ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

‘বৃষ্টিতে বইমেলায় অন্যবারের তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি কম’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
‘বৃষ্টিতে বইমেলায় অন্যবারের তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি কম’ সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির মহাপরিচাল হাবীবূল্লাহ সিরাজীসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা/ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: আবহাওয়ার পূর্বাভাসে ফাল্গুনের প্রথম ভাগে ঝড়ো বৃষ্টির আভাস থাকায় বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষ আগেভাগেই সতর্ক করে দিয়েছিল প্রকাশকদের। এছাড়া মেলায় অংশ নেওয়া সব প্রকাশককেই বলা হয়েছে ‘ঝড়-বৃষ্টি ও অগ্নি-বীমা’ করতে। সবাই তা করেছেন। তাছাড়া বাংলা একাডেমি ও প্রকাশকদের সামগ্রিক প্রস্তুতির ফলে এবারের বৃষ্টিতে বইমেলায় অন্যবারের তুলনায় ক্ষয়ক্ষতি কম হয়েছে। 

রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বাংলা একাডেমির মুনীর চৌধুরী সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত গ্রন্থমেলা বিষয়ক সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে বাংলা একাডেমির পরিচালক ও গ্রন্থমেলা কমিটির সদস্য সচিব ড. জালাল আহমেদ একথা জানান।  

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী, পরিচালক অপরেশ কুমার ব্যাণার্জীসহ একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

জালাল আহমেদ বলেন, প্রতিবছরই মেলার সময় এক বা দু’দিন বৃষ্টি হয়। সেদিকটা মাথায় রেখে আমরা এবার আগে থেকেই মানসিক প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। এছাড়া প্রকাশকদের আগে থেকেই ‘ঝড়-বৃষ্টি ও অগ্নি-বীমা’ করতে বলা হয়েছে এবং তা সবাই করেছেন। সব মিলিয়ে ৯০ শতাংশ স্টল মালিক সতর্ক ছিলেন। ফলে তাদের তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।  

কিছু স্টল মালিক স্টলে পুরনো টিন ব্যবহার করা হয়েছে বলে অভিযোগ এনেছেন। এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এবার সব টিন আমরা নতুন দিয়েছি। এছাড়া লটারি হওয়ার দিন (২৩ জানুয়ারি) পর্যন্তও এ ব্যাপারে তারা কোনো কথা বলেননি।

এছাড়া বাংলা একাডেমির নিজস্ব স্টল, ইউপিএল ও অন্যপ্রকাশসহ কয়েকটি হাতে গোনা প্যাভিলিয়ন ও স্টল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আগামীতে এ ব্যাপারে বাংলা একাডেমি আরো সতর্ক থাকবে বলেও জানান তিনি।

একাডেমির মহাপরিচালক কবি হাবীবুল্লাহ সিরাজী বলেন, এমন উন্মুক্ত একটি স্থানে, অস্থায়ী একটি কাঠামোতে ঝড়-বৃষ্টি শাসনে রাখাটা কঠিন। তারপরও আমাদের চেষ্টা থাকবে। আর আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী আগামী ২৩, ২৪ ও ২৫ তারিখেও বৃষ্টির আশংকা রয়েছে। এটি মাথায় রেখে আমাদের পাশাপাশি প্রকাশকরাও যদি ব্যবস্থা নেন, তবে তা সবার জন্যই ভালো হবে।

এদিকে মেলার ১৬তম দিন পর্যন্ত সর্বমোট নতুন বই এসেছে ২ হাজার ৪৭৭টি। আর একই দিন পর্যন্ত বাংলা একাডেমি মোট ৯৭ লাখ ৭৬ হাজার ১০৮ টাকার বই বিক্রি করেছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০১৯
এইচএমএস/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।