গাইবান্ধা: গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে অবৈধভাবে গাছের গুঁড়ি ও কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির কারখানা গুড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসন।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কিশোরগাড়ী ইউনিয়নের দিঘলকান্দী গ্রামে এ অভিযান চালানো হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল ইয়াসা রহমান তাপাদার।
এসময় স্থানীয় পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের পৃথক টিম তার সঙ্গে ছিলেন।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামে ২২ শতক জমির ওপর অবৈধভাবে কয়লা তৈরির কারখানা গড়ে তোলেন মালিক আব্দুল মান্নান ও তার স্বজনরা।
এতে প্রতিবেশী জমির মালিকদের নানাবিধ ক্ষতি হচ্ছে দাবি করে প্রতিকার চেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর অভিযোগ করেন নয় গ্রামবাসী।
তাদের অভিযোগ, ধোঁয়ার কারণে বয়স্ক আর শিশুরা সব সময় সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত অসুস্থতায় ভুগছেন। এছাড়া কয়লা তৈরির কারখানার কালো ধোঁয়ায় জমির ধান চিটে হয়ে যাচ্ছে। দূষণ হচ্ছে সার্বিক পরিবেশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা সহকারী কমিশনার আল ইয়াসা রহমান তাপাদার বলেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ও স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই কারখানাটি পরিচালিত হচ্ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযান চালিয়ে অবৈধভাবে গড়ে ওঠা কারখানাটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
কারখানা সূত্রে জানা যায়, প্রতিমণ জ্বালানি কাঠের বাজার দর ১৪০ টাকা। প্রতি মণ কয়লা বিক্রি হয়ে থাকে ৮০০ টাকা। প্রতিটি চুলায় একবারে প্রায় ২০০ মণ কাঠ পোড়ানো যায়। একবার চুলায় আগুন দিলে কাঠ পুড়ে কয়লা হতে সময় লাগে সাত দিন।
এসব কয়লা প্রধানত ব্যাটারি, মশার কয়েল, প্লাস্টিক, অ্যালুমিনিয়াম ও সিসা তৈরির কারখানায় বিক্রি করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০৪, ২০২৪
আরএ