ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিল্প-সাহিত্য

রফিক আজাদ স্মৃতি পুরস্কার পেলেন দুই কবি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
রফিক আজাদ স্মৃতি পুরস্কার পেলেন দুই কবি জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে কবি রফিক আজাদ স্মৃতি পুরস্কার দেওয়া উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠান | ছবি: রাজীন চৌধুরী

ঢাকা: কবি রফিক আজাদ স্মৃতি পুরস্কার পেলেন কবি ফারুক মাহমুদ ও কবি ফেরদৌস নাহার।

শনিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়।

কবি রফিক আজাদের ৮০তম জন্মজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে এই পুরস্কার দিয়েছে কবি রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদ।

আয়োজনে প্রধান অতিথি ছিলেন মুজিব শতবর্ষ উদযাপন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক কবি কামাল চৌধুরী। আলোচনা করেন কবি ইকবাল হাসান, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক আহমেদ মওলা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কবি রফিক আজাদ স্মৃতি পর্ষদের সভাপতি কবি আসাদ চৌধুরী।

আয়োজনের শুরুতেই কবি রফিক আজাদকে নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। এরপর স্বাগত ববক্তব্য রাখেন কবিপত্নী দিলারা হাফিজ।

তিনি বলেন, বাংলা ভাষার অন্যতম প্রধান কবি রফিক আজাদ। আধুনিক বাংলা কবিতারও দিকপাল তিনি। তাকে স্মরণ করে রাখতেই আমরা স্মৃতি পর্ষদ গঠন এবং প্রতিবছর একজন লেখককে পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। করোনার জন্য গতবছর আমরা আয়োজন করতে পারিনি। তাই এই আয়োজনে দুজনকে একসঙ্গে পুরস্কৃত করা হচ্ছে। তাদের পুরস্কৃত করতে পেরে আমরা আনন্দিত।

কবি কামাল চৌধুরী বলেন, যাদের দেখে আমরা কবিতার প্রতি উৎসাহী হয়েছি, রফিক আজাদ তেমন একজন। তিনি কবিতায় শুদ্ধাচারী একজন কবি ছিলেন। এই কবি কবিতার ছন্দের বিষয়টিকে লালন করতেন। অক্ষরবৃত্ত ছন্দে তার অসামান্য দক্ষতা ছিল। উপমা, শব্দ ব্যবহারেও ছিলেন বিশেষ পটু। আমাদের প্রত্যেক কবিরও এই ছন্দের বিষয়টি মাথায় নিয়ে লেখা উচিত।

আলোচকরা বলেন, রফিক আজাদ বাংলা কবিতায় বাঙালিয়ানা এনেছেন। তিনি কবিতায় নতুন মানচিত্র এনেছেন। ষাটের দশকের কবিদের সঙ্গে নিয়ে তিনি কবিতায় নতুন এক পটভূমি রচনা করেছেন। তবে নানা কারণে আমরা তাকে যথাযথভাবে গুরুত্ব দিতে পারিনি। তাকে আমরা এখনো যত্ন করে পাঠ করতে পারিনি। তিনি বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ কবি। তাকে আমাদের পাঠ করা করা উচিত, তাতে প্রজন্ম নতুন এক বাংলাদেশকে চিনবে।

সভাপতির বক্তব্যে কবি আসাদ চৌধুরী বলেন, রফিক আজাদ পদাবলী করতেন, সংগঠন করতেন। জাতীয় কবিতা পরিষদ করতে গিয়ে যে সাহসিকতার পরিচয় তিনি দিয়েছেন, তা আমি এখনো স্মরণ করি। তার মতো কবি আমাদের আরও প্রয়োজন। উদ্ভট এক ধরনের বিশৃঙ্খলার মধ্যে শৃঙ্খলা খুঁজে পেতেন প্রেম, দ্রোহ আর প্রকৃতির এই কবি।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, বাচিক শিল্পী ভাস্বর বন্দ্যোপাধ্যায়, কথা সাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক, কবি পিয়াস মজিদ, কবি হারিসুল হক, কবি শিহাব শাহরিয়ার, কবি বিমল গুহসহ বিশিষ্ট সাহিত্যিকরা।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২২
এইচএমএস/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।