ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

ছয় দফার আড়ালে ছিল স্বাধীনতার রূপরেখা

নিউজরুম এডিটর | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৪৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
ছয় দফার আড়ালে ছিল স্বাধীনতার রূপরেখা ছবি: আনোয়ার হোসেন রানা/ বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

বইমেলা থেকে: বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা ছিল মহান স্বাধীনতার একটি রূপরেখা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সে সময়ই আসলে বুঝতে পেরেছিলেন এ জাতির স্বাধীনতার বিষয়টি, তাই তো তিনি ছয় দফার আদলে মূলত আমাদের স্বাধীনতার রূপরেখাই তুলে ধরেন।



বৃহস্পতিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে ‘আমাদের বাঁচার দাবি: ৬ দফার ৫০ বছর’ গ্রন্থটির প্রকাশনা উৎসবে বক্তারা একথা বলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা প্রস্তাবের পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে বাংলা একাডেমি প্রকাশিত এ বইটি লিখেছেন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরেণ্য অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক রেহমান সোবহান, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আনোয়ার হোসেন, অধ্যাপক এম এম আকাশ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদার ও একাডেমির মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক শামসুজ্জামান খান।

অধ্যাপক রেহমান সোবহান বলেন, ছয় দফা উত্থাপনের আড়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আসলে স্বাধীনতার রূপরেখা দিয়েছিলেন। তার ছয়টি দফা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল ভিত্তি। তিনি তখনই বুঝতে পেরেছিলেন- স্বায়ত্তশাসনের যে দাবি হচ্ছে তা খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না। ছয় দফার আড়ালে তিনি আসলে স্বাধীনতার কথাই সে সময় বলেছিলেন।

বইয়ের লেখককে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদকে ধন্যবাদ। তিনি সঠিক সময়ে সঠিক কাজটি করেছেন। আজকের এ অনুষ্ঠানে আমি অনেক তরুণকে দেখছি। আমি এতে আশাবাদী। তাদের জন্য এ বইটি অবশ্যপাঠ্য বলে মনে করি।

অনুভূতি প্রকাশকালে অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদ বলেন, বাঙালির ইতিহাসে হাজার বছরের একটি টার্নিং পয়েন্ট হলো ১৯৬৬ সালের ছয় দফা। এর মূল লক্ষ্য ছিল বাঙালির স্বাধীনতা। বইটি গঠনে সময় দিয়ে মূল্যায়ন করলে হবে না, বিষয়বস্তু দিয়ে বিচার করতে হবে। অনেকখানি ধৈর্য এবং আনন্দ নিয়ে কাজটি করেছি।

ইতিহাসবিদ সৈয়দ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমি আমার বক্তব্যে একটি ঘটনার কথা উল্লেখ করতে চাই- সেটা হলো ন্যাপ নেতা মোজাফফর সাহেব যখন বঙ্গবন্ধুকে বলেছিলেন- এতো দফা তিনি কেন দিয়েছিলেন? তখন বঙ্গবন্ধু হেসে বলেছিলেন, ছয় দফার আদলে তো আমি এক দফার কথা বলেছি। আর সেটি হলো আমাদের স্বাধীনতা।

অন্য বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধুর ছয় দফা ছিল মূলত বাঙালির বাঁচার দাবি। একদফা অর্থাৎ আমাদের স্বাধীনতা। এ বইটি ছয় দফার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে দেশবাসীর জন্য এক বিশেষ উপহার। এর মধ্য দিয়ে পাঠক আমাদের জাতীয় ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা লাভ করবেন।

ছয় দফা আন্দোলন বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ও গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ঘটনা। ১৯৬৬ সালের ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি লাহোরে অনুষ্ঠিত বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর এক সম্মেলনে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ‘৬ দফা দাবি’ পেশ করেন। আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দফা উত্থাপন করা হয় লাহোর প্রস্তাবের সঙ্গে মিল রেখে ২৩ মার্চ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৬
আইএ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।