গুগলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুন্দর পিচাই ক্রিকেটের প্রতি তার ভালোবাসার প্রমাণ দিলেন ধারাভাষ্যকার হিসেবে আত্মপ্রকাশের মাধ্যমে। লন্ডনের দ্য ওভালে ভারত-ইংল্যান্ডের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের তৃতীয় দিনে (শনিবার) প্রথমবারের মতো ধারাভাষ্য দিতে শোনা গেল তাকে।
পিচাই যখন কমেন্ট্রি বক্সে ছিলেন, তখনই ঝড় তুলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। ৪৬ বলে তার ঝড়ো ৫৩ রানের কল্যাণে দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯৬ রান তোলে ভারত। ইংল্যান্ডের সামনে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৩৭৪ রানের।
ক্রিকেট নিয়ে নিজের শৈশবের স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে পিচাই জানান, ‘স্টেডিয়ামে আমার দেখা হলো সুনীল গাভাস্কারের সঙ্গে। ছোটবেলায় আমার ঘরে গাভাস্কারের পোস্টার ছিল। ’
তিনি আরও বলেন, ব্যাট হাতে শচীন টেন্ডুলকারকে দেখলে ভয়ে হাত-পা কাঁপত, ‘শচীনের এত বড় ভক্ত ছিলাম যে, ও ব্যাটিং করতে নামলে আমি নার্ভাস হয়ে যেতাম। ’
বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ প্রযুক্তি কোম্পানির প্রধান হলেও পিচাই এখনো ক্রিকেটের খোঁজ রাখেন, ‘আমি হাইলাইটস দেখি। ক্রিকবাজে আপনার (ভোগলেকে উদ্দেশ্য করে) কথা শুনি, আর ইউটিউবে পডকাস্ট ও ধারাভাষ্য অনুসরণ করি। ’
পিচাই জানান, তিনি নিজেও ক্রিকেট ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় ঘটনার সাক্ষী ছিলেন। তার প্রথম সরাসরি দেখা ম্যাচ ছিল ১৯৮৬ সালের ভারত-অস্ট্রেলিয়ার ঐতিহাসিক চেন্নাই টেস্ট, যা ড্র হয়েছিল, ‘প্রথমবার আমি লাইভ ম্যাচ দেখি সেই চেন্নাই টাই টেস্ট। শেষ দিনে মাঠে উপস্থিত ছিলাম, আর এলোমেলোভাবে ইতিহাসের মাত্র দুটি টাই টেস্টের একটির সাক্ষী হয়ে যাই। তখন থেকেই ক্রিকেটে আসক্ত হয়ে পড়ি। ’
ধারাভাষ্য চলাকালে ওয়াশিংটন সুন্দর ব্যাট করছিলেন। তখন হালকা মজা করে পিচাই বলেন, ‘আমাকে ‘ক্যালিফোর্নিয়া সুন্দর’ বলা হয় পার্থক্য বোঝাতে। ’ ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া সফরে ওয়াশিংটন সুন্দরের নায়োকোচিত পারফরম্যান্সের পর থেকেই গুগল অস্ট্রেলিয়ার কর্মীরা মজা করে এমন ডাকনাম দিয়েছেন বলে জানান পিচাই।
হার্শা ভোগলে মন্তব্য করেন, পিচাই কমেন্ট্রি বক্সে যথেষ্ট স্বাচ্ছন্দ্যেই ছিলেন, বিশেষ করে বল ডেলিভারি হওয়ার সময় তার চুপ করে যাওয়ার অভ্যাসে মুগ্ধ হন ভোগলে। উত্তরে পিচাই বলেন, ‘আমি তো সেরা জনের (ভোগলে) পাশে বসে আছি। ’
চলমান সিরিজ নিয়ে পিচাইয়ের মন্তব্য, ‘কি অসাধারণ একটা সিরিজ হয়েছে। দুই দলের লড়াইটা দারুণ লেগেছে। এখনই বাজি ধরতে বললে বলব, ২-২ হবে। ’ ভারতের জয়ের ব্যাপারেও আস্থা রাখেন তিনি।
আরইউ