামসুর রাহমানের কবিতায় নমিত এবং সোচ্চার ভাষাবিন্যাসে ভাস্বর হয়েছে। দেশীয় এবং পাশ্চাত্য পুরাণের অনন্য ব্যবহারে কবিতাকে তিনি বৈচিত্র্যপূর্ণ করে তুলেছেন। একই সঙ্গে অসমসাহসে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং শোষণমুক্ত সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে দশকের পর দশক তিনি কাব্যিক লড়াই চালিয়ে গেছেন। কবিতাকে তিনি জনমানুষের হৃদয়ের প্রিয় বিষয়ে পরিণত করেছেন এবং প্রতিরোধের নন্দনকলায় সকল অসুন্দরের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর প্রেরণা দিয়ে চলেছেন।
সভাপতির বক্তব্যে কবি মুহম্মদ নূরুল হুদা বলেন, শামসুর রাহমানের কবিতা বাঙালি জাতিসত্তার কাব্যিক ভাষ্য নির্মাণে ভূমিকা রেখেছে। পাকিস্তান আমল থেকে বাংলাভাষা, বাঙালি জাতিসত্তা ও সংস্কৃতির বিরুদ্ধে সকল ষড়যন্ত্রকে তিনি তার কাব্যিক হাতিয়ার দিয়ে মোকাবিলা করেছেন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং এরপর এ দেশের সকল গণতান্ত্রিক সংগ্রামে তার কবিতা আমাদের মাঝে উজ্জীবক-অস্ত্র হিসেবে কাজ করেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৪, ২০২১
এইচএমএস/এমজেএফ