বাংলাদেশ ক্রিকেটের নবনিযুক্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল ক্রিকেটেই সময় দিচ্ছেন দিন-রাত। তার মাসিক বেতন নেই, দেশের কোনো ব্যবসা নেই।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বুলবুল বললেন, ‘আমার আশুলিয়ায় একটি জমি ছিল, সেটা বিক্রি করেছি। সেটি দিয়ে চলছি। আপাতত অন্য কিছু ভাবছি না, ক্রিকেটের সঙ্গে কোনো দ্বন্দ্বের পথে যাইনি। তবে আপাতত চিন্তা করিনি, কি করব। ’
বুলবুলের দেশের ক্রিকেটের প্রতি গভীর দায়বদ্ধতা আছে। সেই দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে যেসব ক্লাব নির্বাচনে অংশ নেয়নি, তাদের প্রতি তিনি স্পষ্ট।
বুলবুল বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রাণ হচ্ছে ঢাকা প্রিমিয়ার ক্রিকেট লীগ। এখানে মোহামেডান, আবাহনী, ব্রাদার্স- বড় ক্লাবগুলো খেলে। তারা যদি এই থেকে দূরে থাকে, সেটা শুধু অভিমান। আমি চাই, সেই অভিমান ভাঙিয়ে তাদের আবার ফিরিয়ে আনব, ইনশাল্লাহ। ’
এবং তারই সঙ্গে তিনি পরিষ্কার করে জানালেন, তার ক্রিকেট কৌশল ডিফেন্সিভ নয়, অ্যাটাকিংও নয়। প্রতিটি ইনিংস হবে কো-অপারেটিভ, যেখানে প্রতি বলকে প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হবে, লুজ বল মারা যাবে, কিন্তু মনোভাবে থাকবে সততা ও সম্মান।
নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর তামিম ইকবালের নোংরামির অভিযোগের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘নোংরামি শব্দটা মেনে নেওয়া কঠিন। আমরা যা কিছু করেছি, সবই গঠনতন্ত্রের ভেতরে। কোনো কিছুই নিয়মবিরোধী হয়নি। ’
যে মুহূর্তে তিনি প্রথমবার বিসিবির প্রেসিডেন্ট হয়েছেন, তখন ভাবছিলেন এক টি-টোয়েন্টি ইনিংস খেলে চলে যাবেন। কিন্তু আজ সেই ইনিংসকে টেস্টে রূপান্তর করেছেন। কারণ, তিনি দেখেছেন ক্রিকেটের ধারাকে অব্যাহত রাখতে হবে।
বুলবুল বলেন, ‘যেহেতু আমি কাজের সঙ্গে যুক্ত হয়েছি, তাই ক্রিকেটের যে উন্নয়নের ধারাটা দেখতে পাচ্ছিলাম, সেটা চালিয়ে যেতে চাই। ’
এফবি/আরইউ