মাসব্যাপী চলা বাঙালির প্রাণের এ মেলার উচ্ছ্বাসে যেন বাজছে ভাঙনের সুর! তবে ভাঙনের আগের দিনের শুরু থেকে ক্রেতা দর্শনার্থীদের আগমনে মুখরিত হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ।
মেলার এ বিদায় বেলায় জমে ওঠেছে বেচা-কেনাও।

মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে ও ক্রেতা-পাঠক এবং বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনটাই জানা গেছে। সরেজমিনে দেখা যায়, শেষ দিকে বইয়ের বেচা-বিক্রি নিয়ে ব্যাপক খুশি প্রকাশক ও বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন>>
** শেষ সময়ে মেলায় শিক্ষার্থীদের ভিড়
ক্রেতা-দর্শনার্থীরাও শেষ মুহূর্তে মেলায় এসেছেন প্রিয় বইটি সংগ্রহ করতে। শেষ সময়ে বেচাকেনার এমন জমজমাট পরিবেশেও সবার হৃদয়ে বাজছে বিদায়ের সুর।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কিছুদিন আগেও প্রাণের মেলায় আগতদের মধ্যে দর্শনার্থীর সংখ্যাই বেশি ছিল। তবে সোমবার ছিল একবারে ভিন্ন চিত্র। দর্শনার্থীদের সঙ্গে সমান তালে এসেছেন বইপ্রেমী পাঠকরা। শেষ সময়ে প্রিয় লেখকের বই সংগ্রহের সুযোগ কোনোভাবেই হাতছাড়া করছেন না তারা।
কাকলী প্রকাশনীর প্রকাশক এ কে নাছির আহমেদ সেলিম বাংলানিউজকে বলেন, প্রথমদিকের তুলনায় শেষে বিক্রি বেড়েছে। পুরো মাসের কথা বলতে গেলে খারাপ না, মোটামুটি বিক্রি হয়েছে।
প্রাণের মেলাকে বিদায় জানাতে এসেছেন মহসিনা খান ও তার বান্ধবীরা। পঞ্চাশোর্ধ্ব এই নারীরা পুরো মেলা প্রাঙ্গণ ঘুরে দেখছেন। বাংলানিউজকে মহসিনা খান বলেন, শামসুন্নাহার হলের শিক্ষার্থী ছিলাম আমি। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়া অবস্থায় কোনোদিন মেলায় আসা বাদ দিইনি।
‘পুরো বছর বই মেলার জন্য অপেক্ষা করতাম। এখনও সময় পেলেই আসি। এ নিয়ে তিনবার হলো। বই মেলায় যে আনন্দ পাই, এত উচ্ছ্বাস-আনন্দ আর কখনও পাই না। ’
বইমেলায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সঙ্গে পদচারণা ছিল স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদেরও। একদিন বাদে বিদায়ের ঘণ্টা। আবার এক বছরের অপেক্ষা!
তাই তারাও ব্যস্ত বই কেনা নিয়ে। তবে বাদ যাচ্ছে না সেলফি ধারণের হিরিকও। মেলায় আগত তরু নামে এক স্কুলছাত্রী জানান, এবারের বইমেলায় প্রকাশিত বই থেকে বাছাই করে বেশ কয়েকটি বই কিনেছি।
‘মেলা শেষ হয়ে যাচ্ছে, তাই শেষ বারের মতো এসেছি। তালিকায় আরও কিছু বই রয়েছে, সেগুলো নিতে,’ যোগ করেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৮
এমসি/এমএ


