ঢাকা, রবিবার, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২, ২০ জুলাই ২০২৫, ২৪ মহররম ১৪৪৭

বাংলানিউজ স্পেশাল

সংসদ নির্বাচনে ভোটার বেড়ে দাঁড়াচ্ছে পৌনে ১৩ কোটি, বাড়ছে কেন্দ্রও

ইকরাম-উদ-দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২২, জুলাই ১৯, ২০২৫
সংসদ নির্বাচনে ভোটার বেড়ে দাঁড়াচ্ছে পৌনে ১৩ কোটি, বাড়ছে কেন্দ্রও ব্যালট বাক্স

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার বেড়ে দাঁড়াচ্ছে পৌনে ১৩ কোটি। ফলে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়বে আড়াই হাজারের বেশি।

ইসির নির্বাচন সহায়তা শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, শিগগিরই ভোটার অনুপাতে ভোটকেন্দ্র নির্ধারণে সমন্বয় সভা হবে। এতে ভোটকেন্দ্র ব্যবস্থাপনা, আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।

ওই বৈঠকের কার্যপত্রে বলা হয়েছে, বিগত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটার ছিল ১২ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৪ জন। ভোটারের ভোটপ্রদানের জন্য ৪২ হাজার ১৪৮টি ভোটকেন্দ্র ব্যবহৃত হয়েছে।

২০২৫ সালের ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শেষে বর্তমানে সম্ভাব্য ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৭৪ লাখ ৮৮ হাজার ৯৮৩ জন। অতিরিক্ত ভোটারের জন্য সম্ভাব্য ২ হাজার ৭৮৬টি ভোটকেন্দ্র বৃদ্ধিসহ ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৪৪ হাজার ৯৩৪টি ভোটকেন্দ্র প্রয়োজন হতে পারে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মোট ২৬টি অস্থায়ী কেন্দ্র এবং ১৭ হাজার ৭২৩টি অস্থায়ী কক্ষ ছিল, এবার সে সংখ্যাও বাড়তে পারে।

সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়; কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়; প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এবং স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ও শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীকে ভোটকেন্দ্র সংস্কারের জন্য নির্দেশনা দিয়েছে ইসি।

সংস্থাটির উপসচিব দেওয়ান মো. সারওয়ার জাহানের পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়েছে, আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যবহৃত ভোটকেন্দ্র এবং সম্ভাব্য ভোটকেন্দ্রসমূহের মধ্যে কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং কিছু কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দরজা-জানালা জরাজীর্ণ অবস্থায় আছে। যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বাউন্ডারি বা সীমানা প্রাচীর নেই এবং যেসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছোটখাটো মেরামত/সংস্কার প্রয়োজন তা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে নিজস্ব অর্থায়নে সংস্কার বা মেরামতের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।

ইসি কর্মকর্তারা বলছেন, ভোটকেন্দ্র চূড়ান্ত হলে সে অনুপাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েনেরও সিদ্ধান্ত নেবে সংস্থাটি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আনসারের পাঁচ লাখ ১৬ হাজার সদস্য, কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ সদস্য, পুলিশের (র‌্যাবসহ) থাকবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন, অর্থাৎ মোট সাত লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত ছিল।

আনসারের জন্য জনপ্রতি ৬৩৭ টাকা থেকে এক হাজার টাকা, কোস্টগার্ড ৬৩৭ টাকা থেকে এক হাজার ৮২০ টাকা, বিজিবি ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ২২৫ টাকা এবং পুলিশ ৪০০ টাকা থেকে এক হাজার ৬০৬ টাকা জনপ্রতি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।

ভোটকেন্দ্র বাড়লে নির্বাচন পরিচালনা ব্যয়ও বাড়বে। এক্ষেত্রে ব্যয় নির্বাহ করা হবে বরাদ্দ থেকে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য খাতে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য জাতীয় বাজেটে দুই হাজার ৯৫৬ কোটি টাকা ইতোমধ্যে বরাদ্দ রেখেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এর মধ্যে পরিচালনা খাতে দুই হাজার ৭২৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা, আর উন্নয়ন খাতে ২২৯ কোটি পাঁচ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এই বরাদ্দের মধ্যে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য নির্বাচনও রয়েছে।

নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এ বিষয়ে বলেন, এবার ৪৪ লাখের মতো নতুন ভোটার যোগ হতে পারে। ভোটার সংখ্যা বাড়লে ভোটকেন্দ্রও বাড়বে, বাড়বে ব্যয়ও। আশা করি বরাদ্দকৃত বাজেটের মধ্যেই হয়ে যাবে। এ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

ইইউডি/এমইউএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।