অমর একুশে গ্রন্থমেলা ঘিরে প্রকাশিত হয় অসংখ্য বই। বইমেলা নিয়ে বাংলানিউজের বিশেষ আয়োজন ‘সেরা ৫’।
‘মন জোগাতে নয়, মন জাগাতে’ এই ভাবনা ভিত্তি করে ২০০৪ সালে শুদ্ধস্বর গ্রন্থ-প্রকাশনা জগতে যাত্রা শুরু করে। প্রতিবছরই মননশীল ও মুক্তচিন্তার বইয়ের আধিক্যই থাকে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানটির। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।

এক ‘মহাভারত’ নিয়ে লেখা হয়েছে অসংখ্য বই। বেশির ভাগ বই সহজপাঠ্য নয়। মাহবুব লীলেনের ‘অভাজনের মহাভারত’ এ সময়ের পাঠকের উপযোগী। ভাষা প্রমিত নয়, তবে সহজ। অনেকটা কথাবলার ঢঙে।
বইটির ফ্ল্যাপে লেখক বলেছেন— ‘একখান কাহিনী যদি হাজারো বছর ধইরা শতে শতে মানুষ লিখতেই থাকে তয় কী দাঁড়ায়? দাঁড়ায় একখান মহাভারত; গল্পে মারাত্মক বর্ণিল কিন্তু যুক্তিতে ঢিলা... এই সর্বগ্রাসী যুক্তিগুলা ঢিলা বইলাই বারো জনে এরে বারো দিকে টাইনা নিয়া গপ্প বানায় আর অলৌকিকতার আঠা দিয়া এক গপ্পের ল্যাঞ্জায় জুইড়া দেয় আরেক গপ্পের মাথা... তো আমিও কইলাম আবার সেই মহাভারতের গপ্প; অলৌকিকতার আঠা ছাড়াইয়া সহজিয়া বাংলায়। ’
২৫৪ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৪৮০ টাকা। প্রচ্ছদ তৌহিন হাসান।

এই কাহিনী একটি যুদ্ধের। সেই যুদ্ধের দেয়ালে নানা চলকের লুকোচুরি, দেশপ্রেমের ঢেউ আর বিশ্বাসঘাতকতার চোরাস্রোত, দাবার বোর্ডের গুটি হয়ে বহু মানুষের হাঁটা-চলা। এই কাহিনী একটি যুদ্ধোত্তর দেশের। সেখানে বহুমাত্রিক সব জটিল গণিত, আলোকের যত অনন্তধারার সঙ্গী দুর্ভাগ্যের অন্ধকার।
‘সাক্ষী ছিলো শিরস্ত্রাণ’ –এই দুই সর্পিল সময়ের পটে দাঁড়ানো একজন সরলতম মানুষের গল্প।
৪৪০ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৬০০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন স্যাম।

ধর্মের আন্তঃসম্পর্ক আর সংঘাত এসব নিয়েই শামসুদ্দিন শোয়েব-এর ‘ধর্ম, নারী ও যৌনতা’। পৃথিবীর অন্যতম প্রধান ধর্মগুলোর একটির সঙ্গে আরেকটির সাদৃশ্য এবং বৈসাদৃশ্যের তুলনামূলক চিত্র সবিস্তারে বর্ণনা রয়েছে বইটিতে।
লেখকের মতে ধর্ম, নারী ও যৌনতার কাহিনীগুলো নিকট প্রাচ্যের সৃষ্টি।
৩৫২ পৃষ্ঠার বইটির দাম ৫৭৫ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন তৌহিন হাসান।
নয়নতারা । । শামীম রুনা

যার দৃষ্টি যতটা প্রখর, তিনি ততটা অবলোকন করেন। গল্পকার শামীম রুনা মানুষের যাপিত জীবনের বিচিত্র অনুসঙ্গ তুলে এনেছেন তার দশটি গল্পে। প্রতিটি গল্পই এক নিশ্বাসে পড়ে ফেলার মতো। সহজ শব্দে, সহজ ভাষায় সব পাঠকের পড়ার উপযোগী গল্পগুলো।
মানুষের সম্পর্কের ভাঙাগড়া, মানসিক বিচ্ছেদ, দ্বৈতসত্তার উচাটন- এসবের মানবিক দলিল ‘নয়নতারা’। ১২৪ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ২১০ টাকা। প্রচ্ছদ করেছেন কৃষ্ণ দ্বৈপায়ন।

দশমিক সংখ্যা লিখতে হলে শূন্যের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। শূন্য মানে যার কোনো অস্তিত্ব নেই। অর্থ্যাৎ ফাঁকা স্থান। সেই খালি স্থান বা অস্তিত্বহীন একটি জিনিস অনেক হাত ঘুরে, অনেক সভ্যতাকে স্পর্শ করে একসময় সংখ্যার রাজ্যে মর্যাদা পায়। ভাবতেই বেশ অবাক লাগে। গল্পের মতো মনে হয়। গল্পে গল্পে শূন্য আবিষ্কারের সেই গল্পটিকে তুলে এনেছেন পারভেজ রাকসান্দ কামাল।
৬৪ পৃষ্ঠার এ বইটির মূল্য ১৪০ টাকা। প্রচ্ছদ ও অলংকরণ করেছেন আরাফাত করিম।
গ্রন্থনায়: আদিত্য আরাফাত
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫