নোয়াখালী: নির্বিচারে গাছ নিধন বন্ধ না হলে আগামী এক বছরের মধ্যে নিঝুম দ্বীপের সবুজ বেষ্টনী চিরতরে হারিয়ে যাবে বলে মন্তব্য করেছেন উপকূল বাঁচাও আন্দোলনের নেতারা।
শনিবার (২৬ ডিসেম্বর) দুপুরে ‘নিঝুম দ্বীপের বন বাঁচাও, হরিণ বাঁচাও’ স্লোগানে আয়োজিত মানববন্ধনে তারা এ মন্তব্য করেন।
নোয়াখালীর নিঝুম দ্বীপ ইউনিয়নের নামার বাজারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে দ্বীপের শত শত মানুষ অংশ নেয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, নিঝুম দ্বীপ শুধু বাংলাদেশিদের নয়, এটি বিশ্ববাসীর জন্য একটি দর্শনীয় স্থান। মায়াবী চিত্রল হরিণসহ বিভিন্ন বন্যপ্রাণী দ্বীপে পর্যটনের সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তুলেছে। অপার সম্ভাবনা দেখে সরকার নিঝুম দ্বীপের ৪০ হাজার ৩৯০ একর বনাঞ্চলকে জাতীয় উদ্যান হিসেবে ঘোষণা করে।
তারা আরও বলেন, সম্প্রতি নির্বিচারে দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের গাছ নিধন করছে দস্যুরা। বিষয়টি প্রকৃতিপ্রেমী মানুষকে হতবাক করে তুলেছে।

দ্বীপের বনাঞ্চলের ছোঁয়াখালী, বৌবাজার, দুবাইখালসহ বিভিন্ন স্থানের হাজার হাজার গাছ কেটে নিয়ে যাচ্ছে দুর্বৃত্তরা। বৃক্ষ নিধনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আগামী এক বছরের মধ্যে নিঝুম দ্বীপের ম্যানগ্রোভ বনাঞ্চলের অস্তিত খুঁজে পাওয়া যাবে না বলে জানান বক্তারা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী ইব্রাহীম জানান, দস্যুদের নির্বিচারে গাছ কাটার কারণে নিঝুম দ্বীপের ৫০ হাজার হরিণ হারিয়ে গেছে। প্রতিদিন শত শত গাছ কেটে অবৈধভাবে ভূমি দখল করা হচ্ছে। কিন্তু এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, নিঝুম দ্বীপে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা আসেন। তবে তারা এখন হরিণ দেখতে পান না। তারা দেখেন গাছের ধ্বংসযজ্ঞ। দ্বীপের এমন অবস্থার কারণে এখন পর্যটক কমে গেছে। আমরা পর্যটনকে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকা ইনভেস্ট করেছি। আমরা আজ পথে বসতে যাচ্ছি।
‘নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের’ সেনবাগ উপজেলা সভাপতি মাসুদ বলেন, নিঝুম দ্বীপ দেখতে এসে আমরা হতাশ। তাই আমরা রাস্তায় দাঁড়াতে বাধ্য হয়েছি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৪৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৫
এমজেড