ঢাকা, রবিবার, ৭ বৈশাখ ১৪৩২, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ২১ শাওয়াল ১৪৪৬

কর্পোরেট কর্নার

আইইউবি থিয়েটারের আয়োজনে শেষ হলো দুদিনের বৈশাখী নাট্যোৎসব

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৫৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
আইইউবি থিয়েটারের আয়োজনে শেষ হলো দুদিনের বৈশাখী নাট্যোৎসব

ঢাকা: ‘বৈশাখে হবে উৎসব, উৎসবে হবে নাটক’-এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আইইউবি থিয়েটারের উদ্যোগে ১৩-১৪ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়েছে দুদিনের ‘আইইউবি থিয়েটার বৈশাখী নাট্যোৎসব ২০২৫’। উৎসবের অংশ হিসেবে মোট চারটি নাটক মঞ্চস্থ করে আইইউবি থিয়েটার, জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার, তীরন্দাজ রেপার্টরি ও বটতলা থিয়েটার।

 

১৩ এপ্রিল প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উৎসবের উদ্বোধন করেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি)-এর ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান দিদার এ হোসেইন, উপাচার্য অধ্যাপক ম তামিম, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড, স্কুল অব লিবারেল আর্টস অ্যান্ড সোশ্যাল সায়েন্সেসের ডিন অধ্যাপক ড. বখতিয়ার আহমেদ ও আইইউবির মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. জাকির হোসেন রাজু। সঞ্চালনায় ছিলেন আইইউবি থিয়েটারের সমন্বয়ক ও মিডিয়া অ্যান্ড কমিউনিকেশন বিভাগের প্রভাষক মমতাজ পারভিন।  

উদ্বোধনের পর মঞ্চস্থ হয় আইইউবি থিয়েটারের ২৩তম প্রযোজনা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের কালজয়ী কাব্যনাটক ‘তাসের দেশ’। নির্দেশনায় ছিলেন শামীম সাগর। এতে অভিনয় করেন আইইউবির শিক্ষার্থী মো. বাসিতুল্লাহ খান, সৌহার্দ্য পাল, মো. তৌহিদুল ইসলাম অঙ্কুর, আব্দুল্লাহ আল মাহিন সিয়াম, জেবা তাহসিন, আনিকা বুশরা শশী, আনিকা ফাইরুজ, সামিয়া রেজা মাইশা, নুজহাত তাবাসসুম, মোছা. সাদিয়া আফরিন অর্ণা, এস এম সাকিল আমিন, সাদিয়া ইসলাম মৌ, সামি বিনতে খায়ের নূহিন, কিরণ সরকার জুঁই ও সুকন্যা সালসাবিল খান। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন রিশাদ হাসান প্রমিত। নাটকটি প্রযোজনা করেন মো. আশরাফুল করিম চৌধুরী, সৌহার্দ্য পাল, মো. বাসিতুল্লাহ খান ও মো. তৌহিদুল ইসলাম অঙ্কুর। ‘তাসের দেশ’-এর দ্বিতীয় প্রদর্শনী হয়েছে ১৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মূল মিলনায়তনে।  

উপস্থিত দর্শকরা বলেন, আবহসংগীত ও মঞ্চসজ্জায় ছিল নিবিড় যত্ন ও শৈল্পিকতা। এত সুন্দর ও শক্তিশালী উপস্থাপনা অনেকদিন মনে থাকবে। থিয়েটার ক্লাব প্রতিবছরই চমক দেয়, কিন্তু এবার তারা নিজেদের ছাড়িয়ে গেছে।

১৩ এপ্রিল বিকেলে জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার মঞ্চস্থ করে তাদের ১১৩তম প্রযোজনা ‘দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে’। রচনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মাহফুজ ইসলাম মেঘ। পরের দিন অর্থাৎ ১৪ এপ্রিলের প্রথম প্রযোজনা ছিল তীরন্দাজ রেপার্টরির ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’। এর রচয়িতা মোহিত চট্টোপাধ্যায়। নির্দেশনায় ছিলেন দীপক সুমন। সেদিন বিকেলে উৎসবের সর্বশেষ আয়োজন ছিল বটতলা থিয়েটারের দর্শকনন্দিত নাটক ‘খনা’। এই নাটকটি রচনা করেছেন শামীনা লুৎফা নিত্রা ও নির্দেশনা দিয়েছেন মোহাম্মদ আলী হায়দার।

নববর্ষের প্রথম দিনের সূর্যাস্তের মধ্য দিয়ে আইইউবি থিয়েটারের বৈশাখী নাট্যোৎসব ১৪৩২-এর সমাপ্তি হয়। সমাপ্তি ঘোষণায় মমতাজ পারভিন বলেন, এই উৎসব কোনো সাময়িক আয়োজন ছিল না, এটি ছিল অনুভূতির দীর্ঘস্থায়ী প্রতিধ্বনি। মঞ্চে আলো নিভে গেছে ঠিকই, কিন্তু সংলাপ এখনো বাতাসে ভেসে বেড়ায়। প্রতিটি চরিত্র যেন রয়ে গেছে আমাদের ভেতরে- একেকটা হাসি, একেকটা কান্না, একেকটা নীরবতা হয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৪৭ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২৫
আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।