ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

পরিচালন মুনাফা বেড়েছে অধিকাংশ ব্যাংকের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৪৩৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
পরিচালন মুনাফা বেড়েছে অধিকাংশ ব্যাংকের

ঢাকা: আগের বছরের তুলনায় ২০১৯ সালে অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা বেড়েছে। ২০১৯ সালের শেষদিন ছিল মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর)। এদিন ব্যাংকগুলো তাদের মুনাফার হিসাব কষেছে। এতে দেখা গেছে, অধিকাংশ ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে। তবে নিট মুনাফার হিসাবে এ মুনাফার পরিমাণ কত হবে? তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন ব্যাংকাররা।

ব্যাংকগুলো থেকে পাওয়া সর্বশেষ তথ্যে দেখা গেছে, ২০১৯ সালের ব্যাংকিং কার্যদিবস শেষে রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালি ব্যাংকের মোট পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৫০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ১ হাজার ১০ কোটি টাকা। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৭৫৩ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৬৭৩ কোটি টাকা।

যমুনা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৭৩০ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ৬২০ কোটি টাকা। সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৮২ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৬৬৭ কোটি টাকা। আইএফআইসি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৬৭৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৫০৪ কোটি টাকা। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৬৫৩ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ৪৭৫ কোটি টাকা। ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ৫৯১ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ৫২৫ কোটি টাকা।
 
অন্যদিকে, পরিচালন মুনাফা কমেছে ন্যাশনাল ব্যাংকের। ২০১৯ সালে ব্যাংকটি পরিচালন মুনাফা করেছে ৯৪৮ কোটি টাকা, ২০১৮ সালে যা ছিল ১ হাজার ২২৯ কোটি টাকা।  

এদিকে বছরের ব্যাংকিং কার্যদিবস শেষে নতুন ব্যাংকগুলোর মধ্যে সাউথ বাংলা ব্যাংক মুনাফা করেছে ২২৮ কোটি টাকা, আগের বছর যা ছিল ২০৩ কোটি টাকা। একইভাবে এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক মুনাফা করেছে ২৬২ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ২০১ কোটি টাকা। মেঘনা ব্যাংক ২০১৯ সালে মুনাফা করেছে ১২৪ কোটি টাকা, আগের বছর যা ছিল ৯৩ কোটি টাকা।
 
পূবালী ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা হয়েছে ১ হাজার ৪০ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ১ হাজার ২৫ কোটি টাকা। সাউথইস্ট ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ২৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরে ছিল ১ হাজার ১২ কোটি টাকা। ইস্টার্ন ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৯০০ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ৭৮০ কোটি টাকা। সিটি ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা দাঁড়িয়েছে ৮২৫ কোটি টাকা, আগের বছর যা ছিল ৬৮১ কোটি টাকা। আল আরাফা ব্যাংক মুনাফা করেছে ৮০১ কোটি টাকা, যা আগের বছর ছিল ৬৪০ কোটি টাকা। এক্সিম ব্যাংক মুনাফা করেছে ৭৮০ কোটি টাকা, আগের বছর যা ছিল ৭৫০ কোটি টাকা।
 
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বাংলানিউজকে জানান, সাম্প্রতিক সময়ে আশানুরূপ ঋণ বিতরণ না হলেও প্রবৃদ্ধ কমেছে তেমন নয়। ফলে ঋণ বিতরণ থেকে উল্লেখযোগ্য একটি আয় ব্যাংকগুলোর এসেছে। আর বিদায়ী বছরে বিশেষ সুবিধায় বড় ঋণ পুনর্গঠনের সুযোগের ফলে ওই সব ঋণের বিপরীতে আয় দেখানো গেছে। এছাড়া আমদানি-রপ্তানি, এলসিসহ বিভিন্ন কমিশনের বিপরীতেও আয় আসায় মুনাফা আগের বছরের তুলনায় বেড়েছে।
 
নিট মুনাফার ওপর ভিত্তি করে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলো সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের লভ্যাংশ দিয়ে থাকে। ফলে এসব ব্যাংকের মুনাফা নিয়ে শেয়ারবাজারে ব্যাপক আগ্রহ থাকে। অবশ্য মূল্য সংবেদনশীল বিবেচনায় শেয়ারবাজারে থাকা ব্যাংকের পরিচালন মুনাফা আগেভাগে প্রকাশের ওপর বাংলাদেশ ব্যাংক ও নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। ব্যাংকগুলো বিএসইসির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে এ তথ্য দেওয়ার পর স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে তা প্রকাশ করা হয়।
 
বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩১, ২০১৯
এসই/এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।