ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

ব্যাংকিং

মুদ্রানীতি সংশোধন: সরকারি খাতে ঋণ ও মুদ্রা সরবরাহ কমবে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১
মুদ্রানীতি সংশোধন: সরকারি খাতে ঋণ ও মুদ্রা সরবরাহ কমবে

ঢাকা: ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত মুদ্রানীতি সংশোধন করা হয়েছে। এতে অভ্যন্তরীণ ও সরকারি খাতে ঋণ কমার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরীণ সম্পদ কমবে, বৈদেশিক সম্পদ বৃদ্ধি পাবে।

অপরিবর্তিত থাকবে বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধি। গড় মূল্যস্ফীতি সীমিত থাকবে ৫ দশমিক ৪ শতাংশের মধ্যে। কমবে মুদ্রা সরবরাহও।

মঙ্গলবার (২ ফেব্রুয়ারি) রাতে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত মনিটরি পলিসির সভায় চলতি অর্থবছরের (২০২০-২১) প্রারম্ভে প্রণীত সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি অব্যাহত রেখে অবশিষ্ট সময়কালের মুদ্রা ও ঋণ কর্মসূচিতে মধ্য-মেয়াদে সামান্য পরিবর্তন আনয়নের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।

একদিকে রেমিটেন্স অন্তঃপ্রবাহের জোরালো প্রবৃদ্ধি এবং অন্যদিকে আমদানি ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পাওয়ার কারণে চলতি অর্থবছরে নিট বৈদেশিক সম্পদ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ অবস্থায়, অর্থবছরের প্রারম্ভে প্রণীত সম্প্রসারণমূলক মুদ্রানীতি ভঙ্গি অব্যাহত রেখেই নিট বৈদেশিক সম্পদের প্রবৃদ্ধিকে ঊর্ধ্বমুখী সংশোধন এবং নিট অভ্যন্তরীণ সম্পদের প্রবৃদ্ধিকে নিম্নমুখী সংশোধন করে চলতি অর্থবছরের মুদ্রা ও ঋণ কর্মসূচিতে মধ্য-মেয়াদে কিছুটা পরিবর্তন আনয়ন করা সমীচীন হবে।

এ প্রেক্ষিতে, সম্প্রতি সরকার কর্তৃক জিডিপি প্রবৃদ্ধির নিম্নমুখী সংশোধন (৮.২ শতাংশ হতে ৭.৪ শতাংশ) করার কারণে অর্থনীতিতে ব্যাপক মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধির নিরাপদ সীমাও কিছুটা সংশোধন করে ১৫.৬ শতাংশ হতে ১৫.০ শতাংশে পুনঃনির্ধারণের সিদ্ধান্ত হয়। তবে করোনার প্রভাব কাটিয়ে নিকট ভবিষ্যতে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড স্বাভাবিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকার বিবেচনায় বেসরকারি খাতে প্রদত্ত ঋণের প্রবৃদ্ধি প্রারম্ভিকভাবে মুদ্রানীতিতে নির্ধারিত ১৪.৮ শতাংশে অপরিবর্তিত রাখা হয়। এ প্রেক্ষিতে, চলতি অর্থবছরের মুদ্রা ও ঋণ কর্মসূচিতে মধ্য-মেয়াদে যে সকল পরিবর্তন করা হয়।

নিট বৈদেশিক সম্পদ ৫ দশমিক ৮শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ২০ দশমিক ১ শতাংশ, নিট অভ্যন্তরীণ সম্পদ ১৮ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে ১৩ দশমিক ৬ শতাংশ, মোট অভ্যন্তরীণ ঋণ ১৯ দশমিক ৩ শতাংশ থেকে কমে ১৭ দশমিক ৪ শতাংশ, সরকারের ঋণ ৪৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে কমে ৩১ দশমিক ৭ শতাংশ, বেসরকারি খাতের ঋণ ১৪ দশমিক ৮ শতাংশ অপরিবর্তিত, মুদ্রা সরবরাহ ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ থেকে কমে ১৫ শতাংশ ও রিজার্ভ ১৩ দশমিক ৫ শতাংশ অপরিবর্তিত থাকবে।

কোভিড-১৯ এর প্রাদুর্ভাব কাটিয়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ২০২১ সালের মধ্যে অনেকটা স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসার সুস্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে। তবে, অভ্যন্তরীণ অর্থনীতির প্রকৃত খাতের সর্বশেষ তথ্য-উপাত্তের পর্যালোচনা ও আমদানি-রপ্তানিসহ বহিঃ খাতের সার্বিক চাহিদা পরিস্থিতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ইকোনোমিক মডেলিং অ্যান্ড ফোরকাস্টিং অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি সরকারের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ৭.৪ শতাংশের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ রয়েছে, যা বছরের শুরুতে ৮.২ শতাংশ হবে বলে প্রক্ষেপণ করা হয়েছিল।

বাংলাদেশ সময়: ২১৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০২১
এসই/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।