বইমেলা থেকে: অমর একুশে গ্রন্থমেলায় এবার এসেছে মাজুল হাসানের দু’টি বই। একটি মৌলিক কবিতার ‘ইরাশা ভাষার জলমুক’ ও অন্যটি মাকির্ন কবি রাসেল এডসনের কবিতার অনুবাদ ‘টানা গদ্যের গডফাদার’।
মাজুল জানান, রাসেল এডসনকে বলা হয়ে থাকে টানাগদ্য কবিতার গডফাদার। তিনিও নিজেকে ঠাট্টা করে বলতেন মিস্টার লিটল প্রোজ পোয়েম।
কবিতার বই হিসেবে ইরাশা ভাষার জলমুক তার তৃতীয় বই। বইটির ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বই সম্পর্কে আলাদা করে লেখকের বলার কিছু থাকে না। আমার বইটাই তো আমার চিন্তা, বোধ ও বক্তব্য। এটুকু বলতে চাই- বাতাসের বাইনোকুলারের যে ভাষা ভঙ্গিমা শুরু করেছিলাম, এই বইয়ে এসে সেটা একটা অবয়বে আনার চেষ্টা করেছি। চেষ্টা থাকবে এই ভাষা ও কাব্যটেকনিক থেকে বেরিয়ে আসার। এজন্য আগামী বেশ কয়েক বছর আমার কবিতা পাঠকরা নতুন কোনো বই পাবেন না আমার।
আগের বই দুটোর কবিতা থেকে এ বইয়ের কবিতার পার্থক্য কী? জানতে চাইলে মাজুল বলেন, মূলত সময় ও চিন্তার মব নিয়ে কাজ করি আমি। এই অস্থির অরাজক সময়ের টুকরো ও আপাতবিচ্ছিন্ন ও ছেদসৃষ্টি কী বিষয়ান্তরের ভঙ্গিমাই কবিতায় ব্যবহার করেছি আমি, সেই বাতাসের বাইনোকুলার থেকে। এই আপাত বিচ্ছিন্ন, পরম্পরা রোধক, উলম্ফন ও হুল্লোড়ি দিয়ে কীভাবে একটি কংক্রিট মেসেজ দেওয়া যায়, এই চেষ্টা ছিল বরাবরই। ইরাশা ভাষার জলমুকে সেটা অনেকখানি হয়েছে বলে আমার ধারণা। এখানে মেঘের মতো কিছু টুকরো ঘটনা ও বিক্ষিপ্তকে, সেটা নিজের বেড়ে ওঠা থেকে শুরু করে সাম্প্রতিক রাজনীতি পর্যন্ত বিস্তৃত, চিন্তারচাপকে ধরার চেষ্টা আছে।
এখানে অনেক মুখ, কিন্তু সেগুলো জলমুক অর্থাৎ মেঘ। মেঘের ইশারা মেঘের ভাষা, ভাঙা মুখ এসব আর কি...
ইরাশা ভাষার জলমুক ও টানা গদ্যের গডফাদার বই দু’টির প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত। প্রতিটি কবিতা পড়ে সেই অনুযায়ী ড্রইং করার কষ্টসাধ্য কাজটিই তারই করা। এ দু’টি বইসহ ঘরে বসে বইমেলার যেকোনো বই পেতে ভিজিট করুন rokomari.com-এ। অথবা কল করুন 16297 নম্বরে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৬
টিকে/এএ


