ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলায় তাসরুজ্জামান বাবুর ২য় কল্পবৈজ্ঞানিক থ্রিলার

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৭৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০১৮
বইমেলায় তাসরুজ্জামান বাবুর ২য় কল্পবৈজ্ঞানিক থ্রিলার তাসরুজ্জামান বাবুর কল্পবৈজ্ঞানিক থ্রিলার ‘বিয়ন্ড দ্য ম্যানমেইড ইউনিভার্স’র প্রচ্ছদ। ছবি: সংগৃহীত

সায়েন্স ফিকশন ও থ্রিলারপ্রেমীদের জন্য সুখবর। গত বইমেলায় সাড়া জাগানো লেখক তাসরুজ্জামান বাবুর কল্পবৈজ্ঞানিক থ্রিলার ‘বিয়ন্ড দ্য ম্যানমেইড ইউনিভার্স’ এসেছে এবারের বইমেলার প্রথম দিনেই।

বইটি প্রকাশ করেছে সময় প্রকাশন। পাওয়া যাবে বইমেলায় সময় প্রকাশনের প্যাভিলিয়নেই (প্যাভিলিয়ন নম্বর: ২০)।

বইটির মুদ্রিত মূল্য ২০০ টাকা, বইমেলায় ২৫ শতাংশ ছাড়ে  ১৫০ টাকায় সংগ্রহ করা যাবে। কল্পবিজ্ঞান, থ্রিলার, অ্যাডভেঞ্চার, হরর, সাসপেন্স, ম্যাজিক রিয়েলিজম ইত্যাদি বহু বিষয়ের স্বাদ পাবেন পাঠক একটি বইয়ে।

বইটির ব্যাপারে লেখকের মন্তব্য, এটি আমার ছকের বাইরে একটি এক্সপেরিমেন্ট। এ বইয়েও আমার একটি হাইপোথিসিস রয়েছে। আমি আশাবাদী, গতবারের মতো পাঠক এটিকেও সাদরে নেবে।

গত বছর ফেব্রুয়ারির বইমেলার মাঝামাঝিতে সময় প্রকাশন থেকেই প্রকাশিত হয় লেখকের প্রথম সায়েন্স ফিকশনের বই ‘তৃতীয় অনুভুতি’। গতবছর বইটি রকমারি বেস্টসেলার সায়েন্স ফিকশন বইয়ের লিস্টেও স্থান করে নেয়। এবারের বইমেলার মাঝামাঝি সময়ে আসবে সেটির দ্বিতীয় মুদ্রণ।

সায়েন্স ফিকশন কেন লেখেন এ প্রশ্নের উত্তরে লেখক বলেন, হাল-আমলে সায়েন্স ফিকশনের পাঠকদের কাছ থেকে একটা অভিযোগ জোরে-শোরে শোনা যাচ্ছে। আজকালকার সায়েন্স ফিকশনগুলো দিনদিন গৎবাঁধা হয়ে যাচ্ছে। হাতে গোনা কিছু বিষয়ের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে কাহিনী। সেগুলোর মধ্যে টাইম ট্রাভেল, স্পেসশিপ অ্যাডভেঞ্চার, এলিয়েন ফাইটিং, মানুষের ওপর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কম্পিউটার বা রোবটের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা ইত্যাদি গুটি কয়েক বিষয়ের পুনরাবৃত্তি সত্যি চোখে পড়ার মতো।

এমনকি কতিপয় নামকরা সায়েন্স ফিকশন লেখকও এই ঘেরাটোপ থেকে মুক্ত হতে পারছেন না। তাদের সায়েন্স ফিকশনের মধ্যে সায়েন্স যতোটুকুই থাক, ফিকশন দিয়ে বাকিটুকু ঢেকে রাখা হচ্ছে! কিন্তু পাঠকের মনের কোণে যে সুপ্ত অতৃপ্তিবোধ বৃহদাকার ধারণ করছে তা নিজেকে দিয়েই টের পাচ্ছিলাম ক্রমশ। অগত্যা একদিন নিজেই সায়েন্স ফিকশন লেখার দুঃসাহস করে ফেললাম।

তারমানে এই নয় যে, তাসরুজ্জামান বাবুর সায়েন্স ফিকশনে এসব ‘কমন’ অনুষঙ্গ নেই। লেখক তার সায়েন্স ফিকশনের দর্শন ব্যক্ত করেছেন এবারের বই ‘বিয়ন্ড দ্য ম্যানমেইড ইউনিভার্সে’র ভূমিকায়।  

তিনি লিখেছেন, আমার লেখায় সায়েন্স তো থাকবেই কিন্তু তা যেনো সায়েন্সের কচকচানি না হয়ে যায়। আমাদের চেনাজানা পৃথিবীর মানবতা, সামাজিকতা ইত্যাদি যেনো উবে না যায়। আমার লেখায় রোবট থাকুক কিন্তু তার যান্ত্রিক হাতের ঝনঝনানি যেনো না থাকে। আমাদের চিরচেনা জগৎকাঠামোর মধ্য থেকে যতোটুকু সায়েন্স ফলানো সম্ভব ততোটুকুই যেনো হয় আমার সায়েন্স ফিকশনের গণ্ডি।

লেখক মনে করেন, সায়েন্স ফিকশন শুধু বিজ্ঞান পড়ুয়া পাঠকদের জন্যেই নয়, এটি বাণিজ্য কিংবা কলা পড়ুয়া পাঠকদের জন্যেও। একারণে তার সায়েন্স ফিকশনের বই অত্যন্ত সহজবোধ্য যা সবধরনের পাঠক পড়ে মজা পাবেন।

তার লেখা পড়ে ভারতের বিখ্যাত লেখক, প্রকাশক ও চিত্রপরিচালক পিনাকী ঘোষ মন্তব্য করেন, সায়েন্স ফিকশনের জগতে আপনি লম্বা রেসের ঘোড়া হবেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৮
এসএনএস/এনএইচটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।