গ্লেন ম্যাক্সওয়েল আবারও প্রমাণ করলেন কেন তাকে অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে বড় ম্যাচ উইনার বলা হয়। কেয়ার্নসে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে তার অপরাজিত ৬২ রানের (৩৬ বলে) ঝলকেই অস্ট্রেলিয়া দুই উইকেটের নাটকীয় জয় তুলে নিয়েছে।
১৭৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় শেষ ওভারে। শেষ দুই বলে চার রান দরকার—এমন চাপের মুহূর্তে ম্যাক্সওয়েল খেললেন এক জাদুকরী শট। পুরো ভরসা নিয়ে রিভার্স স্কুপে বাউন্ডারি মেরে নিশ্চিত করলেন অস্ট্রেলিয়ার জয়। মুহূর্তেই স্টেডিয়াম জুড়ে উচ্ছ্বাস, সতীর্থদের আলিঙ্গন আর দর্শকদের গর্জনে কেয়ার্নসের প্রথম আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি সাক্ষী হলো এক অনন্য সমাপ্তির।
ম্যাচের শুরুতে অজি অধিনায়ক মিচেল মার্শ ও ট্রাভিস হেডের ৬৬ রানের জুটি দলকে এগিয়ে দেয়। মার্শ ৩৭ বলে করেন ৫৪ রান (৩ চার, ৫ ছক্কা)। তবে মধ্যভাগে টানা তিন উইকেট তুলে নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে ফিরে আসে। কিন্তু সেখানেই দায়িত্ব নেন ম্যাক্সওয়েল। তার ঝড়ো ব্যাটিংই বদলে দেয় ম্যাচের চিত্র।
প্লেয়ার অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার জিতে ম্যাক্সওয়েল বলেন, ‘শেষ দিকে শুধু শান্ত ছিলাম, বলটা দেখছিলাম আর ফাঁকা জায়গা খুঁজছিলাম। আমাদের টি–টোয়েন্টি দলটা এখন দুর্দান্ত সময় কাটাচ্ছে। আত্মবিশ্বাস বাড়ছে, কিছু একটা ভালো গড়ে উঠছে। ’
অন্যদিকে সিরিজ সেরার পুরস্কার পাওয়া টিম ডেভিড যোগ করেন, ‘আজ ম্যাক্সি সেই জাদুকরী ইনিংস না খেললে আমি এখানে দাঁড়াতে পারতাম না। আমি শুধু সহজভাবে খেলতে চাই, বেশি ভাবতে চাই না। ফর্ম আসবে যাবে, কিন্তু প্রতিদিন মাঠে নেমে প্রতিযোগিতা করাটাই আনন্দ। ’
অস্ট্রেলিয়ার সাম্প্রতিক টি–টোয়েন্টি রেকর্ড এখন দুর্দান্ত—স্কটল্যান্ড, পাকিস্তান, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ জয়, আর ইংল্যান্ডের সঙ্গে ড্র।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ২০ ওভারে ১৭২/৭ (ব্রেভিস ৫৩, ডুসেন ৩৮*; এলিস ৩১/৩, জাম্পা ২৪/২)
অস্ট্রেলিয়া: ১৯.৫ ওভারে ১৭৩/৮ (মার্শ ৫৪, ম্যাক্সওয়েল ৬২*; করবিন ২৬/৩, রাবাদা ৩২/২)
ফলাফল: অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে জয়ী
সিরিজ: অস্ট্রেলিয়া ২-১ ব্যবধানে জয়ী।
এমএইচএম