ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জলবায়ু ও পরিবেশ

কক্সবাজার আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ৮৭ হাজার মানুষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১১০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
কক্সবাজার আশ্রয়কেন্দ্রে এক লাখ ৮৭ হাজার মানুষ

কক্সবাজার: কক্সবাজার উপকূলের দিকে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে।

এ পরিস্থিতে শনিবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় ঝুঁকিতে থাকা এক লাখ ৮৭ হাজার ৭০৩ জন মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ।

তিনি জানান, প্রশাসনের পক্ষে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে মোখা মোকাবিলায় তৎপরতা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিয়েছে। তারা সঙ্গে গবাদি পশুসহ অন্যান্য মালামালও নিয়ে এসেছে। শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এর সংখ্যা এক লাখ ৩৬ হাজার। একই সঙ্গে এখনও মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আসা অব্যাহত রেখেছে। রাতের মধ্যে তা দুই লাখের কাছাকাছি পৌঁছে যাবে। জেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ছাড়াও অর্ধশত আবাসিক হোটেল, বহুতল ভবনকে আশ্রয়কেন্দ্র ঘোষণা করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক ও পুলিশ উপকূলীয় এলাকা জুড়ে মাইকিং করে আশ্রয়কেন্দ্রে লোকজন আনা অব্যাহত রেখেছে।

বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, সেন্টমার্টিন দ্বীপে ইতোমধ্যে প্রায় সব মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে। যেখানে বর্তমানে চার হাজার ৩০৩ জন মানুষ রয়েছে। দ্বীপের ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে তারা অবস্থান নিয়েছে। আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষকে রান্না করা খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্রস্তুত রয়েছে জরুরি মেডিকেল টিম। প্রয়োজনীয় চিকিৎসাও দেওয়া রয়েছে।

শনিবার দুপুর ২টার পর থেকে উপকূলে বসবাসকারী মানুষদের মাইকিং করে দ্রুত আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি কাজ শুরু করেছে পুলিশ।

কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মো. মাহাফুজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার আঘাতের মূল কেন্দ্র কক্সবাজার। এখানে প্রাণহানি রোধ, ক্ষয়ক্ষতি কমানো, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে জেলা প্রশাসনসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে পুলিশ মাঠে রয়েছে। যারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাচ্ছে না তাদের বুঝিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠানো হচ্ছে।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকে থেমে থেমে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। সাগর বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে দুই থেকে তিন ফুট জোয়ারের পানি বেড়েছে। দেশের এক মাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে হালকা বাতাস শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে গুঁড়ি বৃষ্টিও হচ্ছে।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) খোরশেদ আলম জানিয়েছেন, দ্বীপের দুটি সাইক্লোন সেন্টার, স্কুল, আবাসিক প্রতিষ্ঠানসহ ২২টি দ্বিতল ভবন, ১৩টি সরকারি বিভিন্ন সংস্থার ভবন মিলে মোট ৩৭টি আশ্রয়কেন্দ্রে দ্বীপবাসী অবস্থান নিয়েছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ২১১০ ঘণ্টা, মে ১৩, ২০২৩
এসবি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।