ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

ভেতরে-বাইরে জমে উঠেছে বইমেলা

আবু তালহা, আল-আমিন ও সাখাওয়াত আমিন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১৪
ভেতরে-বাইরে জমে উঠেছে বইমেলা ছবি : বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

মেলা প্রাঙ্গণ থেকে: দিন যত গড়াচ্ছে বইমেলার জৌলুস যেন ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১১তম দিনে এসে পুরোপুরি জমে উঠতে শুরু করেছে এবারের বইমেলা।

ক্রেতা-দর্শনার্থীদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে মেলার উভয় অংশ। মেলার বাইরের মেলাও হয়ে উঠেছে জমজমাট।

প্রতিদিন সন্ধ্যায়ই মেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘লেখক আড্ডা’য় অংশ নিচ্ছেন বিশিষ্ট লেখকরা। তারা নিজেদের প্রকাশিত বইয়ের পাশাপাশি খোঁজ খবর নিচ্ছেন অন্য লেখকদের প্রকাশিত বই সম্পর্কেও।

প্রতিদিন বিকেল ৪টা থেকে বাংলা একাডেমির মূলমঞ্চে চলছে কোনো বিশিষ্ট ব্যক্তি বা বিষয়ের ওপর আলোচনা সভা। আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন দেশ বরেণ্য ব্যক্তিত্বরা। সন্ধ্যা হলেই শুরু হচ্ছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। বিকেলে মঞ্চের সামনের অনেক চেয়ার ফাঁকা পড়ে থাকলেও সন্ধ্যা গড়াতেই তা কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে।

এদিকে মেলার শোভাবর্ধন হচ্ছে বিশিষ্টজনদের আগমনে। প্রতিদিনই বিশিষ্ট কেউ না কেউ আসছেন মেলা পরিদর্শনে। মঙ্গলবার ও গত সোমবার কোনো রকম প্রোটকল ছাড়া একেবারেই সাধারণ মানুষের মতো মেলায় ঘুরতে দেখা গেছে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিতকে। মঙ্গলবার অবশ্য তিনি একুশের মূলমঞ্চে একটি আলোচনা সভায় অংশ নিয়েছেন।

গত রোববার মেলায় আসেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক ও বর্তমান নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের জন্য ইতোমধ্যেই মেলায় ঘুরে গেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বেনজীর আহমেদ।

মেলায় ভির যত বাড়ছে বিক্রিও ততই বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে ব্যস্ত সময় পার করতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। অনেক প্রকাশনীই ক্রেতা-দর্শনার্থীদের সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।

তবে বিক্রি ভালো হওয়ায় সন্তোষের হাসি ফুটে উঠতে শুরু করেছে প্রকাশকদের মুখে।

সময় প্রকাশনীর প্রকাশক ফরিদ আহমেদ বাংলানিউজকে জানান, প্রথম দিকে পাঠকরা আসেন ক্যাটালগ সংগ্রহ করতে এবং বই পছন্দ করতে। কিন্তু এখন যারা আসছেন তারা বই কিনতেই আসছেন। ফলে বই বিক্রি বেড়েছে।

অবসর প্রকাশনীর ম্যানেজার মাসুদ রানাও জানালেন একই কথা। তিনি বলেন, ‘মেলার দশম দিন পার হয়ে যাওয়ার ফলে বই বিক্রির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রয়ও আশাননুরূপ হচ্ছে। ’

সময় গড়ানোর সাথে সাথে বিক্রি আরো বাড়বে বলে আশাবাদী উভয় প্রকাশনী।

অন্যদিকে মূল বইমেলার বাইরে জমজমাট অন্য মেলাও। বাহারি পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছেন বিক্রেতারা। সেখানে হাতের চুরি কানের দুল, বাচ্চাদের খেলনাসহ পাওয়া যাচ্ছে ঘর-গৃহস্থালির সামগ্রীও। মেলার টিএসসি প্রান্ত এবং দোয়েল চত্বর প্রান্তে তারা বসিয়েছেন হরেক রকম পণ্যের অস্থায়ী দোকান। কেউ কেউ আবার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানেও বসেছেন বিভিন্ন পণ্য নিয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।