ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইয়ের সব স্টল সোহরাওয়ার্দীতে রাখার দাবি

ঊর্মি মাহবুব, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪
বইয়ের সব স্টল সোহরাওয়ার্দীতে রাখার দাবি

ঢাকা: চলতি বছরের বইমেলার শুরুতে রাজধানীর সোহর‍াওয়ার্দী উদ্যানে বর্ধিত মেলা নিয়ে সবাই আনন্দ প্রকাশ করলেও ১০ দিন যেতে না যেতেই সে হাসি যেন ফুরিয়ে গেছে মেলায় অংশ নেওয়া অনেক প্রকাশকের।

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে স্টল নিয়েছেন এমন প্রকাশকরা হতাশা প্রকাশ করে জানান, বেশিরভাগ দর্শনার্থীই জানেন না, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মেলা হচ্ছে।

অথচ এবারের বইমেলার বেশিরভাগ বইয়ের দোকানই রয়েছে এখানে। কিছু অংশ আছে বাংলা একাডেমিতে।

সাহিত্য বিলাসের বিক্রেতা ইসরাফিল খান রাজু বাংলানিউজকে বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে বইমেলা হচ্ছে তা অনেকেই জানেন না। জানলেও অনেকেই এখানে আসতে চান না। সরাসরি বাংলা একাডেমি চত্বরে চলে যান। ফলে আমরা গত বছর বইমেলায় যে পরিমাণ বই বিক্রি করতে পেরেছি তা এবার প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে।

বইয়ের সবগুলো স্টলই এক জায়গায় রাখা উচিত বলে মনে করছেন শিখা প্রকাশনীর মিঠুন দেবনাথ।

তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আগে যে ক্রেতারা ছিলেন তারা এখন দুই ভাগ হয়ে গেছেন। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মেলা অনেকটা ভেতরে। এছাড়া, এখানে আলোর স্বল্পতাও রয়েছে। ফলে সন্ধ্যার পর প্রায় সব ক্রেতাই চলে যান বাংলা একাডেমি চত্বরে।

মিঠুন বলেন, বইমেলা বাংলা একাডেমির ঐতিহ্য। সে হিসেবে বইমেলার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভাগুলো এখানে রাখা উচিত। আর যেহেতু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জায়গা বেশি সেহেতু সব বইয়ের স্টল এখানেই রাখা উচিত ছিল।  

আগের চেয়ে ৪০ শতাংশ বিক্রি কমে গেছে জানিয়ে শিখা প্রকাশনীর এ কর্মকর্তা জানান, শুক্রবার ছুটির দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বইমেলার গেইটে তেমন কোনো ভিড় না থাকলেও দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে বাংলা একাডেমির গেইটে।

তিনি বলেন, বাংলা একাডেমির গেইটে দর্শনার্থীদের লাইন ছিল দোয়েল চত্বর পর্যন্ত। কিন্তু সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কোনো লাইন-ই ছিল না।

বাংলা একাডেমিতে আসা দর্শনার্থী রুবী খানম বলেন, বইমেলা মানেই বাংলা একাডেমি। তাই আগে এখানে এসেছি। পরে সময় পেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাবো।

‘তবে এখান থেকে আর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যাওয়া হবে বলে মনে হচ্ছে না’ বলেও যোগ করেন তিনি।

বইমেলায় অন্য সময় সন্ধ্যার পর দম ফেলার সুযোগ না পেলেও এবারের চিত্র ভিন্ন বলে জানান বিক্রেতা রূহী।

রূহী বাংলানিউজকে বলেন, বিক্রি কম, তাই ঝিমিয়ে পড়েছে সবাই। গত বছর এ সময় বেচাকেনার জন্য দম ফেলার ফুরস‍ৎ ছিল না। এবার বিক্রি অনেকটা কম। কিন্তু বাংলা একাডেমি চত্বরে ভিড় ঠিকই আছে।

আগামীতে বইয়ের স্টল সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে রাখার ব্যবস্থা করতে সংশ্লিষ্টদের কাছে দাবি জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৩

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।