ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বই কিনতেই ভিড় এখন

ফিচার রিপোর্টার | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
বই কিনতেই ভিড় এখন প্রকৃত ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে বইমেলায়/ছবি: সুমন শেখ

অমর একুশে গ্রন্থমেলা থেকে: গাজীপুর থেকে ছোট বোন সাবিহাকে সঙ্গে নিয়ে বইমেলা এসেছেন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তানভীর আহমেদ। মেলার দ্বার খোলার প্রথম ঘণ্টাতেই কেনা হয়ে গেছে অনেকগুলো বই। নিজের জন্য কিনেছেন উপন্যাস, ভ্রমণ আর প্রবন্ধ সাহিত্য। ছোট বোনের জন্য সেবা প্রকাশনীর তিন গোয়েন্দা সিরিজ আর সায়েন্স ফিকশন।

রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) প্রথম ঘণ্টাতেই এতগুলো বই কেনায় আগ্রহে কথা হলো তার সঙ্গে। এসময় বাংলানিউজকে তিনি বলেন, সময় নষ্ট করতে চাইছি না।

আসি আসি করেও বইমেলায় আসা হয়নি এবার। তাই মেলা এসেই পছন্দের নতুন বইগুলো কিনে নিলাম। আরো বই অবশ্য কিনবো, ঘুরে ঘুরে দেখতেও তো একটু সময় লাগবে। তাই শুরু থেকেই বই কেনা শুরু করেছি।

শুধু তানভীর আহমেদ নয়, এদিন মেলার প্রথম ঘণ্টাতেই বইয়ের ব্যাগ হাতে মেলায় ঘুরতে দেখা গেছে আরো অনেককে। তারা সবাই মেলার দুয়ার খোলার পর থেকেই নিজেদের পছন্দের বইগুলো কিনতে শুরু করেছেন। বিগত দিনগুলোর চেয়ে মেলায় এখন ভিড় কমলেও আসল বই ক্রেতার সংখ্যা বেড়েছে। মেলার শেষের দিনগুলোতে পাঠককে বই হাতে তুলনামূলক একটু বেশিই দেখা যাচ্ছে। এর আগে মেলায় হাতে গোনা কিছু সংখ্যক দিন বাদে বই বিক্রির হার ছিল তুলনামূলক কম।

অমর একুশে গ্রন্থমেলার বাকি আর মাত্র চারদিন। তাই শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে প্রাণের মেলা। যারাই আসছেন, তারাই বই কিনছেন। এখন ঘোরাঘুরি করে সময় কাটানোর মতো সময় নেই কারও।  

গ্রন্থমেলা ঘুরে দেখা যায়, এতদিন যে সব পাঠক মেলায় এসে স্টলে স্টলে ঘুরেছেন, ক্যাটালগ সংগ্রহ করেছেন, তারাই এখন এসে পছন্দের বইটি কিনে নিজের বইয়ের সংগ্রহকে সমৃদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। সবার হাতে কোনো না কোনো বই।

স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম মাসুম। তার স্বপ্ন, বইয়ের ছোটখাটো একটা লাইব্রেরি করা। দুই হাতেই প্যাকেটবন্দি ২০টির মতো বই। তিনি বাংলানিউজকে বলেন, আমি বই পছন্দ করে রেখেছি অনেক আগেই। এখন আর ঘুরে দেখার সময় নেই। কেনার পালা। তাই স্টল থেকে স্টলে ঘুরে ঘুরে সংগ্রহ করছি প্রিয় লেখকের পছন্দের বইগুলো।

বিভিন্ন স্টলে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রতিটি স্টলে ক্রেতাদের ভিড় থাকায় স্টলগুলোর বিক্রয় প্রতিনিধিরা দম ফেলার সময় পাচ্ছেন না।

এ ব্যাপারে ইন্তামিন প্রকাশনীর প্রকাশক এসএম ইউনুস বলেন, সচেতন পাঠকদের সমাগম এখন বেশি। এখন যারা মেলায় আসছেন তারাই মূলত বইয়ের ক্রেতা। আগে থেকে তালিকা করে এনে বই চাইছেন। এখন প্রতিটি দিনই বিক্রি ভালো হচ্ছে।

চারুলিপি প্রকাশনীর প্রকাশক হুমায়ুন কবীর বলেন, মেলার শেষ সময়ে বিক্রি বেড়েছে। বইপিপাসু পাঠকেরা এখন আসছেন। এবারের মেলায় গতবারের চেয়ে বিক্রি কম হয়েছে। তবে এই শেষ সময়ে যারা আসছেন তারা প্রায় সবাই কিছু না কিছু বই কিনছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০১৮
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।