বরগুনা: অমর একুশে বইমেলা ২০২৫ উপলক্ষে প্রকাশ পেয়েছে তরুণ লেখক ও সাংবাদিক খান নাঈমের প্রথম উপন্যাস ‘প্রিয় ঝড়’। মেলায় রেয়ার পাবলিকেশন্সের ৮০ এবং ৮১ নম্বর স্টলে পাওয়া যাচ্ছে বইটি।
মানুষের জীবনের প্রতিটি অধ্যায় যেন একেকটি ঝড়। কখনো তা মৃদুমন্দ বাতাসে মন জুড়ায়, কখনো তা সবকিছু ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়ে যায়। ‘প্রিয় ঝড়’ তেমনই এক উপাখ্যান, যেখানে প্রেম আসে চৈত্র দিনের মুষলধারে বৃষ্টির মতো, আবার হারিয়ে যায় মরুর তপ্ত বালুর মতো। জীবনে যেমন ভালোবাসার কোমলতা আছে, তেমনি আছে প্রতারণার নির্মম কাঁটা।
প্রথম প্রেমের অপূর্ণতায় যে শূন্যতা তৈরি হয়, তা বারবার ভরাট করার চেষ্টা করলেও আরও গভীর হয়। কারো স্নিগ্ধ মায়ায় ডুবে থাকা মানুষটা যখন আশার আলো দেখতে চায়, ঠিক তখনই বারবার ভাগ্য তাকে টেনে নেয় চোরাবালুর বিষাদময় এক অতলে। এমনই এক চিত্র ফুটে উঠেছে এ উপন্যাসের প্রতিটি বাক্যে।
নিজের প্রথম বই সম্পর্কে খান নাঈম বাংলানিউজকে বলেন, প্রিয় ঝড় হচ্ছে হারানোর বিষণ্নতা, বন্ধুত্বের ভাঙন এবং জীবনের শূন্যতা পেরিয়ে নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পাওয়ার গল্প। জীবনের প্রতিটি ঝড়ের পরে আসে এক শান্তির ঝড়। সেটিই হলো আমাদের ‘প্রিয় ঝড়’। সবার জীবনেই বয়ে যাক প্রিয় ঝড়।
লেখক আরও বলেন, এটি আমার প্রথম বই। আর মাস দেড়েক পরই ঈদ। তাই আমার বই বিক্রির টাকা ব্যয় করা হবে সুবিধাবঞ্চিতদের ঈদ উদযাপনে। সমাজের সুবিধাবঞ্চিতদের পাশে দাঁড়াতেই এ উদ্যোগ।
‘প্রিয় ঝড়’ বইয়ের লেখক খান নাঈমের জন্ম দেশের সর্বদক্ষিণের জেলা বরগুনায়। তিনি একাধারে তরুণ লেখক, গণমাধ্যমকর্মী, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠক, মুক্ত চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং উদ্যোক্তা।
তিনি কাজ করেছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন সংবাদমাধ্যাম এবং টেলিভিশনে। ২০১৭ সালে দেশব্যাপী বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত এক মিনিটের শর্টফিল্ম প্রতিযোগিতায় ২৭ জেলাকে পেছনে ফেলে জয়ী হন তিনি। ২০১৮ সালে আলোড়ন শর্টফিল্ম প্রতিযোগিতায় সেরা পরিচালক পুরস্কার পান। খান নাঈমের লেখা থিয়েটার কোরিওগ্রাফি ‘মাতৃভাষা থেকে মাতৃভূমি' সাংস্কৃতিক মহলে বেশ প্রশংসিত হয়।
বর্তমানে তিনি স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকার বার্তা সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৫
এসআই