ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সমার্থক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২০
বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সমার্থক

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লিখিত উপন্যাসগুলোকে শৈল্পিক ও ঐতিহাসিক দু’টি দৃষ্টিকোণ থেকেই দেখার অবকাশ রয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশের ইতিহাস সমার্থক।

রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলার অষ্টম দিনে মেলার মূল মঞ্চে মিল্টন বিশ্বাস রচিত ‘উপন্যাসে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে বক্তারা একথা বলেন।

আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কথাসাহিত্যিক প্রশান্ত মৃধা।

আলোচনায় অংশ নেন কথাসাহিত্যিক পাপড়ি রহমান ও মোজাফ্ফর হোসেন। লেখকের বক্তব্য দেন মিল্টন বিশ্বাস। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কথাসাহিত্যিক আনোয়ারা সৈয়দ হক।

মূল প্রবন্ধে প্রশান্ত মৃধা বলেন, ‘উপন্যাসে বঙ্গবন্ধু’ গ্রন্থে লেখক মিল্টন বিশ্বাস বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে কেন্দ্র করে যত উপন্যাস রচিত হয়েছে, সবকটিকেই আলোচনায় রেখেছেন। মিল্টন বিশ্বাস আলোচিত উপন্যাসগুলোর প্রতিটিতে সময় ও সমকালীন রাজনীতির ঘটনাক্রমের সঙ্গে তুলনা করেছেন।

‘এসব উপন্যাসে ঔপন্যাসিকরা কাহিনি নির্মাণের জন্যে ভাষা এমনকী উপভাষা আর সংলাপের ক্ষেত্রে যে মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন, তা আলোচনা করেছেন। উপন্যাসের কাহিনি উপস্থাপনায় প্রথাগত রীতির বাইরেও নানা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং কখনো ইতিহাসের উপকরণের হুবহু বর্ণনা, কখনো আবার আত্মজৈবনিক কৌশল কিংবা নিজের অনুভূতির প্রসারণ ঘটেছে আখ্যান বুননে। ’

আলোকরা বলেন, বঙ্গবন্ধু হলেন সেই মহামানব যার মধ্যদিয়ে আমরা স্বদেশকে উপলব্ধি করতে পারি। বাংলার ইতিহাসের এই মহান নেতাকে ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটে রেখে উপন্যাসের ভাষ্য নির্মাণ এবং সব ধরনের শিল্প মাধ্যমে তার গৌরবগাথা তুলে ধরা একান্ত প্রয়োজন।

লেখক মিল্টন বিশ্বাস বলেন, এ গ্রন্থ লেখার প্রয়োজনে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লিখিত সব উপন্যাস পাঠ আমার জন্য সত্যিই এক অনন্য অভিজ্ঞতা। এসব উপন্যাসে ইতিহাসের নানা কাল-প্রবাহের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধুর বহুমাত্রিক জীবনের চিত্র উঠে এসেছে।

সভাপতির বক্তব্যে আনোয়ারা সৈয়দ হক বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি হৃদয়ের এত কাছের একজন মানুষ যে তাকে নিয়ে সাহিত্য রচনায় স্বতঃস্ফূর্তভাবেই আবেগের বহিঃপ্রকাশ ঘটে। ঔপন্যাসিককে এই আবেগের স্রোত এড়িয়ে নির্মোহভাবে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে উপন্যাস লিখতে হবে এবং আমাদের নতুন প্রজন্মের কাছে বঙ্গবন্ধুর কীর্তিময় জীবনগাথা সাহিত্য ও শিল্পের মাধ্যমে পৌঁছে দিতে হবে।

সন্ধ্যার আয়োজনে কবিকণ্ঠে কবিতা পাঠ করেন কবি হালিম আজাদ, শাকিরা পারভীন, বায়তুল্লাহ কাদেরী এবং নাজমুল হুসাইন বিদ্যুৎ। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী রফিকুল ইসলাম, ডালিয়া আহমেদ, শুচিতা সপর্যা। সংগীত পরিবেশন করেন ফকির আজমল শাহ, মো. আনোয়ার হোসেন, কাঙালিনি সুফিয়া, আমজাদ দেওয়ান, মমতা দাসী বাউল এবং প্রশান্ত সরকার।

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) অমর একুশে গ্রন্থমেলার নবম দিনে বিকেল চারটায় গ্রন্থমেলার মূলমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে দিব্যদ্যুতি সরকার রচিত ‘বঙ্গবন্ধুর কারাজীবন’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠান। প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন রাশিদ আসকারী। আলোচনায় অংশ নেবেন সাহিদা বেগম ও আশফাক হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন আবুল মোমেন। সন্ধ্যায় রয়েছে কবিকণ্ঠে কবিতাপাঠ, আবৃত্তি এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

বাংলাদেশ সময়: ২০০৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২০
ডিএন/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।