ঢাকা, বুধবার, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বইমেলা

বইমেলার পরতে পরতে বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২০
বইমেলার পরতে পরতে বঙ্গবন্ধুর ছোঁয়া

গ্রন্থমেলা প্রাঙ্গণ থেকে: মুজিববর্ষের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে ১৭ মার্চ থেকে। কিন্তু এর উদযাপনের পালা শুরু হয়েছে অনেক আগেই। চলতি অমর একুশে গ্রন্থমেলায়ও এর কমতি নেই। এমনকি এবারের মেলাই উৎসর্গ করা হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আর এ জন্য মেলার সবকিছুতেই ছোঁয়া রয়েছে জাতির পিতার।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দশম দিনের অমর একুশে গ্রন্থমেলায় প্রবেশ করতেই দেখা যায়, মেলার সর্বত্রজুড়ে রয়েছে বঙ্গবন্ধু। বিশেষ করে মেলার মূল সাজসজ্জার পুরোটাই বঙ্গবন্ধু ঘিরে।

মেলায় অংশ নেওয়া প্রকাশনীগুলোর প্যাভিলিয়ন ও স্টলগুলোর সজ্জাতে শোভাবর্ধন করছে বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন সময়ের ছবি, তার উক্তি ও তাকে নিয়ে প্রকাশিত বইয়ের প্রচ্ছদ। এছাড়াও মেলার মূল মঞ্চে প্রতিদিনই থাকছে বঙ্গবন্ধু নিয়ে রচিত বইয়ের ওপর আলোচনা।

মেলার আয়োজক প্রতিষ্ঠান বাংলা একাডেমির জনসংযোগ উপ-বিভাগ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবার পর্যন্ত মেলার তথ্যকেন্দ্রে বঙ্গবন্ধুর ওপরে ৪১টি নতুন বই জমা পড়েছে। তবে মেলা ঘুরে দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর ওপরে ইতোমধ্যেই শতাধিক বই প্রকাশিত হয়েছে।

মুজিববর্ষ উপলক্ষে প্রতিটি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানই প্রকাশ করেছে বঙ্গবন্ধুর ওপরে নানা বিষয়ের বই। এক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে বাংলা একাডেমি। চলতি বছর থেকে তিন বছরে বাংলা একাডেমি বঙ্গবন্ধুর ওপরে ১০০টি বই প্রকাশ করবে। এর মধ্যে এবারের মেলায় প্রকাশিত হবে ২৬টি বই।

মেলার উদ্বোধনী দিনে বাংলা একাডেমি প্রকাশ করেছে বঙ্গবন্ধুর নিজের লেখা তৃতীয় বই ‘আমার দেখা নয়াচীন’। ইতোমধ্যে প্রকাশ করেছে সৈয়দ শামসুল হকের শিশুতোষ বই ‘বঙ্গবন্ধুর বীরগাথা’, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশিদের ‘বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় বিপ্লব: কী ও কেন’, অজয় দাশগুপ্তের ‘বঙ্গবন্ধুর আন্দোলন কৌশল ও হরতাল’, নূহ-উল-আলম লেনিনের ‘রাজনীতিতে হাতেখড়ি ও কলকাতায় শেখ মুজিব’।

প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে জালাল ফিরোজের ‘বঙ্গবন্ধু গণপরিষদ সংবিধান’, সাইমন জাকারিয়ার ‘সাধক কবিদের রচনায় বঙ্গবন্ধুর জীবন ও রাজনীতি’, অনুপম হায়াতের ‘বঙ্গবন্ধু ও চলচ্চিত্র’, মোহাম্মদ আলী খানের ‘ডাকটিকিট ও মুদ্রায় বঙ্গবন্ধু’, পিয়াস মজিদের ‘মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলা একাডেমি’, সমীর কুমার বিশ্বাসের ‘বঙ্গবন্ধুর সমবায় বাংলা’ ইত্যাদি বই।

একক প্রকাশনী হিসেবে আগামী প্রকাশনী এবারের মেলায় বঙ্গবন্ধুর ওপরে সর্বোচ্চ বই এনেছে। এর মধ্যে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর বই রয়েছে তিনটি। এগুলো হলো- ‘গান্ধীর দর্শন ও শেখ মুজিবের রাজনীতি’, ‘বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ ও শেখ হাসিনা’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু মধ্যরাতের সূর্যতাপস’। এই প্রকাশনীর অন্যান্য বইয়ের মধ্যে রয়েছে আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও মোনায়েম সরকার সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু শতবর্ষে শতপ্রবন্ধ’, মোনায়েম সরকারের ‘বঙ্গবন্ধু-জন্মশতবর্ষ ইতিহাসের পুনর্পাঠ’, বেলাল চৌধুরীর ‘বত্রিশ নম্বর’, সৈয়দ জাহিদ হাসান সম্পাদিত ‘শেখ মুজিবের প্রবচন’, মোনায়েম সরকার ও আসাদ মান্নান সম্পাদিত ‘বঙ্গবন্ধু: শতবর্ষে শতকবিতা’, মোনায়েম সরকার সম্পাদিত ‘শতবর্ষে বঙ্গবন্ধুর শতভাষণ’ ইত্যাদি।
মেলার সাজসজ্জায় বঙ্গবন্ধু, ছবি: ডিএইচ বাদলএছাড়া বঙ্গবন্ধুর ওপরে আরও প্রকাশিত বইগুলোর মধ্যে রয়েছে মুনতাসীর মামুনের ‘বঙ্গবন্ধুর জীবন: ছাত্ররাজনীতি থেকে জাতীয় রাজনীতি ১৯২০-১৯৪৯’ এবং ‘বঙ্গবন্ধু জীবন: জেল থেকে জেলে ১৯৫০-১৯৫৫’ (অনন্যা), গোলাম কুদ্দুছের ‘বঙ্গবন্ধু ও বাঙালি সংস্কৃতি’ (নালন্দা), সুভাষ সিংহ রায়ের ‘পাঠক বঙ্গবন্ধু লেখক বঙ্গবন্ধু’ (সময় প্রকাশন), মোশারফ হোসেনের ‘সাংবাদিকদের মুখোমুখি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান’ (সুবর্ণ), নির্মলেন্দু গুণের ‘মুজিব সমগ্র’ এবং মহাদেব সাহার ‘মুজিব সমগ্র’ (বিভাস), আনোয়ারা সৈয়দ হকের ‘ভাষণ শোনার পর’ এবং সনৎকুমার সাহার ‘বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ’ (কথা প্রকাশ), তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরীর ‘একজন আমলার চোখে বঙ্গবন্ধু’ ও অম্লান দেওয়ানের ‘বিশ্বজয়ী বঙ্গবন্ধু’ (শ্রাবণ প্রকাশনী), ড. কামরুল হক সম্পাদিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু: আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা’ ১ম খ- (প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ-পিআইবি), ইমরুল ইউসুফের ‘বঙ্গবন্ধুর বাড়ির উঠোনে’ (শিশু গ্রন্থ কুটির) ইত্যাদি।

এদিকে, মেলার দশম দিনে ১৫২টি নতুন বই এসেছে। এর মধ্যে পার্ল পাবলিকশেন্স এনেছে রামেল ইয়ামীনের কাব্যগ্রন্থ ‘এখানে কেউ নেই’, খেয়া প্রকাশনী এনেছে মো. রাব্বি আহসানের ‘কসমিক লাইফ’, শিশু গ্রন্থকুটির এনেছে ঝর্ণা দাশ পুরকায়স্থের ‘হ্যালো মি. গাবলু’, পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স এনেছে শাহরিয়ারের ‘বেসিক আলী-১২’, সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের উপন্যাস ‘ত্রয়ী’, বদিউর রহমানের ‘ড্রীম গার্লস’, অবসর এনেছে নাবিল মুহতাসিমের ‘জুয়নবিদ্যা’, মহি মুহাম্মদের ‘ভাড়াবউ’, সাত ভাই চম্পা প্রকাশনী এনেছে খালেক বিন জয়েন উদ্দীনের ‘বঙ্গবন্ধু ও শেখ রাসেল’, সুলো প্রকাশনী এনেছে ‘ক্লাসের ফাঁকে বিজ্ঞান প্রজেক্ট’ প্রভৃতি।

এছাড়া এ দিন মেলার লেখক বলছি অনুষ্ঠানে নিজেদের নতুন বই নিয়ে আলোচনা করেন সুহিতা সুলতানা, তাপস রায়, মাহবুব ময়ূখ রিশাদ এবং সাঈদ আজাদ।

আরও পড়ুন>> প্রথম ১০ দিনে ১৩০০ বই

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২০
ডিএন/টিএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।