ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে মনিকা চক্রবর্তীর উপন্যাস

সিনিয়র নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
মুক্তিযুদ্ধের সত্য ঘটনা নিয়ে মনিকা চক্রবর্তীর উপন্যাস

বইমেলা থেকে : বইমেলায় প্রকাশিত হয়েছে মনিকা চক্রবর্তীর মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক উপন্যাস ‘মন্দ্রসপ্তক’। প্রকাশনা সংস্থা বেহুলাবাংলার ‘মুক্তিযুদ্ধের ৭১ উপন্যাস’ শীর্ষক আয়োজনের মধ্য দিয়ে উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়েছে।

এটি তার প্রকাশিত পঞ্চম বই। সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে বেহুলাবাংলার ৫৭৭ নম্বর স্টলে এটি পাওয়া যাবে। বিনিময় মূল্য ১৩৫ টাকা।

উপন্যাসটির ব্যাপারে জানতে চাইলে মনিকা চক্রবর্তী বলেন, বইয়ে বর্ণিত ঘটনা ও চরিত্রগুলো অনেকাংশে সত্য। আমার জন্ম একাত্তরে। তাই যুদ্ধ-বিষয়ে সরাসরি অভিজ্ঞতা আমার নেই। কিন্তু বড় হতে হতে অনেক পরিচিত মানুষকে দেখেছি যাদের স্মৃতিতে, অনুভবে, চিন্তার কোনো এক উৎসের গভীরে মুক্তিযুদ্ধের একটি আশ্চর্য শক্তি ও ভয়ংকর স্মৃতিগুলো পাশাপাশি রয়ে গেছে। সেই তাড়া খাওয়া সময়ের ইতিহাস বুকে নিয়েও এদের কেউ কেউ অজানা রহস্যময় কোনো আশ্চর্য শক্তিকে নিজের ভিতরে সবসময় ধারণ করেছে। অনেক বিপন্নতাবোধের মধ্যেও এরা শিরদাঁড়া সোজা রেখেছে। এরকম জীবনের বৃত্ত থেকেই উপন্যাসটি লিখেছি।

আগের বইগুলো থেকে তো এ বইটি একেবারেই আলাদা হওয়ার কথা? তিনি বললেন, আলাদা অবশ্যই। আমার প্রতিটি বই আগের বইয়ের চেয়ে ভিন্ন। আগে প্রকাশিত হওয়া দু’টি প্রেমের উপন্যাসও ছিল সুস্পষ্টভাবে ভিন্ন। এক একটি সময় বাস্তব অবস্থাকে নানাভাবে ধারণ করে। সেই সময়কে বোঝা ও মনস্তাত্ত্বিক সংকটগুলো পার হওয়ার ক্ষেত্রে চরিত্রগুলো নানাভাবে প্রতিক্রিয়া করে। একটির সঙ্গে অপরটির মিল নেই। তবে টুকরো টুকরো আলো-অন্ধকারের সহাবস্থান আমার লেখা চরিত্রগুলো সবসময়ই ধারণ করে। এই বইটির  চরিত্রগুলো বাধা ও সংকটকে শেষ পর্যন্ত ভয় না পেয়ে নিজের মতো করে এগিয়ে যেতে চায়।

উপন্যাসটি কীভাবে লিখলেন, কোন সময়ে লেখা? জানতে চাইলে মনিকা বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা নিয়ে আমার মধ্যে একটা তীব্র কৌতূহল সবসময়ই ছিল। তাই যখন যেখানে গেছি সেখানকার কোনো লোকের সঙ্গে পরিচিত হওয়ার পর তার যুদ্ধকালীন অভিজ্ঞতা জানার চেষ্টা করেছি। অনেকে বলতে চাইতো না। বা ভিন্নমত প্রকাশ করে বিষয়টিকে অন্যভাবে ঘুরিয়ে বলার চেষ্টা করতো।

তিনি বলেন,  বিবাহিত জীবনে বদলির চাকরির সূত্রে আমি বাংলাদেশের নানা জায়গায় থেকেছি। মফস্বলের নিঃসঙ্গ বিকেলগুলো অনেক সময় কাটিয়েছি বাসার দারোয়ান আর বুয়াদের সঙ্গে গল্প করে। এই শ্রেণীর লোকেরা প্রকৃত সত্যকথাটিই বলবার চেষ্টা করত।

সিরাজগঞ্জ জেলায় থাকার সময় এ সত্য গল্পটি আমি জেনেছি। তখন আমি নিয়মিত লিখতাম না। তবে মনে দাগ কেটে থাকা বিষয়গুলো ডায়েরিতে লিখে রাখতাম। কিন্তু গল্পটির ভয়াবহতা আমাকে অনেকদিন তাড়া করেছে। নিজের মধ্যে একে আমি বুনেছি অনেকদিন ধরে। সময়ের স্বল্পতার কারণে আমি আমার অনেক চিন্তাকে এই বইয়ে স্থান দিতে পারিনি। তবে চরিত্রগুলোর পারস্পরিক অনেক বিরোধিতার মধ্যে দিয়েও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ভাবটিকে প্রকাশের যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি।

বই প্রকাশের জন্য বইমেলার সময়টিকেই বেছে নিলেন কেন?

তিনি বলেন, আমার সব বই বইমেলায় প্রকাশিত। আর এই বইটিও সৌভাগ্যক্রমে বেহুলাবাংলার মাধ্যমে বইমেলাতেই প্রকাশ পেয়েছে। আমাদের দেশের বইমেলার একটি ঐতিহ্য ও আলাদা মেজাজ রয়েছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক আবেগ ও অন্তর্গত অনুভব। বইমেলায় বই প্রকাশের আনন্দই আলাদা।

বইটির প্রচ্ছদশিল্পী মোস্তাফিজ কারিগর। মন্দ্রসপ্তকসহ ঘরে বসে বইমেলার যেকোনো বই পেতে ভিজিট করুন rokomari.com-এ। অথবা কল করুন 16297 নম্বরে।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
টিকে/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।