ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

বাংলাদেশে এপিজির সভা শুরু ২৩ জুলাই

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০৮ ঘণ্টা, জুলাই ৯, ২০১৬
বাংলাদেশে এপিজির সভা শুরু ২৩ জুলাই

ঢাকা: সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন ও অর্থপাচার রোধের আর্ন্তজাতিক সংস্থা এশিয়া প্যাসিফিক গ্রুপ অব মানি লন্ডারিংয়ের (এপিজি) ১৯তম বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশে।
 
রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু  ওয়াটার গার্ডেনে ছয় দিনব্যাপী এ সম্মেলন শুরু হবে চলতি বছরের ২৩ জুলাই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সম্মেলন উদ্বোধন কর‍ার কথা রয়েছে। এতে অর্থমন্ত্রীসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও উপস্থিত থাকবেন। বাংলাদেশ ব্যাংক ও অর্থমন্ত্রনালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
 
২০১৫ সালের ১৩ থেকে ১৭ জুলাই পাঁচ দিনের এপিজির ১৮তম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ডে।
 
এবারের সভায় ৪১টি দেশের প্রতিনিধি, ৮টি দেশ ও ২৮টি আর্ন্তজাতিক সংস্থার পর্যবেক্ষকসহ সাড়ে তিন থেকে চারশো জন বিদেশি পর্যবেক্ষক অংশ নেবেন।
 
এপিজি হচ্ছে ‘অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়ন’ বিষয়ে মানদণ্ড নির্ধারণকারী এশিয়া অঞ্চলের সংস্থা।
 
অর্থপাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে আন্তর্জাতিক এপিজির সঙ্গে সমন্বয়, তদারকি, এ-সংক্রান্ত তথ্য আদান-প্রদানসহ সুনির্দিষ্ট বিষয়ে কাজ করে থাকে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্টস ইউনিট (বিএফআইইউ)।
 
এর আগে, ২০১৫ সালের অক্টোবরে বাংলাদেশ সফরে এসে অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধে নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ ও বাস্তবায়ন খতিয়ে দেখে এপিজি। সেই সফরের প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে তারা একটি মূল্যায়ন প্রতিবেদন তৈরি করে। সেখানে এপিজি কিছু সমস্যা তুলে ধরেছে। সেসব সমস্যা অনেকটাই সমাধান করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এবারের সভায় তা জানানো হবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
 
এদিকে, সারাবিশ্ব থেকে কমলেও সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। ২০১৫ সাল শেষে বাংলাদেশের নামে রয়েছে ৫৫ কোটি আট লাখ ফ্রাঁ, যা আগের বছরের চেয়ে প্রায় নয় শতাংশ বেশি। তবে এর সবই পাচার করা অর্থ নয়। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ থেকেও পাচার হওয়া অর্থের একটি অংশ সুইস ব্যাংকগুলোতে জমা হয়।
 
সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) ‘ব্যাংকস ইন সুইজারল্যান্ড ২০১৫’ শীর্ষক যে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তাতে এসব ব্যাংকের কাছে বিভিন্ন দেশভিত্তিক অর্থ জমার তথ্য রয়েছে।
 
এতে দেখা যায়, ২০১৫ সাল শেষে সুইস ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের নামে থাকা অর্থের পরিমাণ চার হাজার ৪০৬ কোটি (৮০ টাকায় এক ফ্রাঁ) টাকা। যা গত ১০ বছরের মধ্যে এটিই সর্বোচ্চ ।
 
২০১৪ সালে বাংলাদেশের নামে ছিল ৫০ কোটি ৬০ লাখ সুইস ফ্রাঁ (৪০৪৮ কোটি টাকা), যা তার আগের বছরের চেয়ে ৩৬ শতাংশ বেশি। ২০১৩ সালে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিলো ৩৭ কোটি ১৯ লাখ সুইস ফ্রাঁ, যা এখনকার বিনিময় হার অনুযায়ী প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ।
 
২০১৫ সালে সুইজারল্যান্ডের বাইরে অর্থাৎ সারাবিশ্ব থেকে সুইস ব্যাংকগুলোতে জমা হয়েছে এক লাখ ৩৩ হাজার কোটি ফ্রাঁ। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিলো এক লাখ ৩৮ হাজার কোটি ফ্রাঁ।
 
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০১৬
এসই/এসএনএস

 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।