ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

‘তিরোধানের মুসাবিদা’র মাগনা বিজ্ঞাপন

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৪৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৪
‘তিরোধানের মুসাবিদা’র মাগনা বিজ্ঞাপন

আসছে বইমেলায় আমার প্রকাশিতব্য গল্পগ্রন্থ তিরোধানের মুসাবিদা নিয়ে বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের ‘শিল্প-সাহিত্য’ বিভাগের জন্য প্রতিক্রিয়া টাইপের কিছু একটা লিখছি শুনে বন্ধু নায়মা পারভীন একটা অনুরোধ জানালো। অনুরোধটা হলো, জেমকন তরুণ কথাসাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমাকে যে ক্রেস্টটা দেওয়া হয়েছে সেখানে নাকি আমার গল্প নিয়ে অনেক সুন্দর সুন্দর কথা লিখেছে কর্তৃপক্ষ।

আমি যেন লেখাটিতে ওই অংশটুকু যোগ করে দিই। এটা তার একান্ত রিকোয়েস্ট। রাখতেই হবে। আমি অবশ্য কখনো খেয়াল করেই দেখিনি তা। কারণ পুরস্কার পাওয়ার সময় এম.এ পরীক্ষা চলছিল। পরীক্ষা নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিলাম। প্রাইজ, ক্রেস্ট, উত্তরীয় ঘরে তোলারও সময় পাই নি। অনুষ্ঠান থেকে নায়মার হাত ধরে তা তার ঘরেই চলে গেছে। তো, নায়মা একটা ডায়রির পাতা ধরিয়ে দিল। তাতে আমার গল্প নিয়ে অনেক ভারী ভারী কথা লেখা। আমার গল্প নিয়ে আমি তা কখনো ভেবেই দেখিনি। নায়মা জানালো, এগুলোই নাকি লেখা ছিল জেমকন পুরস্কারের ক্রেস্টে। আর পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে এটাই নাকি হুবহু পাঠ করেছিলেন কবি মন্দাক্রান্তা সেন। সে যাই হোক, নায়মার চিরকুটটিতে যা দেখলাম তা এরকম— ‘মেহেদী উল্লাহর পোস্টমাস্টার ও অন্যান্য গল্প শিরোনামের পাণ্ডুলিপিতে এগারটি ভিন্ন স্বাদের গল্প আছে। বর্ণনাধর্মী এই গল্পগুলোর বুননে ভিন্নরকম এক মুনশিয়ানার ছাপ বিদ্যমান। প্রেক্ষাপটের ঠাঁস বুনোট গড়তে গড়তে হঠাৎ ক্লাইমেক্স, সে ক্লাইমেক্সকে বেশির ভাগ সময়ই অবধারিত মনে হবে পাঠকের কাছে। মানুষের অন্তর্গত গভীর অন্দরে অনায়াস যাতায়াত তাঁর। চরিত্রকে নিজের মতো করে আঁকতে লেখকের সক্ষমতা অসাধারণ। এক একটি চরিত্রের মধ্যে লুকিয়ে থাকা যে সংকট, যা হয়তো ভিন্নভাবে আমাদের অগোচরে আমাদের মধ্যেই লুকিয়ে আছে, তাকে অন্তরঙ্গ অবলোকনের মাধ্যমে কলমের ডগা দিয়ে খুঁড়ে আনার ক্ষমতা লেখকের মধ্যে বিদ্যমান। সমাজ ও রাজনীতি সচেতন এই লেখক অনবদ্য স্যাটায়ারের মাধ্যমে পাঠকের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম অনুভূতিকে নাড়া দেন। নিরীক্ষাপ্রবণ এই গল্পকারকে...’ ইত্যাদি ইত্যাদি।

সত্যিকার অর্থেই এগুলো অনেক দামী কথা। আমার ক্ষেত্রে কতটা প্রযোজ্য ও প্রযুক্ত জানি না। তবে আমার গল্প নিয়ে ছোট পরিসরে আমার একটা ভাবনা আছে। জেমকনের একই অনুষ্ঠানে আমি আমার অনুভূতি পাঠ করেছিলাম। এই দামী কথাগুলোর সঙ্গে যার কোনো মিল নাই। আমি আমার মতো খুব সাধারণ করে বলেছিলাম, ‘আমার গল্প জন্ম নেয় আমার আম্মার চুলের ভেতর থেকে। আপনারা যদি জানতে চান, কিভাবে— তবে বলবো, বুঝ হওয়ার পর থেকেই দেখেছি আমার আম্মা চুল মেলে দিয়ে, একগাছি চুল একটি আঙুলের মধ্যে পেঁচিয়ে মুষ্ঠিবদ্ধ করে উপরের দিকে হঠাৎ টান দিতেন। এতে চাপে পটকা মাছের পেট ফাটার মতো একটা শব্দ হতো। আম্মা নাকি এতে স্বস্তি পান। মাথাটা তার হালকা লাগে। তেমনিভাবে, একটা গল্প লেখার আগে আম্মার আঙুলে পেঁচানো চুলের মতো নানা চিন্তা এসে আমার মাথায় পেঁচাতে থাকে। তারপর আম্মার মাথার স্বস্তিদায়ক শব্দটির মতো চিন্তাগুলো একটা গল্পে রূপ নেয়। কেমন চিন্তা? এই ধরুন, প্লট, চরিত্র, ন্যারেশন কিংবা ডিকশন কেন্দ্রিক চিন্তাগুচ্ছ। তাই কোনো গল্প লেখার আগে আমার মনে পড়ে আম্মার এই চুলতত্ত্ব। প্রথম যেবার ব্যাপারটি আমি টের পেলাম, আম্মাকে জানাতেই তিনি বললেন, ‘মার চুলের কথা মনে পড়লে যদি গল্প লেখা, অসুবিধা কী লেইখবা, এতে চিন্তার কী আছে!’ তাই আমার গল্পের জন্ম আম্মার চুলতত্ত্বের গর্ভে। যেমন সন্তান জন্ম নেয় তার মায়ের গর্ভে। আমার ‘পোস্টমাস্টার ও অন্যান্য গল্পে’র  গল্পগুলোকে একটা নির্দিষ্ট ঐক্যে বাঁধবো আমি। তা হলো— মৃত্যু। এর প্রতিটি গল্পের কেন্দ্রে আছে মৃত্যু। আপনাদের চোখে মৃত্যুর অনুভব কেমন? অধিকাংশের চোখে ‘কালো’ কিংবা ‘আন্ধার’ সমার্থক নয় কি? আমার আম্মার চুলও কালো। আসলে, নিজের গল্প নিয়ে খুব বেশি কথা না বলাই ভালো। তবুও, মৃত্যুকে মানছি। গল্পে ‘মানসিক’ বা ‘শারীরিক’ মৃত্যু প্রাসঙ্গিক। একুশ শতকে একটাই প্রকৃত সত্য আছে। তা হচ্ছে মৃত্যু। আর সব সত্যের মতান্তর আছে। সত্য এখন বহুরকম। এমনকি জন্মেরও। তাই মৃত্যু নিয়ে আমার বিচিত্র ভাবনা আছে। আমি মনে করি, কেবল মানুষই মৃত্যুর পরে তাঁর জীবনের চেয়ে সুতীব্র দাপটে বেঁচে থাকার ক্ষমতা রাখে। কোনো কোনো মানুষ যেমন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, তলস্তয়, দস্তয়েভস্কি, ফ্রয়েড, কাল মার্কস—  এমন আরো অনেক মানুষ যারা এই মুহূর্তে আপনাদের অন্তরে জীবিত আছেন।

আমার জীবনে গল্প বলার বেলায় ৩ টা ২০ মিনিট খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়। প্রতি শুক্রবার বিটিভিতে এই সময়ে পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি দেখাতো। এখনও বোধ হয় দেখায়। প্রসঙ্গক্রমে বলছি, আমার পিতৃপুরুষেরা অসম্ভব রক্ষণশীল ছিলেন। আর মাতৃপুরুষেরা ততোধিক প্রগতিশীল। আমার আম্মা এবং আব্বার মিলন হলো কিভাবে তা আজো আমার কাছে বিস্ময়। আমি এই সূত্রে যুগ্মবৈপরীত্যকে প্রাধান্য দেবো। যাই হোক, দাদার বাড়িতে টিভি দেখার কখনও কোনদিন সৌভাগ্য হয়নি। আম্মা যখন নানুবাড়িতে বেড়াতে যেতেন আমাদের আব্বা এবং ভাইবোনদের নিয়ে, তখন আমরা দু’চোখ ভরে টিভি দেখতাম। দর্শক হিসেবে আমার এবং আমার আম্মার প্রথম সার্থক বাংলা ছবি ‘সুজন সখি’। সে হবে। অনেক আগে। শৈশবে এক শুক্রবার। অথবা ভিসিয়ারে। সম্ভবত পূর্ণদৈর্ঘ্য বাংলা ছায়াছবি দেখেই আমি গল্প বলতে শিখেছি। আর কল্পনা শক্তিও বেড়ে গেছে আমার। ছবির অবাস্তবতা আমার সত্তাজুড়ে কল্পনার সংক্রমণের চিহ্নবাহী। তারপর আমরা মায়ে-ছেলে মিলে আজ অবধি অনেক বাংলা ছবি দেখেছি।

বাংলা গল্পে রবীন্দ্রনাথ, অমিয়ভূষণ, কমলকুমার, তিন বন্দ্যোপাধ্যায়, নারায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়, সুবোধ ঘোষ, সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ, আখতারুজ্জামান ইলিয়াস, হাসান আজিজুল হকের গল্প আমার প্রিয়। কাছের মানুষেরা বলেন, তোর জীবনটা তো ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে কাটিয়ে দিলি। প্রায় প্রতিদিন জাহাঙ্গীরনগর টু ঢাকা করছি। পড়াশোনা আর সাংবাদিকতা। প্রতিদিন আমি নতুন দুইশ’ মানুষ দেখি কম করে হলেও। লোকাল বাসে চড়ি ইচ্ছে করে। মানুষের মুখ দেখি, অঙ্গভঙ্গি দেখি, ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া ইত্যাদি। নাগরিক মানুষের মুখ দর্শন আমার নেশায় দাঁড়িয়েছে। তাদের গল্পে আনার চেষ্টা করি। তাদের চোখ-মুখজুড়ে শুধুই অবিশ্বাস। আর ঢাকা শহরের জ্যাম আমি খুব কাছ থেকে গভীর মনোযোগ দিয়ে দেখি প্রতিদিন। এই জ্যাম আমার পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশের অচলাবস্থা। ২০ মিনিটের একটা জ্যামের অসহ্য যন্ত্রণার মাঝে কিভাবে নগরের ছিন্নমূল মানুষ জীবনে আরো ২০ মিনিট ভালো থাকার বন্দোবস্তো করে তা আমি দেখি। এটা তাদের আয়ের উৎস।

গল্পে নোয়াখালীর আঞ্চলিক ভাষা আমি ব্যবহার করেছি। কেন? প্রথমত, গল্পটি নোয়াখালীর। দ্বিতীয়ত, টিভি নাটকে দেখা যায়, নিছক লোক হাসানোর জন্যে লোকে নোয়াখালীর এই ডায়ালেক্ট ব্যবহার করছে। কিন্তু আমার প্রশ্ন, নোয়াখালীর মানুষ কি তাদের নিজেদের ভাষায় কাঁদে না! সেখানে কি স্বজন মরে না? স্বামী মারা গেলে স্ত্রী কেঁদে বলে, ‘হেতেনে আঁরে থুই কিল্লাই গেল!’ তাহলে কেন এই ভাষা শুধু হাসির খোরাক? আমি তাই নোয়াখালীর ভাষা গল্পে ব্যবহার করে পাঠকের মন খারাপ করে দিতে চাইছি। ’ ইত্যাদি ইত্যাদি।

যাই হোক, নিজের ঢোল অনেক পেটাচ্ছি, অনুমতি দিলে আরেকটু পেটাতে চাই। পাণ্ডুলিপির নাম পোস্টমাস্টার ও অন্যান্য গল্প  হলেও বই করার সময় সে নাম রাখতে পারছি না। নতুন নাম দিয়েছি— ‘তিরোধানের মুসাবিদা’।

আসলে, আমার মৃত্যু উন্মুখ একটা সময় যায়। আমার জীবনে এমন সময় তিনবার এসেছে, যখন আমি শুধু মৃত্যু নিয়ে টানা চিন্তা করেছি। মনে হয়েছে আমি মরে যাচ্ছি। এই বুঝি মরে যাবো। শৈশবে একবার এমন হয়েছে। সেবার আমি ক্লাশ এইটে পরি। সে পরিস্থিতিতে আমার মনে হয়েছে, আমার কথা আমিই শুধু শুনতে পাই, আর কেউ শুনতে পাচ্ছে না। আমি আমার আব্বাকে বলেছি, আমাকে বাজারে নিয়ে যান। বেশি মানুষের মাঝে থাকলে হয়তো আমি ভুলে যাবো মৃত্যুচিন্তা। হাটে যাবার পরও আমার রোগ সারেনি দেখে আব্বা আমাকে হোমিওপ্যাথিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। আজো সে রোগ সারে নি। এই তো মাত্র ছ’মাস আগেও টানা ছয়মাস চলেছে এমন অসুখ। খালি মৃত্যু নিয়ে চিন্তা। রাতে ঘুমাতে পারি না। ভয়ে আমি সারাক্ষণ মানুষের সাথে সাথে থেকেছি। ছুটে গেছি যেখানে একটু বেশি মানুষের ভীড়, সেখানে। আমি কাঁটা দিয়ে কাঁটা তুলতে কবিদের মৃত্যু বিষয়ক কবিতাগুলো ঘুরে-ফিরে পড়েছি। এখন অবশ্য ভালো হয়ে গেছে আবার। সামনে হয়তো আবার হতে পারে, এ আশঙ্কা উড়িয়ে দিচ্ছি না। আমি ভেবে দেখলাম, আমার গল্পগ্রন্থের অধিকাংশ গল্পই মৃত্যু নিয়ে। হয়তো নিজেই মৃত্যুচিন্তার মধ্যে থাকতে থাকতে গল্পের ভেতর দিয়ে জীবনের দিকে যাত্রা শুরু করেছি। অধিকাংশ গল্পের কেন্দ্র নানা রকম মৃত্যু।

যেমন ধরা যাক, বইয়ের প্রথম গল্পটির কথা। নাম ‘কাননে কালা কুত্তা’। এই গল্পের প্রধান চরিত্র কুতুব ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রিক কারণে জীবত থেকেই মৃত, সে সন্ত্রাসী, কিলার। অথচ সেই মৃতকেই ক্রসফায়ারে রাষ্ট্র আবার মেরেছে! ‘তরুণের দাঁতে মরণের নখ’ গল্পে আছে মৃত্যুর অনুভূতি ভুলে যাওয়া তরুণের কথা। তার কাছের বন্ধু, মানুষজন এমনকি তার বাবার মৃত্যুতেও তার কোনো মরণের অনুভূতি আসে না। কেন? সময়-সমাজ-রাষ্ট্রই এর উত্তর দিতে পারবে। ‘অবশিষ্ট জীবনাংশে মৃত্যু ব্যথিত প্রাণ’ গল্পে মরা কান্নার কালে মৃতের মেয়ে ভাবছে, সেই শৈশবে তার এই বাবাটি তাকে জ্যামে আটকে পড়া বাস থেকে নামিয়ে হিসু করাতে নিয়ে গিয়ে ফিরে এসে দেখে বাসটি প্রায় ছেড়ে দিচ্ছে আর বাসের যাত্রীরা তার বাবাকে তাদের সময় নষ্ট করার কারণে গালাগাল দিচ্ছে। এর প্রতিবাদের ভাষা বাবাটির নেই, আজ সেই বাবাটিও আর নেই। ‘হাসি ও কথার সিথান’ গল্পের প্রধান চরিত্রটির নার্সারির ফুলগাছের ফুল ও পাতার সঙ্গে সঙ্গে তারও কথা ও হাসি ফুরিয়ে গেলে কার্যত তাকে মৃতই ভাবা সম্ভব। অথচ সে জীবিত। এভাবেই গল্পগুলো মৃত্যুর স্ট্যাটাসবন্দী হয়েছে। কিন্তু পোস্টমাস্টার ও অন্যান্য গল্প নামে পূর্ণ ভাবটি প্রকাশ করা যাচ্ছিলো না। তাই নাম বদলে রেখেছি তিরোধানের মুসাবিদা। এ নামটি প্রবন্ধকার তৈমুর রেজার দেওয়া। তাঁকে ধন্যবাদ আমার মনমতো এমন একটা নাম দেওয়ার জন্যে। আরেকটি বিষয়ে ভেবে অবাক হই। আমার গল্প লেখার পথযাত্রায় বিভিন্ন জনের অনুপ্রেরণা মাঝেমধ্যে ‘ভালোবাসার অত্যাচার’ বলে মনে হয়। সে রকমই দু’জন মানুষ, যাদের কথা বলার প্রয়োজন বোধ করছি একারণে, আমার পুরস্কার প্রাপ্ত পাণ্ডুলিপির অধিকাংশ গল্পই তাঁরা প্রকাশ করেছেন। একজন হলেন বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের সাহিত্য সম্পাদক তানিম কবির এবং অন্যজন একই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত (একসময় তিনিও এ প্রতিষ্ঠানে সাহিত্য সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন) এম জে ফেরদৌস। ধন্যবাদ তাঁদেরকে, অশেষ কৃতজ্ঞতা বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কমের প্রতি। আশা করি সারা জীবন তাঁদের পাশে পাবো।

মেহেদী উল্লাহ’র (বাংলানিউজে প্রকাশিত) গল্প পড়তে ক্লিক করুন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০১৪
সম্পাদনা: তানিম কবির, বিভাগীয় সম্পাদক শিল্প-সাহিত্য

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।