ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

খুলনায় নতুন টাকার চাহিদা ব্যাপক

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩০ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
খুলনায় নতুন টাকার চাহিদা ব্যাপক নতুন টাকা

খুলনা: আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে জনসাধারণের মাঝে টাকার নতুন নোট বিনিময় করা হচ্ছে। বুধবার (২২ মে) থেকে শুরু হওয়া নোট বিনিময় ৩০ মে, শনিবার পর্যন্ত চলবে।

প্রতি বছরের মতো এবারও খুলনায় গ্রাহকদের নতুন নোটের চাহিদা অনেক বেশি। তাই এক-চতুর্থাংশ লোকই নতুন নোট পাবে কি-না, তা নিয়ে শঙ্কা রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকে আসা এম রহমান নামে এক ব্যক্তি বাংলানিউজকে বলেন, ব্যাংক থেকে নতুন টাকা পাওয়া এতো সহজ নয়। কেননা, এ নোটের চাহিদা বেশি, সরবরাহ কম। দীর্ঘ অপেক্ষার পর নতুন টাকা পেতে হয়।

সরেজমিনে দেখা গেছে, নতুন নোট সরবরাহের প্রথম দিনেই চকচকে নতুন টাকা নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ অন্যান্য ব্যাংকে গ্রাহকদের দীর্ঘ লাইন। জনসাধারণ, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবীসহ নানা পেশার লোক নতুন টাকা সংগ্রহ করতে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। কাঙ্ক্ষিত নতুন নোট পেয়ে অনেককে হাসি মুখে বেড়িয়ে যেতে দেখা গেছে। যারা ব্যাংক থেকে সংগ্রহ করতে পারেননি, তারা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনের সড়কের ফুটপাত থেকে অতিরিক্ত মাসুল দিয়ে নতুন নোট সংগ্রহ করছেন।

ঈদের মৌসুম উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা অফিসের সামনে পুরাতন ব্যবসায়ী ছাড়াও নতুন করে এ টাকার ব্যবসায় যোগ হয়েছেন অনেকে। ঈদ বকশিস, যাকাত ও ফিতরা দিতে লোকজন তাদের কাছ থেকে কিনে নিচ্ছেন নতুন নোট। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিরামহীনভাবে চলছে এ ব্যবসা।

এখানের ব্যবসায়ীরা বাংলানিউজকে জানান, তারা শুধু নতুন টাকা নয়, পুরাতন ও ছেঁড়া টাকার ব্যবসাও করেন। অর্থাৎ কমিশন ভিত্তিতে পুরাতন ও ছেঁড়া টাকা বদলে দেন। স্বাভাবিক সময়ে নতুন টাকার ব্যবসা তেমন একটা চলে না। সখের বসে অনেকে সংগ্রহে রাখার জন্য নতুন টাকা নিয়ে যান। তবে বেশিরভাগ সময় চলে ভাংতি টাকার ব্যবসা।

একাধিক ব্যাংক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, ঈদে সালামি হিসেবে নতুন টাকা পেতে পছন্দ করে ছোট-বড় সবাই। এ কারণে ঈদ এলেই নতুন টাকা বদলে নিতে ব্যাংককে ভিড় জমায় সব শ্রেণির মানুষ।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, তাদের কাছে যে কেউ আসলে নির্ধারিত পরিমাণের নতুন টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন। এক্ষেত্রে সবারই সমান অধিকার।

স্যোশাল ইসলামী ব্যাংকের খুলনা শাখার সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ব্যাংকার্স ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঈদ এলেই কদর বেড়ে যায় নতুন টাকার। নতুন নোট এবার পর্যাপ্ত এসেছে। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতে চাহিদা অনুযায়ী নতুন নোটের পর্যাপ্ত যোগান দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা অফিস।

বাংলাদেশ ব্যাংকের খুলনা অফিসের সহকারী পরিচালক নওয়াজ শরীফ বাংলানিউজকে বলেন, ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ১০, ২০, ৫০,  ও ১০০ টাকার নতুন নোট জনসাধারণের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে। বুধবার থেকে শুরু হওয়া নতুন নোট সরবরাহ কার্যক্রম চলবে সাতদিন। বাংলাদেশ ব্যাংক খুলনা অফিস দুইটি কাউন্টারের মাধ্যমে জনসাধারণের মাঝে ১০, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার নতুন নোটের প্রতিটির এক প্যাকেট করে মাথাপিছু ১৮ হাজার টাকা সরবরাহ করছে।

এছাড়া খুলনাস্থ চারটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের শাখা (সোনালী ব্যাংক, খুলনা করপোরেট শাখা, উত্তরা ব্যাংক, স্যার ইকবাল রোড শাখা, খুলনা, ইসলামী ব্যাংক, দৌলতপুর শাখা, আইএফআইসি ব্যাংক খুলনা শাখা) থেকেও উল্লিখিত পরিমাণ নতুন নোট সংগ্রহ করা যাচ্ছে।

এছাড়া খুলনা অঞ্চলের সব বাণিজ্যিক ব্যাংককে তাদের গ্রাহকদের মাঝে পবিত্র ইদুল ফিতর উপলক্ষে নতুন নোট সরবরাহের ব্যবস্থা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১২২৮ ঘণ্টা, মে ২২, ২০১৯
এমআরএম/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।